#################
গণতন্ত্রের সাম্য
*****
কোনো রাষ্ট্রের সীমানার ভিতরের সরকারী সম্পদ এবং সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানার অংশীদারেরা ছাড়া অন্য কেউ সেই রাষ্ট্রে কোনো ভোটের অধিকারী হতে পারে না।
দৃশ্যমান কিম্বা অদৃশ্য কিছুর বিনিময়ে কোনো ব্যক্তিকে কিনে নিতে পারলেও ঐ ব্যক্তির কাছ থেকে রাষ্ট্রের মালিকানার ভগ্নাংশটুকু অন্য কেউ নিজের অধিকারে নিতে পারে না গণতন্ত্রে।
ব্যক্তি তার নিজের পছন্দকে কিম্বা তার ভোটটিকে সাময়িকভাবে বিক্রি করতে পারে। এমনকী, যোগ্যতর মনোনীতকে খুঁজে না-পেলে অথবা স্বেচ্ছায় যোগ্যকে ফেলে, অযোগ্য প্রার্থীকেও প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করতে ব্যক্তি নিজে তার সমর্থনের ছাপ দিতে পারে কিম্বা তার ভোটটি না-দিয়ে সরে থাকতেও পারে, কিন্তু কখনোই কেউ তার ভোটাধিকার অন্যের কাছে বিক্রি করতে পারে না।
ভোটাধিকার বা রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া রাষ্ট্রের মালিকানার সমান ব্যক্তিক হিস্যাটুকু কেনা-বেচা করা যায় না জন্যেই, গণতন্ত্রে, কোনো একজন ব্যক্তি একের অধিক জনের ভোট কিম্বা অন্যের ভাগের ভোটটি দিতে পারে না।
সংক্ষেপে,--
অধম বিক্রেতার কাছ থেকে তার খণ্ডকালীন কিছু ভোট কেনাও যায়, স্বেচ্ছায় নিজের ভোট বা পছন্দগুলোকে যেকোনো মূল্যে বেচাও যায়, কেউ স্বেচ্ছায় আত্মঘাতীর মতো তার মূল্যবান ভোটগুলো নষ্ট করতে চাইলে করতেও পারে তার গণতান্ত্রিক অধিকারে, তবে ব্যক্তির চিরকালীন ভোটাধিকার কোনোভাবেই ক্রয়-বিক্রয় করা যায় না।
কোনো ব্যক্তিকে কিনে নিতে পারলেও, ব্যক্তির অংশের সম-অধিকারের রাষ্ট্র-মালিকানাটুকু ঐ ব্যক্তির ব্যক্তিক অধিকারেই থেকে যায়।
কোনো রাষ্ট্রের সরকারী সম্পদ এবং সরকারী স্থাপনাগুলোর মালিকানার ভাগীদারেরা ছাড়া অন্য কেউ বৈধভাবে সেই রাষ্ট্রে নিজের কোনো পছন্দের মতামত খাটাতে পার না।
নিজের আসল পরিচয়টি গোপন করতে না-পারলে কেউ প্রকাশ্যে জালিয়াতি করতে পারে না। অন্য কোনো মালিকের পছন্দের রায়টি অর্থাৎ অন্যের ভোটটি যে-কেউ দিতে গিয়ে ধরা পড়লে তার বরাদ্দে জোটে রাষ্ট্রের বিধানের পূর্বনির্ধারিত শাস্তি, যা’ পরিমাণে প্রত্যেকের জন্যেই সম-অপরাধে সমমাত্রার হয়ে থাকে গণতন্ত্রে।
করণিক : আখতার২৩৯
রঙ্গপুর : ২২/০১/২০১৩খ্রি:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।