বাংলায় ঘোল খাওয়া মানে নাকাল হওয়া, বেকায়দায় পড়া। (ক্লোজআপহাসি)
কিন্তু ননী মিশ্রিত মথিত দধি মানে ঘোল খাওয়ার সঙ্গে বেকায়দায় পড়ার সম্পর্ক কোথায়? সম্পর্ক মোটেও নেই। কারণ এই খোল খাওয়া বা খাওয়ানো মোটেও আহার্য ঘোল নয়। কারণ এ ঘোল হলো জলের আবর্ত বা ঘূর্ণি। সংস্কৃত ঘূর্ণ শব্দটি কালক্রমে প্রাকৃত ভাষায় হয়ে যায় ঘুল্লি।
আর এ ঘুল্লি থেকেই বাংলায় ঘোল হয়েছে। এটাই এখন গৌণার্থে কষ্ট ভোগ বা বেকায়দায় পড়া অর্থে ব্যবহৃত হয়।
এখানে ঘোল সম্পর্কিত একটি চমৎকার শব্দের কথা বলা যেতে পারে। শব্দটি হচ্ছে 'ঘোলমউনি'। কিন্তু সাহিত্যে এখন শব্দটির ব্যবহার দেখা যায় না।
বঙ্কিম চন্দ্র তার এক লেখায় লিখেছিলেন, 'ঘোলমউনির তাড়নে ঘোল আর বাত্যাতাড়িত এক নিয়মে বিলোড়িত হয়'। ঘোলমউনি মানে ঘোল মন্থন করার দন্ড।
ঘোল শব্দটি দিয়ে বাংলা ভাষার বিখ্যাত প্রবাদ বাক্য 'দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো' তৈরি হয়েছে।
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।