আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জয়তু সেনাপ্রধান

যা লিখি তাই অখাদ্য হয়। তবুও চেষ্টায় আছি....

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও নিবিড় এবং গতিশীল করার লক্ষ্যে ১১ দফা ফর্মুলা দিয়েছেন। নগরীর হোটেল র‌্যাডিসনে বুধবার অর্থনীতি সংক্রাš- এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ ফর্মুলা উপস্থাপন করেন। জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির চাহিদা পূরণ এবং মধ্যবর্তী অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য নীতিমালা ও কৌশলগুলো পরিবর্তনেরও তাগিদ দেন তিনি। বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান তার লিখিত বক্তব্যে ফর্মুলার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

ফর্মুলার বিভিন্ন দফাগুলো হচ্ছেÑ ১. উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর গতি বাড়াতে একটি অš-র্বর্তীকালীন তহবিল গঠন। জমা হওয়া অপ্রদর্শিত অর্থ গণমুখী প্রকল্পে বিনিয়োগ করা যা অবকাঠামোগত এবং উন্নয়নমুখী প্রকল্প বা¯-বায়নে সহায়তা করবে। ২. অর্থ উপদেষ্টার নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কমিটি নামে একটি কমিটি গঠন। এ কমিটি প্রকল্প বা¯-বায়ন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনার জন্য প্রতি ১৫ দিনে বৈঠকে বসবে। ৩. সরকারি এবং বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বাজারে ছাড়া।

তালিকাভুক্ত এবং তালিকা বহির্ভূত সব ধরনের কোম্পানির শেয়ারই এ প্রক্রিয়ার অš-র্ভুক্ত থাকবে। এর মাধ্যমে সরকার ১ হাজার কোটি ডলার সংগ্রহ করতে পারবে যা অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরিতে সরকার ব্যবহার করতে পারবে। ৪. তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে এক মাসের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প গ্রহণ। কোন বিভাগীয় বা সরকারি কর্মকর্তা এতে ব্যর্থ হলে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। ক্ষুদ্র ঋণ, শিল্প উন্নয়ন, যুব উন্নয়ন, দেশীয় বেসরকারি বিনিয়োগ, আমদানি, গণমুখী প্রকল্প, কৃষিভিত্তিক শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, শিক্ষা, পেশাদারি সেবা, অবকাঠামো উন্নয়ন, পুঁজিবাজারসহ অর্থনীতির সব হাতিয়ারের ব্যবহার বাড়ানো।

৫. ব্যাংক ঋণের সুদের হার এবং কর হ্রাস। করনীতি এবং কর প্রশাসনের সঠিক ব্যবস্থাপনা। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অভীষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক সেবা সম্প্রসারণ করা। ৬. গ্রামীণ অর্থনীতির টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এনজিওগুলোকে কাজে লাগানো। ৭. কর, দুর্নীতি দমন বিভাগ এবং পুলিশ বিভাগে বেতন বাড়িয়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানি এড়ানো।

৮. দক্ষ, আধাদক্ষ এবং অদক্ষ জনশক্তি রফতানির পরিমাণ বাড়িয়ে মানব উন্নয়ন সূচকে ভারসাম্য আনা এবং প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) পরিমাণ বর্তমানের ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার থেকে আরও বাড়ানো। ৯. প্রবাসীদের বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে নভেম্বরে প্রবাসীদের আš-র্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠান। এর মাধ্যমে অর্থনীতিতে নতুন মূলধনের যোগান নিশ্চিত করা। ১০. ঝুলে থাকা বিভিন্ন প্রকল্প, বিশেষ করে অবকাঠামো, জ্বালানি, বন্দর সুবিধা, পর্যটন, আবাসন, সড়ক ও রেলওয়ে নেটওয়ার্ক সংক্রাš- প্রকল্প বা¯-বায়নে দ্বিপাক্ষিকভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা। ১১. সবধরনের বেসরকারি খাতে কর্মরত, এমনকি স্বকর্মসংস্থানে নিয়োজিত ব্যক্তি যাতে অবসর-পরবর্তী সুবিধা প্রাপ্তির আওতায় আসে তার লক্ষ্যে আর্থিক সুবিধাদি প্রকল্প গ্রহণ।

আপনারা কি বলতে পারেন, কোন গনতান্ত্রিক সরকার জনগনের কল্যানে এমন পদক্ষেপ গ্রহন করেছিলো?তারপরেও এই দেশের জনগন রাজনীতি আর মিথ্যে গনতন্ত্রের জন্য নিজেদের পায়ে কুড়াল মেরে কিছু মুষ্টিমেয় লোকের সুবিধা করে দেওয়ার জন্য হাপিত্যেস করবে। হায়রে অভাগা বাংগালী!কবে যে আমরা ভালো কে ভালো আর খারাপ কে খারাপ বলতে শিখবো আল্লাই জানে! (লেখাটি যুগান্তর থেকে কাট পেষ্ট করা)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।