আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'ঈশ্বর কেনা-বেচা

আমি এমন অনেককিছুই(সবকিছু নই) বিশ্বাস করি না যেটা শুধুমাত্র আমি শুনেছি। আমি সহজে এমন কিছুতেই বিশ্বাস করি না যেটা বলা হয়েছে অন্য কর্তৃক। আমি এমন অনেককিছুতেই বিশ্বাস করি না যেটা বিভিন্ন ধর্মীয় বইতে লেখা হয়েছে। আমি এমন অনেককিছুই বিশ্বাস করতে আগ্রহী নই যেটা স্রেফ মানুষ ঈশ্বরের সৃষ্টি নাকি ঈশ্বর মানুষের সৃষ্টি ! ! ''মানুষ ঈশ্বরের সৃষ্টি'' এই নিয়ে পৃথিবীর ১৬শতাংশ মানুষ দ্বিমত পোষণ করে। কেননা তারা বিশ্বাস করে ''মানুষই নিজের কারণে ঈশ্বরের সৃষ্টি করেছে এবং যা আজ বৃহত্‍ ব্যবসায় রূপ ধারণ করছে'' পরিসংখ্যান বলে প্রতি বছর পৃথিবীতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয় ঈশ্বরের খাতে।

অথচ এসব টাকা যদি পৃথিবীর উন্নয়নের উদ্দেশ্যে ব্যয় করা হত তাহলে কেউ সম্ভবত ''তৃতীয় বিশ্ব'' শব্দটি উচ্চারণ করত না। যেখানে গোটা বিশ্বের প্রতিদিন ১৫-২০শতাংশ মানুষ কিছু না খেয়ে কাটিয়ে দেয় সেখানে একা ঈশ্বরই প্রতিদিন এক চতুর্মাংশ বিলিয়ন ডলারের বেশী আয় করে। এর থেকে লাভটা কি??? ''একদল ভন্ড সাধু বা ব্যাক্তিবর্গ ঈশ্বরের নামে ধর্ষণ বা খুনাখুনি চালাচ্ছে'' এটা যদি লাভ হয় তাহলে সেই সকল ধর্ষণকারী বা খুনিরা সার্খক। ধর্ম ও নীতি' এক কথা নয়। কিন্তু আমরা আমাদের ধর্ম গ্রন্থে নীতি শব্দটি দেখি।

কেননা ধর্মীয় বা ঈশ্বরীয় উদ্দেশ্যেই নীতি শব্দটি অন্তভুক্ত করা হয়েছে। যে নীতির আজ বিকৃতি রূপ ''ঈশ্বর কেনা-বেচা । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।