আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শব্দের পোস্টমর্টেম - ৩৪



বাংলা ভাষায় বড়ই কাব্যগন্ধী শব্দ হলো ষোলকলা। তবে এ ষোলকলার ভেতর বানানা বা কলা মোটেও নেই। বরং ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রভাব রয়েছে শব্দটিতে। চাঁদের ষোলকলা পূর্ণ হয়। আর চাঁদের ষোল কলা হলো অমৃত, মানদা, পূষা, তুষ্টি, পুষ্টি, রতি, ধৃতি, শশিনী, চন্দ্রিকা, কান্তি, জ্যোৎস্না, শ্রী, প্রীতি, অক্ষদা, পূর্ণা ও পূর্ণামৃতা।

চাঁদের এ ষোলকলা বা পর্যায় অমাবশ্যা পূর্ণিমার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু বাংলা বাকরীতিতে মনের বাসনা পূর্ণ হওয়াই ষোলকলা পূর্ণ হওয়া। আবার কারো কারো বেলায় পাপেরও ষোলকলা পূর্ণ হয় মানে তার পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোজা কথায়, মানুষের কোনো ইতিবাচক বা নেতিবাচক দিক পূর্ণতায় পৌঁছার নামই ষোলকলা পূর্ণ হওয়া। অবশ্য পরিপূর্ণ অর্থেও ষোলকলার ব্যবহার দেখা যায়।

যেমন শরতচন্দ্র লিখেছেন, 'বাপের স্বভাব একেবারে ষোলকলায় পেয়েছে'। একই ধারাবাহিকতায় ষোলআনা শব্দটি দিয়েও পরিপূর্ণ অর্থ বোঝায়। তবে ষোলমাতৃকা একেবারেই ভিন্ন চিজ। ষোলমাতৃকার নাম হলো : গৌরী, পদ্মা, শচী, সাবিত্রী, মেধা, জয়, বিজয়া, দেবসেনা, স্বধা, স্বাহা, শান্তি, পুষ্টি, ধৃতি, কুলদেবতা ও আত্মদেবতা। (চলবে)


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।