আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিথ্যে, তুমি দশ পিপড়া

অতীতকে নিয়ে নস্টালজিক হতে ভালোবাসি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতেও।

ছোটবেলায় সবাই একটু আধটু মিথ্যা কথা বলে থাকে। আমিও এর ব্যতিক্রম ছিলাম না। ভুল কিছু করে ফেললে ভয়ে বলে ফেলতাম। আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে গেলো।

এরকমও হলো যে মিথ্যা বলতে খারাপ লাগতো না, অনায়াসে গল্প বানিয়ে ফেলতাম সত্য লুকানোর জন্য। একটা ভুল ঢাকতে গিয়ে আরেকটা ভুল! একটা জিনিস খেয়াল করেছি, ভুল কাজ কমিয়ে দিলে মিথ্যা বলাও কমে যায়, দরকার পড়ে না। হালকা লাগে খুব নিজেকে। অন্য কিছু করার বা অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করার সময় ও মানসিকতা থাকে। ভেতরটা ছোট হওয়ার বদলে আস্তে আস্তে বড় হতে পারে।

নিজের ছাড়া অন্য মানুষের জন্যও জায়গা হয়। মিথ্যা কথা যে মানুষকে আঘাত দিতে পারে, এটা প্রথম বুঝেছি নিজেই পাওয়ার পরে। গত বছর রোজার শেষের দিকে আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারি সে আমার সাথে যা বলেছে সবই মিথ্যার উপর তৈরি। ক্ষমা চেয়েছিলো এতোদিন ভুল বলার জন্য। মুখে ক্ষমা করে দিয়েছি ঠিকই, কিন্তু মন থেকে বোধ হয় পারি নি।

সেদিনও আরেক বন্ধু একই কাজ করলো। সরাসরি মুখের উপর মিথ্যা বলেছে কয়েকবার। তখন বুঝিনি, বিশ্বাস করেছি প্রতিটা শব্দ। সত্য বের হবার পর খুবই খারাপ লাগছিলো। দু'বছরে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বে ফাটল ধরা শুরু করেছে।

তিন মাস পর থেকে ওর সাথে আমার আর দেখা হবে না। এই ঘটনা থেকে একটা ভালো কাজ হয়েছে। মেয়েটাকে আমি বেশি মিস করবো না, কয়েক দিন আগে হলে যেভাবে করতাম। মিথ্যে তুমি দশ পিপড়া? মোটেও না। মিথ্যে, তুমি হাজার পিপড়া।

যার কাছ থেকে আসো, তাকে কুড়ে খাও, যার কাছে যাও, তাকেও।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।