হেথায় কিছু লিখব বলে চায় যে আমার মন, নাই বা লেখার থাকল প্রয়োজন!
হিমু হুমায়ূন আহমেদের এক অসাধারণ সৃষ্টি। হিমুর সৃষ্টি এবং পথচলা সম্পর্কে হুমায়ূন আহমেদ নিজেই লিগেছেন ময়ূরাক্ষীর তীরে প্রথম হিমু। লেখাটি সম্ভবত কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। আমি এটা সংগ্রহ করেছি বাংলাদেশ ইনফো ডট কম থেকে। আমার কাছে অবশ্য হিমুর বইগুলো তেমন ভালো লাগে না। হিমুর চেয়ে আমার রবং মিসির আলীকেই বেশি পছন্দ। আমার কাছে ভালো না লাগলেও ব্লগে হয়তো এমন অনেক পাঠকই আছেন, যাদের প্রিয় চরিত্র হিমু। তাদের জন্যই এই লেখাটি দেওয়া হল।
পূর্ববর্তী পর্ব থেকে চলমান ...
পাঁচ-ছয় বছর আগে আমি অতি দু:সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলাম| একা থাকি দখিন হাওয়ার এক ফ্ল্যাটে| নিজের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। মাঝে মধ্যে নুহাশ আসে| হোটেল থেকে খাবার এনে দুজন মিলে খাই| সে কিছুক্ষণ থাকে| দুজন নানা বিষয়ে গল্প করি| একদিন সে হলুদ পাঞ্জাবি পরে উপস্থিত| আমি বললাম‚ বাবা পাঞ্জাবিটা সুন্দর তো!
সে খুশি খুশি গলায় বলল‚ মেজপা (শীলা) নিজের হাতে বানিয়েছে|
আমি বললাম‚ ভালো বানিয়েছে|
নুহাশ বলল‚ বাবা এটা হিমু পাঞ্জাবি| আমি হিমু হয়েছি|
আমি হিমুর পিঠে হাত রাখলাম| তাকিয়ে থাকলাম জানালার দিকে| কারণ চোখে পানি এসে যাচ্ছে| আমি চাচ্ছি না বালক হিমু পিতার চোখের পানি দেখুক|
শেষ কথা
দিন পনেরো আগের কথা| লেখালেখি করছি| হঠাৎ ধুপ করে আমার কোলে কী যেন পড়ল| তাকিয়ে দেখি‚ সর্বকনিষ্ঠ পুত্র নিষাদ হুমায়ূন| বয়স দুই মাস| তার মা তাকে সাজিয়ে এনে আমার কোলে ছেড়ে দিয়েছে| শাওন বলল‚ ছেলেকে দেখে কিছু কি বোঝা যাচ্ছে?
আমি বললাম‚ না|
ভালো করে তাকিয়ে দেখ|
আমি ভালো করে দেখলাম‚ কপালে কাজলের ফোঁটা ছাড়া আলাদা কিছু পেলাম না|
শাওন বলল‚ সে যে হিমু হয়েছে, এটা বুঝতে পারছ না? হলুদ পাঞ্জাবি‚ খালি পা|
আমি বললাম‚ আরে তাই তো!
দুই মাসের শিশু হিমু মহানন্দে হাত-পা ছুড়ছে| তার ভাব দেখে মনে হচ্ছে‚ রাস্তায় ছেড়ে দিলেই সে হাঁটতে শুরু করবে| একবারও পেছন ফিরে তাকাবে না| হিমুরা কখনো পেছনে তাকায় না| হিমু আইনে পেছনে ফিরে তাকানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ| তারা তাকিয়ে থাকবে ভবিষ্যতের দিকে|
সমাপ্ত
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।