হেথায় কিছু লিখব বলে চায় যে আমার মন, নাই বা লেখার থাকল প্রয়োজন!
হিমু হুমায়ূন আহমেদের এক অসাধারণ সৃষ্টি। হিমুর সৃষ্টি এবং পথচলা সম্পর্কে হুমায়ূন আহমেদ নিজেই লিগেছেন ময়ূরাক্ষীর তীরে প্রথম হিমু। লেখাটি সম্ভবত কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। আমি এটা সংগ্রহ করেছি বাংলাদেশ ইনফো ডট কম থেকে। আমার কাছে অবশ্য হিমুর বইগুলো তেমন ভালো লাগে না। হিমুর চেয়ে আমার রবং মিসির আলীকেই বেশি পছন্দ। আমার কাছে ভালো না লাগলেও ব্লগে হয়তো এমন অনেক পাঠকই আছেন, যাদের প্রিয় চরিত্র হিমু। তাদের জন্যই এই লেখাটি দেওয়া হল।
পূর্ববর্তী পর্ব থেকে চলমান ...
বইমেলার ওই ঘটনার পর আমি হিমু হওয়ার নিয়মকানুন নিয়ে ভেবেছি| কিছু নিয়ম এখানে দিয়ে দিলাম| আরও কিছু মনে এলে সংশোধনী দেওয়া হবে|
হিমু হওয়ার নিয়মাবলি :
১| বয়স আঠারোর উপর হতে হবে| আঠারোর নিচে হিমু হওয়া যাবে না| বিশেষ ব্যবস্থায় আঠারোর নিচেও হিমু হওয়া যাবে‚ তখন বাবা-মা এবং স্কুলের হেডমাস্টার সাহেবের অনুমতি লাগবে|
২| হলুদ পাঞ্জাবি বাধ্যতামূলক| শীতকালে হলুদ চাদর পরা যেতে পারে| বাংলাদেশের সীমানার বাইরের হিমুরা হলুদ পাঞ্জাবির বদলে হলুদ শার্ট বা জ্যাকেট পরতে পারবে|
৩| খালি পা বাধ্যতামূলক না| কম দামি চামড়ার স্যান্ডেল পরা যেতে পারে| শীত প্রধান দেশের হিমুরা জুতা-মোজা পরতে পারবে|
৪| প্রতি পূর্ণিমায় পূর্ণচন্দ্রের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকা বাধ্যতামূলক| মেঘ-বৃষ্টির কারণে চাঁদ দেখা না গেলে কল্পনায় চাঁদ দেখতে হবে|
৫| বৃষ্টি বাদলার দিনে ছাতা ব্যবহার করা যাবে না| এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে যেতে হবে| ঠাণ্ডা লেগে গেলে চিকিৎসা নিতে হবে| হিমুরা শরীর ঠিক রাখার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারে| এতে কোনো বাধা নেই|
৬| রাতে নির্জন রাস্তায় হাঁটার বিধান শিথিলযোগ্য| বইপত্রে দেখা যায়‚ হিমুরা সন্ত্রাসী এবং পুলিশের সঙ্গে ঠাট্টা তামাশা করে| নব্য হিমুদের এই কাজ করতে কঠিনভাবে নিষেধ করা হচ্ছে| র্যাবের হাত থেকে শত হস্ত দূরে থাকা বাঞ্ছনীয়|
৭| হিমুরা কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য বা সমর্থনকারী হতে পারবে না| তাদের একটাই নীতি হিমুনীতি‚ রাজনীতি নয়|
৮| হিমুদের জন্য সপ্তাহে দুইদিন নিরামিষ আহার বাধ্যতামূলক| বাকি দিনগুলোতে মনের সুখে খাওয়া-দাওয়া করা যাবে|
ঌ| হিমুদের পাঞ্জাবিতে পকেট থাকে না| তবে কেউ যদি পকেট রাখেন তবে দোষ হবে না|
১০| হিমুরা কখনোই মানিব্যাগ ব্যবহার করতে পারবে না|
১১| তারা সব সময় হাস্যমুখে থাকবে‚ সবার সঙ্গে ঠাট্টা ফাজলামি ধরনের কথা বলবে‚ তবে পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্যদের সঙ্গে কখনো না| তারা ঠাট্টা ফাজলামি বুঝে না|
১২| আদি হিমুর পিতা যেসব নীতিমালা হিমুর জন্য লিখে গেছেন সেইসব নীতিমালা নিয়মিত পাঠ করতে হবে| সেই মতো জীবনচর্যাও পরিচালিত করতে হবে|
১৩| হিমুরা কখনোই কোনো তরুণীর সঙ্গে হৃদয়ঘটিত ঝামেলায় জড়াবে না| একসঙ্গে ফুচকা খাওয়া‚ ফাস্টফুড খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ|
১৪| এক হিমু অন্য হিমুকে আপন ভাইয়ের মতো দেখবে|
১৫| বিশেষ বিশেষ উৎসবে‚ যেমন পহেলা বৈশাখ‚ বিজয় দিবস‚ একুশে ফেব্রুয়ারিতে সব হিমুরা একত্রিত হয়ে হিমু সঙ্গীত গাইবেন| হিমু সঙ্গীত এখনো লেখা হয়নি| সঙ্গীত লেখা এবং সুর দেওয়া হিমু গেজেটে প্রকাশ করা হবে|
চলবে ..
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।