<ংপৎরঢ়ঃ ংৎপ
ব্লগে কয়েকদিন আগে ছবি আর কবিতা নিয়া বেশ পানি ঘোলা হইল। সকলে খেইপা একটা নিরাপরাধ লোকরে খেদাইয়াও দিলো। কারু জায় নামাজে বইসা কান্দা আইলো আবার কেউ একটা ক্ষনিকের ভুলরে পক্ষ ব্যাপি পলিট্রিকস (পেটেন্ট রাইট ত্রিভূজ) করল। আমার এতো পলিট্রিকস দেইকা জিনিষটা সমন্ধে আগ্রহ বাড়ল। কয়েক দিন ব্যাপক পড়া শুনা করলাম।
ভাবলাম কোরআনে এই বিষয়ে কি বলা আচে, হাদিসে কি বলা আচে, আর কি ধরনের ফিকসনাল সাহিত্য কর্ম হজরত মোহাম্মদ (সাঃ) র লইয়া আচে।
ফিকসনাল সাহিত্য কর্ম কইলে প্রথমে আসে, সালমান রুশদির ছোট গল্ল স্যার্টানিক ভারসেস, আবার পড়লাম, পড়লাম না, কোন জায়গায় রাসুলরে অপমান করা হইসে, স্যার্টানিক ভারসেস নাম লইয়া গ্যান্জাম করসে, কেনোনা কোরআনের প্রারম্ভিক কিসু আয়াতে মেদিনার প্যাগান গডগো কাসে প্রার্থনা করার পারমিসন ছিল। এই আয়াত গুলান একন কোরআনে নাই, আর বেশীর ভাগ মুসলিম জানেওনা যে আয়াত গুলান ছিল। আরেকটা গ্যান্জাম হইল, রাসুলের স্ত্রীগো নামে পতিতা আচে, আরে বাংলাদেশে তো রিয়াল লাইফে পতিতা থাকতে পারে, তাই বইলা কি রাসুলের স্ত্রীগো আমরা সম্মান করিনা। আরেকটা গ্যান্জাম লাগল জিব্রাইল আর শয়তান রুপক অর্থে ব্যবহার করা হইসে, তাতে সমস্যা কি বুজলাম না? পুরা ব্যাপারটা একটা নীচু দরের ইসলাম লইয়া ফিকসনাল ফিলোসফি আলোচনা।
যেহেতু কু-আলোচনা তাতে ইসলামের কি ক্ষতি হইসে বুজলাম না, আর রুশদি কইলে একটা ১৪০০ বছরের ধর্ম ব্যবস্হা নষ্ট হইবও কেন? হজরতের স্ত্রী আয়েশারের গল্পে একিউজ করে, যে আল্লাহ আপনার দরকার মত সুরা নাজিল করে কেন? এইটা তো আমগো ব্লগের নাস্তিকরা কইসে, কোরআনের সুরা ৩৩ আয়াত ৫০-৫১ লইয়া,
" নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন| আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ্ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে| কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল| এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়| আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে| মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে| আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, দয়ালু
আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেন| আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে কামনা করলে তাতে আপনার কোন দোষ নেই| এতে অধিক সম্ভাবনা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে; তারা দু:খ পাবে না এবং আপনি যা দেন, তাতে তারা সকলেই সন্তুষ্ট থাকবে| তোমাদের অন্তরে যা আছে, আল্লাহ্ জানেন| আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, সহনশীল| "
তাতে কি ইসলাম মইরা গেসে? আরেকটা ব্যাপারে গ্যান্জাম লাগসে সে হইলও গিয়া যে গল্পের একটা চরিত্র কইসে, সব কিসুর লগে আইন ক্যান, পাদার লাইগা আইন আচে, হাগার পরে হাত ধোয়ার আইন আচে, কেমনে কি? বুজলাম না তাতে কি আসে যায়? জিবরাইলরে গল্পে রক্ত মাংসের মানুষ হিসাবে দেকানো হইসে, ইসলামের আনেক সাহিত্য জিবরাইল ফেরেসতা মানুষের ভেষ নিছে দেকাইসে। কি যায় আসে তাতে?
সবচেয়ে আচানক ব্যাপার হইতেসে গল্পের মূল নায়িকা চরিত্রর নাম আয়েশা, যে নিজেরে গ্রামের লোকজনরে ধর্মাচারনের জন্য মদিনাতে যাইতে আহবান জানায় আর নেতৃত্ব দেয়।
যা কইসিলাম, রুশদি যা কইসে সেগুলান বহুবার ইসলাম সম্পর্কে কইসে, তাতে ইসলামের ক্ষতি হয়নাই। যারা ভালোবাসে, তারা একনো ভালোবাসে। ক্ষতি হইসে খোমেনীর ফতোয়া, সারা পৃথিবীর লোক দেকলো আমরা অসহনশীল আরা রাস্ট্রীয় ভাবে একটা লোকরে খুন করার আহবান জানইসি।
পূনস্চ: আগামী পর্বে ডান্তের ডিভাইন কমেডিতে হজরত আলী আর হজরত মোহাম্মদ (সাঃ) নিয়া লেকার আশা রাকি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।