নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .
রাত প্রায় ২টা বেজে ৩০ কি ৩৫ হবে, বইয়ের পাতাটা বন্ধ করে বিছানায় যাবর প্রস্তুতি নিয়েছি তখনও বাহিরে বৃষ্টি পড়ছে। বৃষ্টির পানিতে জানলার কাচগুলো একরকম ঝাপসা হয়ে গিয়েছে, বহিরের কিছু দেখা যাচ্ছেনা। মৃদু-মন্দ হালকা বাতাসের ঝাপটায় জানলাটা বারবার ধাক্কা খাচ্ছিল।
বারান্দায় দাড়িয়ে তখন, আকাশের দিকে তাকিয়ে, রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে একাকার হয়ে গিয়েছে, দূরের একটি ঘরে বাতি জ্বলছে আর বাকী সব নীরব, নিস্তব্ধ, সামনের রাস্তায় নিরাপত্তা প্রহরী কিছুক্ষন পরপর বাশি ফুকে চলছে।
সকালে আড়মোড়া দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠছি তখনও বাহিরে বৃষ্টি, তাহলে বোধ হয় সারারাত বৃষ্টি হয়েছে সেরকমটাই মনে হল যখন বারান্দায় গিযে দেখি রাস্তা পুরোপুরি পানিতে ডুবে গিয়েছে।
বাহিরে এমন বৃষ্টি এমন দিনে অফিসে যেতে ইচ্ছে করলনা। ইচ্ছে করেই দিনটি বাসায় কাটিয়ে দেবার ইচ্ছেটা জাগল। ফোন করে দিলাম অফিসে, আজ আসছিনা।
বাসায় মা ও বাবা ও ছোট ভাই, অনেকদিন ওদেরকে সময় দেয়া হয়না। আজ একটা উপলক্ষ করে হলেও কিছুটা সময় দেয়া যাবে।
আর বাসায় থাকলে মা কিছুটাও ব্যতিব্যাস্ত হয়ে পড়েন, কি রাধবেন সে বিষয়ে। সকালেই মা জিজ্ঞেস করেছিলেন কি খাব। কিছুই বলিনি শুধু নাস্তাটা সেরে বাজারের ব্যাগটা নিয়ে রাস্তার ভরা পানির মধ্য দিযে হেটে গেলাম। এক জোড়া ইলিশ কিনে বাড়ি ফিরলাম। মা ইলিশ দেখেই প্রথম প্রশ্ন কি দিয়ে ইলিশ রাধব।
ভাঁজি, ইলিশ ভাঁজি দিযে খিচুরী।
আজ অনেকদিন পর এমন বৃষ্টি বেলায় দুপুরে ইলিশ ভাজি দিয়ে ভোজন পর্ব । মনে হয় যদি এমনই প্রতিদিন বৃষ্টি হত আর প্রতিদিনই ইলিশ ভাজি দিয়ে খিচুরী। কারণ এটা যে আমার প্রিয় খাবার। প্রিয় খাবারে কোন না নেই আমার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।