কল্যাণের কথা বলি, কল্যাণের পথে চলি।
“ভাষার রকমারি - মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ” জনাব আবুসাঈদ মাহফুজের একটি সুন্দর ও উপভোগ্য লেখা। অনেকদিন আগে নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সাপ্তাহিক “এখন সময়” প্রকাশ করেছিল লেখাটি। বেশ মজা পেয়েছিলাম লেখাটি পড়ে। কিছু কিছু মানুষ আছেন যারা খুব সহজেই লিখার উপাদান খুঁজে পান; সাধারণ কিছু বিষয় তাঁদের কাছে অসাধারণ হয়ে ধরা দেয়।
তেমন একজন মানুষ হলেন জনাব আবুসাঈদ মাহফুজ – আমাদের শ্রদ্ধেয় মাহফুয ভাই। উনাকে মাহফুয ভাই বললাম কারন উনি আসলেই আমাদের বড় ভাই। আমরা যখন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া (IIUM) তে স্নাতক (আন্ডারগ্রাজুয়েট) শ্রেণীর ছাত্র তখন তিনি স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) পর্যায়ের ছাত্র। স্বাভাবিকভাবেই তিনি আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র বড় ভাই। তিনি তখন থেকেই লেখক হিসেবে পরিচিত।
আমাদের জুনিওরদের কাছে উনিতো “লেখক” উপনামেই পরিচিত ছিলেন। আর একারনেই তাঁর কাছ থেকে এধরনের একটা লেখা আশা করা খুবই সাভাবিক ছিল। তিনি আমাদের প্রতিনিয়ত দেখা সাধারণ অনেক বিষয়কেই সুন্দর লেখার উপকরন বানিয়ে কোন পত্রিকায় বা সাময়িকিতে ছাপিয়ে দিতেন। এমন একটি সাধারণ বিষয় হলো মালয়ীদের প্রাত্যহিক ব্যবহৃত ভাষা। মালয়ীদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য ভাষার প্রয়োগকে তিনি তাঁর আলোচ্য লেখায় অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলে ধরেছেন।
এজন্য মাহফুজ ভাইকে সাধুবাদ না জানিয়ে উপায় নেই।
একটা বিষয় অবশ্য মাহফুজ ভাইয়ের লেখাতে অনুপস্থিত, আর তাহলো তথ্যের পেছনের তথ্য। হতে পারে সময়ের অভাবে তিনি পরিপুর্ণ তথ্যানুসন্ধান করতে পারেননি। আমরা যারা পড়াশুনা উপলক্ষে মালয়েশিয়া ছিলাম তাদের মধ্যে মাহফুয ভাইই সবচেয়ে কম সময় সেদেশে ছিলেন। উনি আমাদের পরে মালয়েশিয়া এসেছিলেন আবার আমাদের বেশ কয়েক বছর পুর্বে মালয়েশিয়া ছেড়েছেন।
খুব স্বাভাবিকভাবেই তিনি মালয়ীদের ভাষার ব্যাপারে ভাল রকম পড়াশুনার সুযোগ পাননি। পরিণতিতে তাঁর লিখা “ভাষার রকমারি - মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ” পুরোপুরি তথ্য সমৃদ্ধ হয়নি। এখানে কিছু বিষয় আংশিক সত্য হিসেবে এসেছে। এ লেখাতে মাহফুয ভাইয়ের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই মালয় ভাষা সম্পর্কে কিছু বিষয়ে পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করব।
প্রথমেই আসা যাক মালয় ভাষার বর্ণমালার ব্যাপারে।
মালয় ভাষা বর্তমান পরিমিত ও পরিশিলিত রুপ লাভ করেছে অনেক চড়াই-উৎরাই আর ইতিহাসের অনেক ধাপ পেরিয়ে। মালয়ী সংস্কৃতিও পরিবর্তিত হয়েছে সময়ে সময়ে। এক্ষেত্রে মালয়ী সংস্কৃতিতে ভারতীয় প্রভাব অত্যন্ত প্রকট। প্রকৃতি পূজারী থেকে হিন্দু-বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও পরবর্তীতে ইসলামী সংস্কৃতিতে মালয়ীদের উত্তোরণের পথে ভারতীয়রা (বিশেষ করে গুজরাটি ও বাঙ্গালীরা) গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে। প্রাক-ইসলামী যুগে জাভা দ্বীপের অধিবাসীরা দেবনাগরী বর্ণমালার একপ্রকার রুপ ব্যবহার করতো।
ইসলামের আগমণের পর এরই আরবীতে রুপান্তরিত ধরণ ব্যবহার করা শুরু হয় যা জাওয়ী নামে পরিচিত। এ জন্য প্রচলিত আরবীর চেয়ে বেশী বর্ণ রয়েছে মালয় বর্ণমলায়। এ বর্ণমালাই ব্যবহার করতেন মালয়া, সুমাত্রা, জাভাসহ দক্ষিণ-পুর্ব এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের মালয়ী লোকজন। অবশ্য মালয় ভাষার তখন পর্যন্ত পরিশিলিত এ-রুপ ব্যবহার করতেন রাজদরবাব্রের সাথে সংশ্লিষ্ট পণ্ডিতেরা (আলেমগন)। মালয় সাহিত্যের গণরুপ দিয়েছেন যিনি তিনি হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাহিত্যিক ও মালয় ভাষার পণ্ডিত মুন্সী আব্দুল্লাহ, যাঁর প্রকৃত নাম আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল কাদের।
আরবীতে রুপান্তরিত জাওয়ী বর্ণমালায়ই মালয় ভাষা লেখার মূখ্য মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে গত শতকের ষাটের দশক পর্যন্ত। ১৯৬৯ সালে সাম্প্রদায়িক দাংগা হলে সরকার বৃহত্তর জাতীয় একীভুতকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রোমান বর্ণমালাকেও মালয় ভাষা লিখার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে গ্রহন করে, যাতে করে মালয়ী ছাড়াও অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠির লোকেরা সহজে এভাষা পড়তে ও লিখতে পাড়ে। রোমান বর্ণমালাতেই ইংরেজী ও অন্যান্য ইউরোপিয়ান ভাষাগুলো লিখা হয়ে থাকে। বাংলাদেশীরাসহ আরো অনেকে রোমান বর্ণমালাকেই ভুল করে ইংরেজী বর্ণমালা মনে করে। প্রকৃত ব্যাপার হল ইংরেজীর নিজস্ব কোন বর্ণমালা নেই।
একারনেই মাহফুয ভাইসহ অনেকেই মনে করেন মালয়ীরা ইংরেজী বর্ণমালাতে তাদের ভাষা লিখে, কিন্তু উচচারণ করে ভিন্নভাবে। প্রকৃত ব্যাপার তা নয়।
এবার আসা যাক মালয় ভাষার সাথে বাংলা, ইংরেজী ও অন্যান্য ভাষার সামঞ্জ্যস্যের বিষয়ে। বাংলার সাথে মালয় ভাষার যা মিল তা মূলতঃ সংস্কৃত এবং আরবী-ফারসীর কারনে। তারা বাংলাটাকে বিকৃত করে বলেনা, যেমনটা ভেবেছেন মাহফুয ভাই।
বরং তাদের উচ্চারণ আসল সংস্কৃত উচ্চারণের কাছাকাছি থাকার কারনে আমাদের কাছে বিকৃত মনে হয়। যেমন ধরা যাক বাংলা “স্বামী” শব্দটা। মূল সংস্কৃত থেকে রোমান বর্ণমালাতে এর অক্ষরান্তর (ট্রান্সলিটারেশন) করলে এটা দাঁড়াবে swami তে। এ শব্দটাকে মালয়ীরা বলে সুয়ামী (suami), যা মূল সংস্কৃতের অনেক কাছাকাছি। আবার ধরা যাক বাংলা “পরীক্ষা” শব্দটি।
এর সংস্কৃত উচ্চারণ হলো পরীক্ষা, কারন “ক্ষ” হলো “ক” ও “ষ” এর যুক্তাক্ষর। মালয়ীরা পরীক্ষাকে বলে “পরিক্সা”। ওরা শুধু “ষ” কে “স” এর মতন করে বলে। এভাবে আরও অনেক সংস্কৃত শব্দ আছে যা বাংলায় ব্যবহৃত হয় যেগুলো মালয়ীরাও ব্যবহার করে, তবে সংস্কৃত উচ্চারণে, বাংলা ঢংয়ে নয়। একইভাবে দীর্ঘদিনের ইসলামী ঐতিহ্য, ভারতের (বিশেষ করে বাংলা ও গুজরাট) সাথে সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ এবং ইংরেজ ঔপনেবাশিক শাশন মালয় ভাষায় প্রচুর আরবী-ফারসী এবং ইংরেজী শব্দ যোগ করিয়েছে যা বাংলায়ও ব্যাবহৃত হয়।
“মালয়ী ভাষায় উন্নতমানের কোন সাহিত্য নেই”, এ ধরণের ধারণা থাকাটাও ঠিক নয়। কেউ যদি মালয় ভাষায় পাণ্ডিত্য অর্জন করে সে ভাষার সাহিত্য পড়ে এ ধরণের মন্তব্য করে থাকেন তাহলে তা গ্রহনযোগ্য হতে পারে। আমরা যে ভাষা জানিনা, যে ভাষার সাহিত্য পড়িনা, এমনকি যে ভাষার সাহিত্য সমালোচনাও পড়িনা সে ভাষার সাহিত্যকে কিভাবে উঁচু বা নীচু মানের বলতে পারি? প্রকৃত ব্যাপার হলো আমরা জানিনা। আমাদের না জানা মানে কোন জিনিষ খারাপ বা নীচু মানের এমনতো নয়। বরং প্রকৃত ব্যাপার হলো মালয় ভাষাতেও অনেক উন্নত মানের সাহিত্য রচিত হয়েছে – মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনেই, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ থাইল্যাণ্ড সহ আর অন্য মালয় অধ্যুষিত অঞ্চলে।
এর অনেকগুলো ওলন্দাজ ও জার্মান ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। ইংরেজী ও বিভিন্ন এশীয়ান ভাষায় অনুবাদ না হওয়ায় এ ভাষার সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে আমরা অজ্ঞ। তাই বলে এ ভাষার সাহিত্যকে উঁচু বা নীচু মানের বলার কোন সুযোগ আমাদের নেই।
“মালয় ভাষার কোন ব্যাকরণ এবং উন্নত অভিধান নেই” এধরণের কথাও সত্যি নয়। মালয় থেকে মালয় অভিধান রয়েছে বেশ বড় আকৃতির।
“দেওয়ান বাহাসা ডান পুস্তকা” (ভাষা ও সাহিত্য পরিষদ), যা আমাদের বাংলা একাডেমীর মত, মালয় ভাষার অভিধান প্রণয়ন করেছে অনেক আগে। “কামুস দেওয়ান” নামের এ অভিধান অনেক বড় আকৃতির। “ইংরেজী-মালয় অভিধান বেরিয়েছে কয়েক বছর আগে” এমন কথারও কোন ভিত্তি নেই। মাহফুয ভাই যদি আই, আই, ইউ, এম, এর লাইব্রেরীর রেফারেন্স সেকশনে যেতেন তাহলে দেখতে পেতেন ইংরেজী-মালয় ও মালয়-ইংরেজী অভিধান ও ব্যাকরণ বইয়ের সমাহার। আমিতো লাইব্রেরীতে একদিন জরূরী কাজে গিয়ে মালয় ভাষার এক লেক্সিকন নিয়ে মগ্ন হয়ে গিয়েছিলাম।
অনেক পুরোনো জীর্ণ মলাটে বাঁধাই করা ঐ লেক্সিকন জনৈক ইংরেজ ঔপনেবেশিক অফিসারের প্রণীত। ঐ লেক্সিকন ইংরেজী-মালয়-আরবী-দেবনাগরীতে লেখা। এতে মালয় শব্দগুলোর উৎপত্তি, বিকাশ এবং প্রায়োগিক বিধান দেখানো হয়েছে। আর ওটা একটা বড়-সড় ভলিউম। এভাবে নিশ্চয়ই আরো অনেক কীর্তি রয়েছে।
মালয়েশিয়ার জাতীয় গ্রন্থাগারে সফর করার সুযোগ হয়েছিল আমার ১৯৯৬ সালে। এটি একটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার। আমাদের সফরকালীন সময়ে এর সংগ্রহের পরিমান ছিল ১.৫ মিলিওন ভলিউম। এর মধ্যে ছিল ক্লাসিকাল মালয় সাহিত্যের এক বিশাল আর্কাইভ, যার অধিকাংশই জাওয়ী বর্ণমালায় লিখা।
এবার আসা যাক মালয় ভাষার উচ্চারণ রীতিতে।
প্রত্যেক ভাষারই রয়েছে নিজস্ব উচ্চারণ রীতি যা অন্য ভাষাভাষীদের পক্ষে পুরোপুরি রপ্তকরা খুবই দুঃসাধ্য। আমাদের সাথে থাকতেন এক বাঙ্গালী ইঞ্জিনিয়ার ভদ্রলোক। কাজ করতেন একটা কোম্পানীতে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হিসেবে। তিনি একদিন আক্ষেপ করে বলছিলেন যে তিনি মালয় ভাষা বললে তাঁর মালয়ী সহকর্মিরা বেশিরভাগ সময়ই বুঝেননা। উনাকে এরকম একটা মালয় শব্দের উদাহরণ দিতে বলায় উনি বলেছিলেন মাহফুয ভাইয়ের ব্যবহৃত “তেরেমাকাশি” শব্দটি যা ধন্যবাদ অর্থে তিনি ব্যবহার করেছিলেন।
স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মালয়ী সহকর্মীরা প্রথমে বুঝেনি এবং পরে বুঝে বেশ হাসাহাসি করেছে। আসলে শব্দটি হলো “Terima Kasih” বাংলায় বললে যা মোটামুটি দাঁড়াবে “তেরিমা কাসিহ্”। কিন্তু মালয় উচ্চারণ রীতির কারনে শব্দটির প্রকৃত উচ্চারণ হলো “ত্রিমা কাসিহ্” বা “ত্রিমা কাসিহ”। মালয় ভাষায় শব্দের শুরুতে ব্যঞ্জন বর্ণ হয়ে তার পরের অক্ষর যদি “ই” হয় তাহলে প্রথম ব্যঞ্জন বর্ণটির হসন্ত যুক্ত ব্যঞ্জন উচ্চারণ হয়। তাই শব্দটি “ত্রিমা কাসিহ্” যার বাংলা অনুবাদ দাঁড়াবে “কৃতজ্ঞতা গ্রহণ করুন” আর ব্যবহৃত হয় ধন্যবাদ অর্থে।
এভাবে সব ভাষারই রয়েছে নিজস্ব রীতি পদ্ধতি। নিজস্ব রীতি-পদ্ধতিতে প্রতিটি ভাষা-ই অনন্য। সংস্কৃতির বাহন হিসেবে প্রত্যেক জাতি-গোষ্ঠি-ই তাদের নিজস্ব ভাষার লালন করে এসেছে। কেউ কেউ আবার অতীতের ভাষা পরিত্যাগ করে নতুন ভাষা গ্রহন করেছে। মধ্যপ্রাশ্চ্যের অধিকাংশ জাতি-গোষ্ঠিগুলো নিজস্ব প্রাচীন ভাষাগুলো ত্যাগ করে আরবীকে গ্রহন করেছে।
প্রাচীন সিরিয়া, মিশর, ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর ভাষা আরবী ছিলনা। কিন্তু এখন এদেশগুলো আরব দেশ হিসেবে পরিচিত। আবার অনেকে আরবী বর্ণমালাকে তাদের ভাষা লিখার বাহন হিসেবে গ্রহন করেছে। যেমন ফারসী, উর্দু, তুর্কী, পুশতু, মালয়, ইত্যাদি। কেউ কেউ রোমান বর্ণমালাকে গ্রহন করেছে তাদের ভাষা লেখার মাধ্যম।
কোন কোন ভাষার নেই কোন লিখিত রুপ। টিকে থাকার জন্য সবচেয়ে অসুবিধাজনক অবস্থায় আছে এই ভাষাগুলো। ভাষা ও বর্ণের বিভিন্নতা মুলতঃ আমাদের জন্য এক নিদর্শন। ভিন্ন ভাষা ও বর্ণের মানুষ বলেই আমরা অন্যদের আলাদা করে জানতে পারি। আমাদের মাঝে আগ্রহ জাগে ভিন্ন ভাষার ও বর্ণের মানুষ সম্পর্কে জানতে।
কিন্তু মানুষের মাঝে অনেকেই এগুলোকে করেছে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর মাধ্যম। ভাষা ও বর্ণের ভিন্নতাকে কাজে লাগিয়ে তারা মানুষের সমাজে তুলে দিয়েছে ঘৃণা ও বিভেদের দেয়াল। অথচ মানুষের স্রষ্টা বলেছেন এ বিভিন্নতা মুলতঃ তাঁর নিদর্শনগুলোর অন্তর্ভূক্ত। “আর তাঁর নিদর্শনগুলোর অন্তর্ভূক্ত হলো আসমানগুলো ও যমীনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বিভিন্নতা। নিঃসন্দেহে এতে রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য [শিক্ষার উপজীব্য] নিদর্শন।
” [কুরআন, ৩০ঃ২২] ভাষা ও বর্ণের ভিন্নতায় কোন বিশেষ মর্যাদা নেই। বরং মর্যাদাতো খোদাভীরূ সুন্দর মানুষ হওয়ার মাঝে নিহিত। “হে মানুষেরা! আমরা তোমাদের সৃষ্টি করেছি একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে। তারপর তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে; যাতে তোমরা পরস্পরকে চিনতে পারো। নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে আল্লাহ্র কাছে সেই সবচেয়ে মর্যাদাবান যে খোদা-নির্ধারিত দায়িত্ব পালনে সবচেয়ে বেশী সতর্ক।
” [কুরআন, 49:13]
নিউ ইয়র্ক, ২৫ জুন ২০০৭
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।