আমাকে ঘিরেই আমার স্বপ্নিল পৃথিবী ৪১ বছর পর এসে কোথায় আমাদের অবস্থান??
আসলেই কি স্বাধীন করতে পেরেছি দেশটিকে????
কতটা স্বাধীন হয়েছে আমাদের চিন্তা চেতনা , আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি??
দরকার নেই এই স্বাদহীন স্বাধীনতার । বন্দি জীবন এর চেয়েও অনেক ভাল। যেইখানে থেকে আমায় আজো কথায় কথায় ধর্মের দোহাই শুনতে হয় ,যেইখানে থেকে আজো আমায় নিজের বাক স্বাধীনতার জন্য লড়তে হয় তবে কিসের এই স্বাধীনতা?দুচোখ দিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই কি করার নেই আমাদের??
হায়রে স্বাধীনতা। ।
৪০ লক্ষ মানুষ যদি আজ বেঁচে থাকতো তাহলে তারা এই স্বাধীনতাকে ধিক্কার জানাত ।
৪১ বছর পরে এসেও আমরা স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্কে জড়াই। সব কিছুতেই নিজ ধর্মের শিকল পরাই । নারীকে আজো নিজের অস্তিত্তের জন্য লড়তে হয় । ধর্মের চাঁদর মুড়ি দিয়ে রাজাকারেরা আজো মাঠ দাপিয়ে বেড়ায় । নিজ দেশে থেকে ধর্মকে পুঁজি করে আজো ভারত,পাকিস্তান করে করে জীবন দিয়ে দেই।
৪০ লক্ষ মানুষের রক্ত আর হাজার হাজার মা বোনের সম্ভ্রম সবই তাহলে বৃথা ?? এই হিসাবও আমায় কসতে হচ্ছে । আমি লজ্জিত আজ।
আমি যুদ্ধ দেখিনি । তবে বাবা মার কাছে শুনেছি । তারা ছোট ছিল সেই সময় ।
আমার মা'রা স্ব-পরিবারে আশ্রয় নিয়েছিল মাটির নিচে কবরের মত বানানো একটি জায়গায় । উপর দিয়ে টিন আর বাঁশের তক্তা বিছিয়ে রাখা হত যাতে কেউ টের না পায় । মাঝে মাঝে রান্না করে এনে তা দিয়েই পুরো পরিবার চলতো । না খেয়েও থাকতে হয়েছে অনেক দিন । চোখের সামনে ধরে নিয়ে যেতে দেখেছে কত যুবতী নারীকে ।
দাদা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল বহু মানুষ । জীবন নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। কতই না কষ্ট করেছে তারা।
দেশ নাকি স্বাধীন হয়েছে । তবে আমি আজো স্বাধীনতাকে খুঁজে বেড়াচ্ছি ।
আজো আমায় হাহাকার করে মরতে হয় আমার অধিকারের জন্য ।
আমি হাল ছাড়িনি। ছাড়ব না। জানি একদিন স্বাধীনতা আসবে।
যেইদিন জাতি ধর্মের চেয়ে মানুষকে বেশি গুরুত্ব দেবে, যেইদিন জাতি তার ধর্মান্ধতার মুখোশ খুলে মানুষকে মানুষ বলে জানবে , যেইদিন নারীরা সম্মানের সাথে পরিচিত হবে, যেইদিন চারিদিকে আর দুর্নীতি -মারামারি-সন্ত্রাসী থাকবে না , যেইদিন অশিক্ষা- দারিদ্র- কুসংস্কার থাকবে না , যেইদিন সবাই দেশকে ভালবাসতে শিখবে সেইদিন আসবে স্বাধীনতা।
অপেক্ষায় থাকব সেই দিনের। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।