যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
অফিসে আসার পথে একটা হাসপাতাল পড়ে। প্রাইভেট। আজকে সকালে সেই হাসপাতালের সামনে একটা কাভার্ড ভ্যান দাড়িয়ে থাকতে দেখলাম। ঢাকা মেট্রো-অ-১১-১৬-৭৪ নম্বর সম্বলিত ভ্যানটার বডি সুন্দরবনের মনোরম ছবিতে সাজানো। পেছনে লেখা "হাসপাতাল বর্জ্য - সাবধান"।
জ্যামে গাড়ী আটকে পড়ায় অনেকক্ষণ ভ্যানটির গায়ে কুমিরের ছবি দেখছিলাম। ইত্যবসরে ভ্যানের একজন লোক নেমে হাসপাতাল থেকে কয়েকটা ঢাকনাওয়ালা বালতী নিয়ে আসলো। সম্ভবত তার মধ্যে বর্জ্য রয়েছে। সিরিঞ্জ, ঔষধ-ইনজেকশনের শিশি, গজ, তুলো সহ লিকুইড অনেক বর্জ্য থাকতে পারে। কিন্তু যিনি পরিবহন করে নিয়ে আসলেন তার কোন সতর্কতা দেখলাম না।
নেই কোন সংক্রমনের ছোঁয়া এড়ানোর জন্য ইউনিফর্ম, গ্লোভস, মাস্ক। অনায়েসে তিনি বালতির মধ্যে হাত দিয়ে ভ্যানের ভিতরে রক্ষিত বড় বড় ড্রামে সেগুলো উঠিয়ে রাখছিলেন।
কিছুদিন আগে রোকনউদ্দৌলাকে দেখেছিলাম ভুয়া ক্লিনিকে অভিযান চালাতে। হাসপাতালের বর্জ্য পরিবহন ও পরবর্তীতে এটা কিভাবে ডিসপসাল করা হচ্ছে সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। বর্জ্য পরিবহনের উক্ত গাড়ীটাতে কোন কোম্পানীর নাম লেখা দেখলাম না।
কাজেই তাদের কোন ডিসপোসাল প্লান্ট আছে কিনা সেটা নিয়েও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। সম্ভবত কোন ঘাপলার কারণে পুরো গাড়ীতে কোন কোম্পানী ও তার যোগাযোগের ঠিকানা দেয়া হয়নি।
সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকার-সুশীল সমাজকে সোচ্চার হবার জন্য অনুরোধ করছি। আমি নিশ্চিত বড় ধরণের অব্যবস্থা বিরাজ করছে বর্জ্য-ব্যবস্থাপনার মত ঝুঁকিসম্পন্ন কাজে যা পরবর্তীতে ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকট তৈরী করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।