কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার গোহারুয়া হাসপাতাল এখন ভুতুড়ে বাড়ি। এখানে ডাক্তার-নার্সসহ ১৩টি পদে ১৮ জনবল মঞ্জুরি থাকলেও হাসপাতালটির শুরু থেকে রোগী-ডাক্তার কারোরই উপস্থিতি নেই। কার্যক্রম না থাকায় আট বছর আগে নির্মিত হাসপাতালটি এখন লতা-পাতায় ঢেকে যাচ্ছে, পরিণত হয়েছে ভুতুড়ে বাড়িতে। নিরাপত্তা প্রহরী না থাকায় দরজা-জানালা চুরি হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, উদ্বোধনের পর হাসপাতালের বহির্বিভাগে হাতে গোনা মাত্র কয়েকদিন রোগী দেখা হয়।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৭ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয় গোহারুয়া ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল। প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় এই হাসপাতালটি। ডাক্তার, নার্স এবং নিরাপত্তা প্রহরী না থাকায় হাসপাতাল আঙিনা এখন গো-চারণভূমি। লতা-পাতায় ঢেকে যাচ্ছে হাসপাতালের ৯টি ছোট-বড় ভবন। স্থানীয়রা জানান, রাতের অাঁধারে চোরের দল দরজা-জানালা খুলে নিয়ে যাচ্ছে।
নাঙ্গলকোটের জোড্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আক্কাস বলেন, গোহারুয়া ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি চালু হলে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ ও নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ চিকিৎসাসেবা পেত। নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. লিয়াকত আলী জানান, বকেয়া বিলের জন্য গোহারুয়া ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটির বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। খুলে নেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক মিটারটি। ডাক্তার-নার্সদের থাকার জায়গা নেই, নেই বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা। নিরাপত্তা প্রহরী না থাকায় হাসপাতালের অনেক জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে।
এখানে অবকাঠামো নিশ্চিতের পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ জনবল নিয়োগ দিতে হবে। কুমিল্লা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, এই হাসপাতালে ১৩টি পদে ১৮ জন জনবল মঞ্জুরি রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ সেট জনবল নিয়োগ দিয়ে তাদের ওই হাসপাতালে ২ বছর টানা দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিতে হবে। কারণ বিচ্ছিন্নভাবে নিয়োগ দিলে কেউ গ্রাম এলাকায় থাকতে চাইবে না। কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মুজিব রহমান বলেন, এখানে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেই।
রয়েছে জনবল সংকট। কিছু অবকাঠামোগত সংস্কার এবং জনবল পেলে আমরা গোহারুয়া হাসপাতালটি চালু করতে পারব। এখানে জনবল নিয়োগের জন্য গত ৯ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদফতরে আবেদন করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।