আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আওয়ামী লীগ সুসময়ে ছুড়ে ফেলে দেয়

আওয়ামী লীগ অসময়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে কাছে টেনে আন্দোলন সংগ্রামে ব্যবহার করে আর সুসময়ে ছুড়ে ফেলে দেয়। ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আওয়ামী লীগ জামায়াত ও জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করেছিল। কিন্তু পরে তাদের ছুড়ে ফেলে দেয়। যেমনটি আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার বেসরকারি টিভি চ্যানেল এসএ টিভিতে লেট এডিশন অনুষ্ঠানে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কাছ থেকে গত নির্বাচনে ১৫টি আসন চেয়েছিলাম। আওয়ামী লীগ রাজি হয়নি। এর কারণ হলো জেনারেল মইন উ আহমেদের সঙ্গে লন্ডনে এক বৈঠকে কথা হয়েছিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তখন তাকে জেতানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। সেই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

অলি আহমদ বলেন, মইন উ আহমেদের একটা দাবি ছিল। তা হলো তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া। এ দাবি নিয়ে মইন উ আহমেদ খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন। কিন্তু তিনি রাজি হলেন না। পরে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে প্রস্তাব দেওয়ার পর তিনি সেই প্রস্তাবে রাজি হলেন।

সেই থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সপ্তাহে বৈঠক হতো। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ক্ষমতায় যেতে হবে। সরকার গঠন করতেই হবে। অলি আহমদ বলেন, '৯৬ সালে বিএনপি একদলীয় নির্বাচন করেছিল। এর মূল কারণ হচ্ছে একটা আইন পাস করা।

তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার দরকার। আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদায় করার জন্য জামায়াত, জাতীয় পার্টি, জাসদকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করেছিল। ঢাকাকে তারা সম্পূর্ণভাবে অচল করে দিয়েছিল। সব আইন ভঙ্গ করে সরকারি কর্মকর্তারা 'জনতার মঞ্চ' করেছিলেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে জনতার সরকারের বিপক্ষে কাজ করা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

অলি আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং জামায়াতের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে '৯৬ সালে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সংবিধান সংশোধন করে সারা রাত জেগে থেকে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বহাল করলাম। তখন দেশের অবস্থা বর্তমানের চেয়ে এক শ গুণেরও বেশি খারাপ ছিল। পরস্পরের প্রতি পরস্পরের আস্থা-বিশ্বাস ছিল না।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানেও রাজনীতিবিদরা নিজের ওপর নিজের আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। প্রধানমন্ত্রী ছয় তলায় বসে থাকবেন আর আমি গর্তের ভেতরে থেকে নির্বাচন করব- সাড়ে চার বছরে সেই বিশ্বাসটা স্থাপন করতে পারেননি।

বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের ঐক্য এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্বের কারণ বিশ্লেষণ করে অলি আহমদ বলেন, মুজাহিদ ও নিজামী একসময় সংসদে ব্রিফিং করতেন। যে কোনো সময় প্রধানমন্ত্রীর বাসায় চলে যেতেন। ওই সময় যুদ্ধাপরাধের বিচার করা হবে তা আওয়ামী লীগের এজেন্ডায় ছিল না।

অলি আহমদ বলেন, বর্তমানে দেশে একটি সংকটপূর্ণ অবস্থা চলছে। বিরোধী দলও সরকারের একটি অংশ।

এর জন্য দরকার বিরোধী দলকে আস্থায় নেওয়া। সংকটের সময় এটি পৃথিবীর প্রতিটি জায়গায় মেনে চলা হয়। গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে আলাপ-আলোচনায় বসা।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.