আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈশ্বর বিষয়ক তর্ক যখন দুই ক্যাম্পের জন্যই স্থূল মশকরা

যে ঘড়ি তৈয়ার করে - সে - লুকায় ঘড়ির ভিতরে

১. সামহোয়্যারের জন্ম থেকে অত্র ব্লগে ব্লগবাসীদের তর্ক বিতর্কের অন্যতম বিনোদন উপাদান ঈশ্বর বা খোদা বা স্রষ্টা৷ অবাক হওয়ার কিছু নাই৷ বিগত কয়েক হাজার বছর ধরে মানুষের সমাজে স্রষ্টা বিষয়ক তর্কবিতর্ক লেগেই আছে৷ আস্তিক, নাস্তিক, সংশয়বাদী হরেক রকম মেরুকরণে বিভক্ত চিন্তাশীলেরা৷ সমস্যা সেইখানে না৷ সমস্যাটা মূলতএইখানে যে বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী (এবং সংশয়বাদী) এই দুই ক্যাম্পের ঈশ্বর বিষয়ক তর্কের প্রাথমিক এ্যাজামশনটা এমন যে তারা দুই গোষ্ঠিয় যেন ঈশ্বর চিনে বসে আছে৷ সুতরাং একদল পায়জামা হাটুর উপরে টেনে তুলে তাকে প্রমান করার চেষ্টায় আছে, আরেক দল কোমরের বেল্ট টাইট করে বলার চেষ্টা করছে কস্মিণ কালেও ওরকম কেউ ছিলো না, নেই৷ গত কয়েক হাজার বছরে ঈশ্বর বিষয়ক তর্ক বিতর্ক হতে হতে এই অতি আধুনিক (!) সময়ে এসে জি. ও. ডি. বা গড শব্দটা পরিণত হয়েছে অন্যতম বোরিং একটা শব্দে৷ সেই সাথে যেটা আশংকাজনক সেটা হলো গড-আইডিয়াল বা ঈশ্বর ধারনাকে হেজিপেজি আলু পটলের মতো এক পাল্লায় যুক্তি আর কুযুক্তির মিশেলে মাপা শুরু হয়েছে৷ যে ট্রানসেনডেন্টাল কোয়ালিটি ও এ্যাবসুলিউট সত্ত্বার বিষয়ে কুতর্ক, তাঁর প্রকৃতি নিয়ে দু'দন্ড ভাবনার সময় নেই কোন ক্যাম্পেরই৷ একদিকে সস্তা বিশ্বাসীরা খুব ঈশ্বর চিনেছি, সব বুজেছি ভাবে ব্যস্ত, অন্যদিকে অবিশ্বাসীরা সব চেনা হয়ে গেছে, সব বুঝে সারা - ধরনের স্টুপিড এ্যারোগেনসে মতত৷ যে সত্যটা দুজনকেই ফাঁকি নিয়ে আড়ালে মুচকি হাসে সেটা হলো ঈশ্বর ধারনা আলু পটল না৷ দুনিয়া কাঁপানো দার্শনিক, এনলাইটেনড মাস্টার, অসম্ভব মেধাবী মনুষ্যপুত্ররা ওই পথে বহুত হেটেছেন৷ নিউমার্কেটের ফুটপাতে সেকেন্ড হ্যান্ড 'বেহেস্তি জেওর' হাতে নিয়ে অন্ধ বিশ্বাসী হয় গদগদ আর অবিশ্বাসীরা সস্তা রূপকথা খুঁজে হেসে কুটিকুটি হয়৷ সত্য তখনও দুইজনকে ফাঁকি দিয়ে আড়ালে মুচকি হাসে৷ Conventional opinion is the ruin of our souls. ২. একবিংশ শতাব্দীর অসম্ভবের যুগে এসে যে তিন অক্ষর অসম্ভব বোরিং, সেই গড কেবল নাম, ফর্ম আর যুক্তির ভিতরে নেই, কখনো ছিলো না৷ গোলাপ যেমন গ ল আর প অক্ষরের ভিতরে পাওয়া যায় না, খুঁজতে হয় অন্য কোথাও, ঈশ্বর বিষয়ক যুক্তি তর্কটাও সেইরকম গোলাপের আসলত্ব বুঝাতে ব্যর্থ তিনটা অক্ষরের মতোই৷ আমরা সবাই গ ল আর প এর আকার আকৃতি নিয়ে ব্যস্ত, আসল গোলাপ অধরাই থেকে যায়৷ আলু পটলের পাল্লায় ঈশ্বরকে নামিয়ে নিয়ে এসে কুতর্ক জুড়ে দেওয়া মোল্লা ও এ্যান্টিমোল্লা দুই দলকেই বোধ হয় স্রষ্টার ট্রানসেনডেনসের কথা স্বরণ করিয়ে দেওয়া যায়৷ মোদ্দা কথা হইলো, এটাই বলতে চাই যে যত বিশ্বাসী আর অবিশ্বাসী হয়েই বসে থাকে না কেন, আসলে আপনারা দুইজনেই কেউই কিছু বোঝেন নাই৷ এইটা মেনে নিলে কাইজ্জার প্রয়োজন নাই, এ্যারোগেন্সটাও ঢিলা হয়৷ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করতে আসেন, আপনি কি বুঝছেন, আমিও বলবো বুঝি নাই৷ তবে আপনাদের দুই গোষ্ঠির সাথে এই পার্থক্যটুকুতে আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি যে, আমি বোঝার ভাব ধরতেও অস্বীকার করি এবং ঈশ্বর বিষয়ক পক্ষ ও বিপক্ষের আক্ষরিক যুক্তির কোনটাকেই মাথায় করে রাখতে খুব গদগদ না৷ কারন যে ধরনের বিতর্কে আমরা নিজেদের রাখতে চাই সেই জায়গায় পৌছানোর আগে উত্‍সটা বোধ হয় ঈশ্বর হওয়ার কথা না৷ উত্‍সটা হওয়ার কথা সেলফ এনকোয়ারী বা আতত্বজিজ্ঞাসা৷ আমরা নিজেরাই নিজেদের যেখানে ঠিক মতো চিনি না, বুঝি না সেইখানে ট্রানসেনডেন্টাল একটা গড আইডিয়াল বুঝে ফেলবো আশা করাটা বড় বোকার স্বর্গে বসবাস৷ নিজেরা নিজেকে চেনে না, চেনার সামান্যতম চেষ্টাও নাই, তার ঈশ্বর বিষয়ক তর্ক বড় স্থুল মশকরা এবং সেই মশকরা অবশ্যই প্রথমতধ নিজের প্রতিই৷ আর এই মশকরায় তথাকথিত বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসী দুই ক্যাম্পই অসম্ভব ব্যস্ত৷ আগাগোড় ভুল বুেঝ অর্গানাইজড ধর্মের ভিতরে পুরে দেওয়া গাজাখুরি রূপকথা ঈশ্বরেরর অনস্তিত্ব যেমন প্রমান করে না, তেমনি বিগব্যাংও সৃষ্টির ব্রাহ্ম মহুত্যের অকাট্য প্রমান নয়। অমন হাজারটা বিগব্যাং হয়ে থাকতে পারে এমনটাই মাথা চুলকে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন ইদানীং। বটম লাইন ঘুরে ফের ঐ নিজেকে চেনা। সেই প্রচেষ্টা আদি অনাদিক কাল থেকেই স্কয়ার ওয়ান। Enquire: 'Who am I?' and you will find the answer. Look at a tree: from one seed arises a huge tree; from it comes numerous seeds, each one of which in its turn grows into a tree. No two fruits are alike. Yet it is one life that throbs in every particle of the tree. So, it is the same Atman everywhere. -শ্রী আনন্দময়ি মা প্রফেটিক ট্রাডিশেনর একটা চমৎকার উক্তি আছে, I, God manifest in the manner in which each conscious being expects Me to manifest. ৩. বুড়োটা তার কাঁপাকাঁপা হাতে চাদের দিকে তাকিয়ে চিরকাল বলে যায়, 'ঐ যে চাঁদ, ঐ যে চাঁদ'৷ হতাভাগা আমরা যারা কখনো চাঁদ কি জানলুম না (জানার চেষ্টাতো চাঁদের মতোই দূরের কথা) তারা কেবল তার ঐ হাতের আঙ্গুলটাই দেখে যাই৷ আঙ্গুলের নানান কসরত নিয়ে ইন্টেলেকচুয়াল (!) বিতর্কে মাতি৷ আঙ্গুলে এ্যাঙ্গেল, সাইন কস ট্যান নিয়ে খেলারাম খেলে যায়৷ চাঁদের দিকে তাকানোর আর ফুসরত হয় না৷ তাতে অবশ্য চাঁদের কিছু বয়ে যায় না! ৪. If you are a rebel and confused about God, Then please take my advice, and stop thinking about God. Better start thinking about yourself, my friend. And the same applies to me, Cause I still don’t know much, Do you? I’m as confused as your are So please excuse me for my babbling. Without knowing ourselves, How can we know ‘Something’ From which we all are derived? If you are an ‘Atheist’, then Please accept my congratulations, and Stop arguing about God. Perhaps for your being atheist is the first step- In realizing the Truth. God will never come into your proof, No matter how hard you try, Cause He is beyond your limited, rational proofs. And He will always be above all those proofs. Better start argue about your own existence. Be self conscious, then the higher consciousness will follow. - Dedicated to all my Atheist friends of the world © Mysticsaint

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।