কান পাতলে এখনো শুনতে পাই নড়াচড়া ফিসফাস খসখস কলকল সনসন লুকোচুরি টু--কি --
বাইরে থেকে এক চিলতে রোদ্দুর এসে বলে দিলো ভোর হয়েছে। তবুও বিছানার ওপর আরেকবার গড়িয়ে নিলাম। তারপর মনে পড়ল আজ রবিবার। তাই আবার বালিশটাকে জড়িয়ে ধরলাম।
বাইরে থেকে পাশের বাড়ির উনুন ধরানোর গন্ধ আসছে।
কি পরিচিত গন্ধ। তবু মাঝেমাঝে এতো ভালো লাগে। এই গন্ধটাই বুঝি পাওয়া যায় কোলকাতার স্নেতাপড়া গলির মাঝে। যেখানে কোনদিন রোদ ঢোকে না। নাকি সেটা পুরোন বাড়ির গন্ধ?! যাইহোক, শুয়েশুয়ে শুনতে পাচ্ছি বাইরে করপোরেশানের কলে কয়েকজন মুখ ধুচ্ছে।
রবিবারের আলসেমিতে এ বারান্দা থেকে ও বারান্দায় একটু গল্পগাছা। রবিবারের আলসেমি কাটিয়ে রিক্সার আওয়াজ। আমাদের সামনের রাস্তাটা বড় ভাঙ্গা। তাই কোন গাড়ি গেলে, এমন কি রিক্সা গেলেও আওয়াজ হয়ে। আর ওইতো শোনা যাচ্ছে রোজকার মত ঠাকুরের নাম গান করতে করতে গঙ্গা স্নানে চলেছেন কে একজন।
এনাকে রোজই গাইতে শুনি, দেখিনি কোনদিনই।
আস্তে আস্তে দিনের ব্যস্ততা আরম্ভ হচ্ছে। বাইরে অনেক হাঁকঢাক কথাবার্তা। আর আমার জানালা দিয়ে আসা এক চিলতে রোদ্দুর এখন সারা ঘর ভরিয়ে দিয়েছে।
উঠলাম।
উঠে জানালার পর্দার ফাঁক দিয়ে দেখলাম। শুধুই সাদা বরফ আর মন খারাপ করা আকাশ। কুয়াশায়ে প্রায় ঢাকা এঁকে বেঁকে চলা একটা রাস্তা।
তাই আগে যা যা বললাম সব ঘটছে হাজার হাজার মাইল দূরে। আমি মাঝেমাঝেই বুঝতে পারিনা আমি কোথায় আছি।
রোদ্দুর আর মন খারাপ করা আকাশটা মিলেমিশে যায়। পাইন গাছের গন্ধের সঙ্গে মিশে যায় সেই কতদুরের ধোঁয়ার গন্ধ। কুয়াশা কেটে গিয়ে দেখি হাজার মাইল দূরের সোনালি রোদ্দুর এসে পড়েছে সাদা বরফে।
এসবই বানানো কথা। আসলে সক্কাল বেলা উঠেই জানালার ফাঁক দিয়ে মেঘলা আকাশটা দেখে চোখ বন্ধ করে ভাবলাম আমার হাজার মাইল দূরের রোদ্দুরের দেশ।
বাইরের নিশব্দ রাস্তাটাকে ভাবলাম আমার পাড়ার ভাঙ্গা মুখর রাস্তা। মাইলের পর মাইল পড়ে থাকা সাদা বরফে একটু রঙের ছোঁয়া আনলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।