কেবল সমুদ্র পারে শুষে নিতে সব, যা কিছু বিপ্রতীপ, ভেসে আসে নিদারুণ কষ্টের নীলজলে..
আমাকে ভোলার অহংকারে তুমি কতোবার ওল্টাবে ঠোঁট ?
কতোবার বোঝাতে চাইবে-ভালো আছো খুব-
এক লহমায়
প্রীতির চিহ্ন সব মুছে দিয়ে?
কতোবার তুমি অঙ্গুলি নাড়িয়ে বোঝাবে- নেই ! একবিন্দুও কষ্ট নেই !
পেছনের ফেলে আসা পথ- কী প্রবল সহজে পেরেছো-
দু’পায়ে মাড়াতে !
আমি জানি, জীবন বাজীতে রেখে
তুমি হেসেছো মহাসুখে।
স্মৃতির শিকড় উপড়ে বোঝাতে চেয়েছো
কী ভীষণ ক্ষুদ্র আসলে তোমার ওপর আমার প্রভাব,
পৃথিবীর কিছুই পারেনা আর একবার -
একটি বারের জন্যেও -ফেরাতে তোমাকে !
অহংকারে অহংকারে তুমি এইভাবে পৃথিবী মাতাও- আমি জানি
তবুও ‘বৃষ্টির কাছেই’ শেষতক প্রবল নতজানু তুমি-
কেবল বৃষ্টির কাছেই ফিরে আসে তোমার ‘ভেতরের সেই তুমি’-
কেবল বৃষ্টিই তোমাকে ফেরায় পুনরায়
পুনর্জন্মের মতো স্বচ্ছ সুন্দর সেই চিরচেনা বিশুদ্ধ অনুভবে....।
আমি জানি, যখন বৃষ্টি নামে বিরতিহীণ,
একটানা ঝরো হাওয়ায়, অস্থির অনাচারী তান্ডবে-
যখন বৃষ্টি নামে রমনায়, রেস্তোরায়, সবুজ ঘাসের বুকে
প্রেমিকের উষ্ণতাহীণ-অনার্দ্র বুক জুড়ে-
তখন তোমার জানালার কাঁচে
এক একটি কষ্টের কণার মতো সারারাত- বেদনায় জমতে থাকে
বৃষ্টির অযুত অসংখ্য কষ্ট মেশানো সব কণা....
তখন নিমিষেই- ভীষণ বৈরী সব নিয়ম নিষেধ দুমড়ে-মুচড়ে
তোমার সাজানো অহংকার ভেঙ্গে পড়ে,
ছিটকে পড়া নুড়ি পাথরের মতো....।
মুহুর্তে এক আশ্চর্য্য ক্ষিপ্রতায়-হিম শীতল এক
‘বৃষ্টি’ ঢুকে পড়ে -তোমার অস্তিত্বে, অনুভবে, সত্বায়-
অনুতাপে !
আর তখন-
একটি হারিয়ে ফেলা প্রিয় ডায়রীর সবকটি পাতা
একটু একটু করে উল্টে দেখার মতো করে- হু হু বেদনায়-
তোমার আবার একটু একটু করে
মনে পড়ে যেতে থাকে....
আমাকে!
.......................
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।