দাবি সমূহ :
* সব শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান জীবনী মুবারক বাধ্যতামূলক করণ,
* দেশব্যাপী মুসলমানদের উৎসব ভাতা প্রদান,
* সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ,
* জাতীয় গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা,
* বিশ্বছুটি ঘোষণার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ,
* মাসব্যাপী সরকারি ছুটি ঘোষণা,
* বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালা ঘোষণা,
* এ দিনে দেশের সব মসজিদ-মাদরাসা-ইয়াতীমখানায় মীলাদ-ক্বিয়াম মাহফিলের আয়োজন ও বিশেষ খাবার সরবরাহ,
* দেশব্যাপী সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাসমূহ মনোরম সাজে সজ্জিতকরণ
* এ মুবারক দিনের ভাবমর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষা করা এবং
* যুদ্ধাপরাধী, রাজাকারদের দ্রুত বিচার
সরকারের ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতায় মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ঈদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে পালনের দাবিতে গত পরশু শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিশাল মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩ দল অর্থাৎ জাতীয় কুরআন শিক্ষা মিশন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা পরিষদ, বাংলাদেশ ফিতনা প্রতিরোধ কমিটি, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত, ইমাম-মোয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদ, কোরআন প্রচার সংস্থা, হাক্কানী তরীকত ফেডারেশন, আমরা ঢাকাবাসী, বাংলাদেশ এতিমখানা কল্যাণ সমিতি, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ ঐক্যজোট, বঙ্গবন্ধু ওলামা পরিষদ সম্মিলিতভাবে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে সব শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান জীবনী মুবারক বাধ্যতামূলক করণ, দেশব্যাপী মুসলমানদের উৎসব ভাতা প্রদান, সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ, জাতীয় গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, বিশ্বছুটি ঘোষণার জন্য সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ, মাসব্যাপী সরকারি ছুটি ঘোষণা, বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালা ঘোষণা, এ দিনে দেশের সব মসজিদ-মাদরাসা-ইয়াতীমখানায় মীলাদ-ক্বিয়াম মাহফিলের আয়োজন ও বিশেষ খাবার সরবরাহ করা, দেশব্যাপী সরকারি-বেসরকারী স্থাপনাসমূহ মনোরম সাজে সজ্জিতকরণ এবং এ মুবারক দিনের ভাবমর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে সরকারের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ উনার পবিত্র ৫৮ নম্বর আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “(হে আমার হাবীব!) আপনি বলুন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল ও রহমত অর্থাৎ আমাকে পাওয়ার কারণে তোমাদের উচিত ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা। অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা। ”
এ আয়াত শরীফ মোতাবেক হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ায় আগমনের দিনটি মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন তথা মহা খুশির দিন হিসেবে সাব্যস্ত।
বক্তারা বলেন, মূলকথা হলো হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়ায় তাশরীফ আনেন রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসের ১২ই শরীফ। আর এ কারণেই ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ হচ্ছে- মুসলমানদের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ। কিন্তু জামায়াত-জোট সরকার এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানের প্রাণের দাবি পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনদিন পালন করেনি। জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মিঃ মওদুদীর অনুসারীরা তথা মওদুদীবাদীরা বিজাতীয়দের থেকে আমদানিকৃত মতবাদকে ইসলামের লেবেল লাগিয়ে তারা পালন করেছিল সীরাতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
বক্তারা বলেন, আমাদের মহান নেতা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম এদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের প্রচলন শুরু করেন।
তিনি মুসলমানদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মীলাদ শরীফ পড়াকে উৎসাহিত করেন এবং তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশরতœ, জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার মীলাদ শরীফ পাঠের মাধ্যমে গণভবনে উঠেন। দেশরতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনঃপ্রচলন করেন। সে ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যাপক জাঁকজমকের সাথে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলমানের প্রাণের আবেগ, দাবী ও নিগূঢ় অনুভূতি।
বক্তারা বলেন, ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব তথা ‘খ্রিসমাস ডে’ বা বড়দিন পালনার্থে সরকারিভাবে সব ধরনের সহায়তা করা হয়। যেমন- সরকারের পক্ষ থেকে উৎসব ভাতা প্রদান, ছুটির ব্যবস্থাকরণ, পণ্যদ্রব্যে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থাকরণ, বিশেষ খেলাধুলার আয়োজন, ভালো খাবার-দাবারের ব্যবস্থা, চার্চে মিলিত হওয়া, কেক কাটা, উপহার বিনিময়, ঘরবাড়ি সাজানো প্রতিযোগিতা, ঘরের দরজা থেকে দরজায় ঘুরে বেড়িয়ে ‘খ্রিসমাস ডে’ বা বড়দিনের আগমনী বার্তা প্রচারসহ হরেক রকম সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়।
বক্তারা বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিসমাসের আগমনী বার্তা সবাইকে জানিয়ে দিতে বিশাল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিশেষ খেলাধুলা-কনসার্টের আয়োজন করে খুশি প্রকাশ করে তারা। ‘খ্রিসমাস ডে’ ২৫ ডিসেম্বর হলেও ১ ডিসেম্বর থেকেই বড়দিনের উৎসব শুরু করা হয় ইতালিতে এবং শেষ করা হয় ৬ জানুয়ারি। অর্থাৎ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তারা এ দিন পালন করে। আমেরিকায় ক্রিসমাসের চার সপ্তাহ আগে থেকেই বড়দিনের প্রস্তুতি শুরু করা হয়।
ব্রাজিলে আগে থেকেই ঘরবাড়ি সাজানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং ক্রিসমাসের দিন বিচারকরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাদের বাসা সবচেয়ে বেশি সুন্দর করে সাজানো হয়েছে, সেটা খুঁজে বের করে পুরস্কৃত করে এবং চার্চগুলোতে একত্রিত হয়ে তারা বড়দিন উদযাপন করে। মেক্সিকোতে প্রায় ৯ দিন ধরে মানুষেরা দরজা দরজায় ঘুরে বেড়িয়ে ক্রিসমাসের আগমনী বার্তা প্রচার করে এবং ১২ ডিসেম্বর থেকে বিশেষ খাবার খেয়ে মেক্সিকানরা ক্রিসমাসের উৎসব শুরু করে এবং ৬ জানুয়ারি বিশেষ খাবার খেয়ে শেষ করে। এভাবে সরকার ও জনগণের সমন্বয়ে দেশে দেশে খ্রিস্টানরা ‘খ্রিসমাস ডে’ বা বড়দিন পালন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে।
বক্তারা বলেন, খ্রিস্টানরা যদি সরকারি-বেসরকারিভাবে তাদের নবীর জন্মদিন এত জাঁকজমকের সাথে পালন করে, তাহলে যিনি না আসলে খ্রিস্টানদের যিনি নবী হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনিও আসতেন না তাহলে উনার জন্মদিন তথা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদের জন্য কতটুকু জাঁকজমকের সাথে পালন করতে হবে তা রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সরকারকে ভালভাবে চিন্তা করতে হবে ও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে সরকারকে বছরব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে এবং মাসব্যাপী বিশেষ ব্যবস্থায় সরকারি ছুটির উদ্যোগ নিতে হবে।
যদিও পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে গত ১৩ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি প্রণয়ন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়; যা জামাত-জোট সরকার কোনদিন করেনি। সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সবাইকে আমরা মুবারকবাদ জানাই। তবে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ আরো ব্যাপক না হলে তা সমালোচনা মুক্ত হবেনা। যেমন- সরকার বিধর্মী রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জন্মদিন উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠান পালন করলেও পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালা ঘোষণা না করায় ৯৭ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে মুসলমানরা ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার হচ্ছে; যা সরকারের ভাবমর্যাদাকে ক্ষুণœ করছে।
বক্তারা আরো বলেন, সরকার প্রতি বছরই দুর্গাপূজাকে সফল করতে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব তহবিলসহ সরকারের বিভিন্ন তহবিল থেকে কোটি কোটি টাকা নগদ অনুদান দেয়া হয়।
হাজার হাজার মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়। মন্ত্রী-এমপিরা পূজাম-প ঘুরে ঘুরে নগদ টাকা বিতরণ করেন। কিন্তু মুসলমানদের ঈদে বা ধর্মীয় কোন উৎসবে নগদ টাকা বা চাল, ডাল বরাদ্দ করা হয়না। এক্ষেত্রেও মুসলমানগণ বৈষম্যের শিকার। এ বৈষম্য দূর করতে সরকারকে আসন্ন পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে মুসলমানদের প্রতিটি ধর্মীয় উৎসবে নগদ অর্থ, বস্ত্র, চাল, ডাল বরাদ্দ শুরু করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবান অনুযায়ী দেশ থেকে ঘুষ-দুর্নীতি, এসিড সন্ত্রাস, নারী টিজিং, মাদকাশক্তি, অশ্লীলতা তথা সামগ্রিকভাবে সমাজকে নৈতিক অধঃপতন থেকে রক্ষা করতে হলে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে সব শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান জীবনী মুবারক বাধ্যতামূলক করতে হবে। এছাড়া পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করতে হবে, নবীদের নবী রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবনী মুবারক-এর উপর জাতীয় গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এতে দেশের মধ্যে রহমত-বরকত নাযিল হবে। গোটা দেশ সমৃদ্ধিতে ভরপুর হয়ে উঠবে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সামগ্রিক অবস্থার উন্নতি হবে, সামাজিক নিরাপত্তা ফিরে আসবে।
বক্তারা আরো বলেন, খ্রিস্টানদের বড়দিন উপলক্ষে বিশ্বের সবদেশে ছুটি দেয়া হয় অথচ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে বিশ্বের সবদেশে ছুটি দেয়া হয়না।
তাই বিষয়টি জাতিসংঘে উথাপন করে বিশ্বছুটি কার্যকর করতে সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া এ মুবারক দিনে দেশের সব মসজিদ-মাদরাসা-ইয়াতীমখানায় বিশেষ মীলাদ-ক্বিয়াম মাহফিল আয়োজন ও বিশেষ খাবার সরবরাহ, দেশব্যাপী সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাসমূহ মনোরম সাজে সজ্জিতকরণ এবং এ মুবারক দিনের ভাবমর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষায় শরীয়তের খিলাফ সবকিছু বন্ধ করতে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের বিচারে সরকারকে আরো কঠোর অবস্থান নিতে হবে। ’৭১-এ আমাদের স্বাধীনতা বিরোধী বহিঃশত্রুদের চাপের বিরুদ্ধে জোরালো পাল্টা শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনালে রাজাকারদের এজেন্ট থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তাই ট্রাইব্যুনালে এজেন্টরা লুকিয়ে আছে কিনা তা ভালো করে ক্ষতিয়ে দেখতে হবে এবং ট্রাইব্যুনালের তথ্য যাতে ‘লিক আউট’ না হয় সে পদক্ষেপ নিতে হবে।
সবশেষে বক্তারা বলেন, জামাত-শিবিরকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে এদের নিবন্ধন বাতিলের উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ সাপের বাচ্চাকে দুধ-কলা খাওয়ালেও সে ছোবল মারবেই। এটাই তার স্বভাব। এক্ষেত্রে সরকারের নীতিনির্ধারকদের আরো কার্যকর উদ্যোগী হতে হবে।
অর্থাৎ যেকোন মূল্যে যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের বিচারসহ জামাত-শিবিরকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা আমরা ১৩ দল সরকারকে সব ধরনের সহায়তা করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ পীরজাদা পীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আখতার হোসাইন বোখারী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন- সাধারণ সম্পাদক, কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী এবং হাফেয মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক- বাংলাদেশ ফিতনা প্রতিরোধ কমিটি। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী ওলামা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আলহাজ্জ হাবিবুল্লাহ রূপগঞ্জী।
সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা মুহম্মদ মোতাহের হোসেন (ইলিয়টগঞ্জী), দপ্তর সম্পাদক, মুহাম্মাদ শওকত আলী শেখ সিলিমপুরী। মাওলানা মুহাম্মাদ মোস্তফা চৌধুরী (বাগেরহাট হুজুর), মাওলানা নূর মুহম্মদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি, হাফেজ মাওলানা আব্দুল জলিল, জাতীয় কুরআন শিক্ষা মিশন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি-লায়ন আলহাজ্জ মাওলানা মুহাম্মাদ আবু বকর ছিদ্দিক। হাফেজ মুহম্মদ খালেদ হাসান, মৌলভী মুহম্মদ আওলাদ হোসেন, আলহাজ্জ হাফেজ ক্বারী কাজী মাসুদুর রহমান, মাওলানা মুহম্মদ ক্বারী আসাদ, মাওলানা ইউসুফ সিদ্দীক্বী, আলহাজ্জ মুহম্মদ ফজলুর রহমান পাটোয়ারী, মাওলানা মুহম্মদ রুহুল আমীন নুরী, ওলামা লীগ নেতা মাওলানা মুহাম্মাদ ফজর আলী মোল্লা। এস এম আলহাজ্জ ওছীউদ্দিন নূরানী। মাওলানা নূর মুহম্মদ রব্বানী, মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুস সালাম টাঙ্গাইল, মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সোবহান, মাওলানা ক্বারী মুনিরুজ্জামান, হাজী মো. শুক্কুর, মোঃ গিয়াসউদ্দিন, মৌলভী মুহম্মদ মঞ্জুর হোসেন, মৌলভী মো: আক্কাছ আলীসহ অন্যান্য জাতীয় নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া মীলাদ-ক্বিয়াম শরীফ ও মুনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের প্রধান মুয়াজ্জিন আলহাজ্জ কাজী মো: মাসুদুর রহমান।
সূত্রঃ জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।