আপনা মাঝে খুঁজেফিরি নিজেকে
বিজ্ঞানের ব্যাখ্যায় সুনির্দিষ্ট কারণে মানুষ জন্মায়। এবং একটা লাইফ সাইকেল পার করে আবার মৃতু্যবরণ করে। কিন্তু মিথোলজির দিকে তাকালে দেখা যায় প্রত্যেকেরই একটা শ্রষ্ঠা আছেন। ওনার ইশারাতেই সব হয়। হয়ত দুটোই ঠিক।
কিন্তু প্রায়শঃই যুক্তিবাদী রা পড়েন বিপদে। কারণ আমাদের সমাজ যুক্তিবাদীতার চেয়ে ভাববাদে বেশি আসক্ত।
এই যেমন জ্যোতিষী বলেছেন বলে ভারত বাংলাদেশের সাথে হেরেছে- অথবা শ্রীলংকার সাথে জিতবে; ইত্যাদি। কিন্তু কখনও কখনও এমন ঘটনা ঘটে যার যৌক্তিক ব্যাখ্যা মেলেনা। কাকতালীয়ভাবে ভাববাদের জয় হয়।
ফলে সংসারে ওঁদের দৌরাত্ম বাড়ে বৈ কমে না।
জগৎ সংসারে নাকি কৃষ্ণই একমাত্র পুরুষ আর সব রাধা অর্থাৎ প্রকৃতি। পরম পুরুষের সাথে মিলনের অমিত বাসনায় জীবকুল সদা ব্যস্ত। আমৃতু্য তাই ওঁর পিছে ছোটা। জীবাত্মার মুক্তি তখনই হয় যখন সে পরমাত্মার সাথে অসীমে মিলিয়ে যায়।
নতুবা ফিরে ফিরে জন্মায়। ভাববাদের কোন এক স্কুল অব থট এটা বিশ্বাস করেন। ধরে নিলাম এটাই সৃষ্টির সুপ্রীম ল্।
ওদিকে মহামতি স্টিফেন হকিন বাধিয়েছেন মহা গণ্ডগোল। ওনার ব্লাক হোল থিওরী কৃষ্ণবাদীদের যুক্তিকে করেছে আরও সুদৃঢ়।
মহাকাশের সবকিছুই নাকি ধ্বংসের পর কৃষ্ণগহ্বরে মিশে যায়। যুক্তিবাদ-ভববাদের কী অপূর্ব মিল। এখন আমরা যুক্তিবাধী হব নাকি ভববাদের জয়গানে মুখরিত করব আকাশ-বাতাশ। নাকি মধ্যপন্থা অবলম্বন করা শ্রেয়? বুঝে উঠতে পারি না। তাই মধ্য পন্থায় চলি।
যেমন ধরুন- প্রেম কে মনে হয় বয়সের ফালতু আবেগ। Lost Of Valuable Energy (LOVE)। তাই ওটা থেকে 100 হাত দূরে থেকে চলি। আবার ভাবি অদৃশ্য এই বিষয়টায় নিশ্চই কোন মহিমা রয়েছে। নইলে মানুষগুলো ওর পিছনে ঘুরে ঘুরে মরেত কেন।
তাই মনে মনে খুঁজে ফিরি প্রকৃতিরূপ কোন রাধাকে। কখনও কখনও মনে হয় চিৎকার করে বলি- তোরা যে যা বলিশ ভাই আমার সোনার হরিণ চাই...
কিন্তু আবার ফিরে আসি যুক্তিবাদে। কি লাভ ওই মরিচীকার পিছে ছুটে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।