আবহমান বাংলার চিরচেনা শিউলি ফুল নিয়ে শুধু বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই নয় সেই পৌরনিক কাল থেকে কত গান কাব্য সাহিত্য রচিত হয়েছে তার কোন হিসেব নেই। শিউলির মত অন্য কোন ফুল নিয়ে কবি সাহিত্যিকদের এত মাতামাতি হয়েছে তা জানা নেই। এই ফুলকে শিশিরের শিউলি, শরতের শিউলি, শীতের শিউলি আরও কত নামে ডেকেছেন তারা। স্থানীয়ভাবে এই ফুল শেফালি নামেও পরিচিত।
শিউলি ফুল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ও থাইল্যান্ডের কাঞ্চনাবুরি প্রদেশের রাষ্ট্রীয় ফুল।
শিউলির গাছ নরম ও ধূসর বাকল বিশষ্টি। গাছ ১০ মিটার ও পাতা ৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। মিষ্টি সুগন্ধি জাতীয় এই ফুলে রয়েছে পাঁচ থেকে সাতটি সাদা বৃত্তি। মাঝে লালচে-কমলা টিউবের মত বৃন্ত। এই ফুল সাধারনত শরত্কালে ফোটে থাকে।
ফুল রাতে ফোটে আর সকালে ঝরে যায়। শরৎ ও হেমন্তকালের শিশির ভেজা সকালে ঝরে থাকা শিউলি অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য তৈরি করে।
নগর সভ্যতার বিবর্তনের ফলে শিউলি ফুল হারিয়ে যেতে বসেছে। প্রযুক্তির যাতাকলে পিষ্ঠ নতুন প্রজন্ম এই ফুল চেনে না বললেই চলে। নতুন করে এখন আর যত্ন করে শিউলি গাছ কেউ রোপন করে না।
অনাদর-অবহেলায় বেড়ে উঠা শিউলি ফুলের গাছ তবু চোখে পড়ে মাঝে মধ্যেই। হয়ত এখনও শিউলিতলা ভোর বেলা পল্লী বালিকারা ফুল কুড়াতে ভীড় জমায়। শিউলি ফুলের মালা গেঁথে প্রিয়জনের অপেক্ষায় থাকেন কেউ কউ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।