অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
অনেক দিন পর তিন বন্ধু চতুর্থ এক বন্ধুর মেয়ের বিবাহোত্তর ভোজসভায় মিলিত হলো। মামুন, হারুন আর নুরু নামের তিন বন্ধু প্রাক কৈশোর জীবনে বিচ্ছিন্ন হয়েছিলো, জীবন আর জীবিকার প্রয়োজনে, অনেক ঘাটের জল ঘোলা করে অবশেষে এই পরন্ত বেলায় তারা যথাক্রমে বুদ্ধিজীবি, আমলা ও রাজনৈতিক হয়েছে।
তাদের পেশাগত জীবনটা তাদের ভাববার আর দেখবার ভঙ্গিটাকেও প্রভাবিত করেছে। তাদের জীবনদর্শন এবং তাদের শব্দ চয়নেও ভুমিকা রেখেছে তাদের পেশগত জীবনভাবনা। তবে উত্তীর্ণ পঞ্চাশে মদনের শর নতুন করে কার্যকর হয়ে যায়।
মানুষ ছোঁকছোঁক করে, খানিকটা সহধর্মিনীর সদ্য মেনোপোজে যাওয়া বিরক্তি ও সঙ্গম উদাসীনতা, কিছুটা তাদের অভ্যস্ত যৌনজীবনের অবসাদ। তাই এরা মাঝে মাঝেই বিকল্প উদভাবন করে। এমন সময়ে না কি আর্মি ক্যাফেটেরিয়ায় ব্লাইন্ড ডেট হয় গাড়ীর চাবি দিয়ে, আমলারা নিজেদের বিবিদের পরস্পর বদল করেন, এইসব সময়ে রাজনৈতিকরা কি করেন? তারা নিজস্ব নামে বা বেনামে কেনা ফ্ল্যাটে পার্টির মহিলা কর্মিদের নিয়ে গোপন নৈশভোজ কিংবা গোলন মধ্যাহ্ন ভোজ সারেন, বিনিময়ে তাদের রাজনৈতিক প্রতাপ সামান্য বাড়িয়ে দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় মহিলা রাজনৈতিক কর্মিকে নিয়ে এমন গুজব রটেছে। তাদের ক্ষমতার উৎস বন্দুকের নল এবং চমড়ার নল।
তবে এসব পরিধিস্থ আলোচনা বাদ দিয়ে আমরা ফিরে যাই তাদের কৈশোর এবং প্রাক কৈশোর জীবনে। তখন তাদের আলোচনায় পাশের পাড়ার খেলার মাঠের কিশোরদের টেককা দেওয়ার ভাবনার সাথেই একই পাড়ার ইরা মীরা নীরাদের পটানোর কলাকৌশোল নিয়েও বিস্তর আলোচনা হতো।
সেদিন বিশ্রামকালীন সময়ে তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলো নারী। বিশেষত তারা সকলেই নিজেদের শৃঙ্গারপারঙ্গম ভাবতে অভ্যস্ত এবং তাদের নিজস্ব শৃঙ্গারকৌশলের মাহত্ব্য প্রচারের একটা সুক্ষ প্রতিযোগিতাও ছিলো তাদের। সদ্যযুবতি কোনো নারীকে পটাতে ও বশ করতে হলে আসলে কোন কোন অঙ্গ প্রয়োজন,
মামুন ,যাকে কিশোরকালে সবাই ভোদাইচন্দর বলতো তার উলটাপালটা কথাবার্তার জন্য সেই বুদ্ধিজীবি মামুন বললো আসলে শৃঙ্গারের মূল অঙ্গ হলো মস্তিস্ক, মস্তিস্কই আসলে সব উদ্দিপনার সেন্টার।
আমাদের সকল মানসিক অনুরণনের ক্ষেত্র মস্তিস্ক, আর শৃঙ্গার আলসে একটা পরিকল্পনার বিষয়, কখন কোথায় স্পর্শ করতে হবে এটা আগে থেকেই নির্দিষ্ট করে রাখতে হবে, ধাপে ধাপে চরমে উঠতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।