বেঁধেছে এমনও ঘর শুন্যের ওপর পোস্তা করে..
আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। টেনিস খেলার সর্বশেষ সংস্করণের নাম বিউটি টেনিস। ভলিবলের নতুন সংস্করণ যেমন বিচ (কুত্তি নয়, সৈকত) ভলিবল তেমনি বিউটি টেনিস। এই খেলার অনন্যসাধারণ বৈশিষ্ট হচ্ছে যে এটি শুধু শারিরীক খেলা নয়, শরীর ও বুদ্ধিবৃত্তির চমৎকার একটি সমন্বয় ঘটেছে এখানে।
সাধারণ টেনিসের সাথে এ খেলার প্রথম পার্থক্যের জায়গা হচ্ছে যে এই খেলায় কমপক্ষে এগারোজন মূল খেলোয়াড় লাগে।
তাছাড়া ও লাগে অন্যান্য সহযোগী। অন্যান্য খেলার মতো 11 জনের একজন ক্যাপ্টেন বা প্রধান খেলোয়াড় থাকেন। তবে তাকে ব্যাংকার হতে হবে এমন কোন পূর্বশর্ত নেই।
এই খেলায় মূল 11 জন খেলোয়াড় 1 টি ভেনু্য নির্বাচন করেন। যেহেতুখেলাটি ব্যয়বহুল এ কারনে খেলার মাঠে অবশ্যই কয়েকজন বিদেশী অতিথিকে দাওয়াত দিতে হবে।
তার সাজগোজ করে খেলার মাঠের সবচেয়ে সুবিধাজনক জায়গাটিতে আসন নেবেন। তবে তারা সুন্দর ও হতে পারেন আবার অসুন্দর ও হতে পারেন ( উদাহরণ হিসেবে কি বলা যায়... কি বলা যায়... এই যেমন বর্তমান মার্কিন রাস্ট্রদুত প্যাট্রিসিয়া বিউটিনেসের মতো সুন্দরী হতে পারেন আবার আগের মার্কিন রাস্ট্রদুতের মতো বেঢপ, কদর্য ও হতে পারেন, এটি নিছকই উদাহরণ, দয়া করে অন্য কোন উদ্দেশ্য আবিস্কার করবেন না)।
এই খেলায় টেনিস র্যাকেটের বদলে মুগুর সাইজের একটি ব্যাটের ব্যবহার হয়, একারনে মুগুর ভাজতে পারে এরকম কিছু সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক দরকার হয়। ( যারা নিয়মিত পিটি বা কুচকাওয়াজে অংশ গ্রহণ করে এরকম লোক হলে ভালো হয়)। দর্শক হিসেবে আশেপাশের পাবলিক খবর দিতে হয় যারা এ খেলার প্রতিটি মুহুর্ত উপভোগ করবে।
এলাকার প্রভাবশালী বা নেতাগোছের যারা তারা দর্শকের আসনে থাকবেন না, তারা থাকবেন মাঠের মধ্যে। প্রসঙ্গত বলা দরকার এ খেলায় মূল খেলার চেয়ে খেলার প্রস্তুতি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আগেই বলা হয়েছে ব্যয় নির্বাহ সহ যাবতীয় আয়োজনে মূল ভূমিকা পালন করেন বিদেশী অতিথিরা। খেলার প্রাক প্রস্তুতিকে কোন নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে রাখা হয়নি। এটি খেলোয়াড়দের জন্য মুক্ত রাখা হয়েছে।
তবে খেলায় অংশগ্রহণে এলাকার মোড়লদের বিবাদ কাজে লাগিয়ে খেলার সবচেয়ে আকর্ষনীয় অংশের প্রস্তুতি নেয়া হয়। যে কারনে এ খেলায় বুদ্ধিবৃত্তির একটি বিশেষ ভুমিকা রয়েছে।
খেলার শুরুতে মুগুরধারীরা মাঠের মধ্যে মুগুর ঘুরিয়ে এলোপাথাড়ি দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন। কিছুক্ষণ পরেই তারা মাঠের মধ্যে উপস্থিত মোড়লদের ধাওয়া করেন। মোড়লদের হাতে নির্যাতিত উপস্থিত দর্শক মজা পেয়ে হাততালি দিয়ে ফাটিয়ে ফেলেন।
খেলা শুরু হয়ে যায়।
খেলার এক পর্যায়ে উপস্থিত হন আরো কিছু স্বেচ্ছাসেবক যারা মাইক্রোফোন হাতে খেলার ধারাবিবরণী দেয়া শুরু করেন। তাদের সবার পকেটে থাকে বড়োসড়ো সাইজের একটি ধুলোর প্যাকেট। তারা কৌশলে দর্শকদের মধ্যে প্রবেশ করে ধুলা উড়াতে থাকেন। ধুলোয় ধোয়াশা হয়ে যায় চারিদিক।
এই ফাকে বিদেশী অতিথিরা মুগুরধারী ও দৌড়ের ওপর থাকা মাতবরদের কাছে ডাকেন। তখন এ খেলার ফরমেট বদলে অনেকটা লুকোচুরি খেলার রুপ নেয়। কি যেন ফিসফিস চলতে থাকে। দর্শকরা ব্যস্ত থাকে চোখের ধুলা অপসারণে। ধুলো যতক্ষণে অপসারিত ততক্ষণে খেলা প্রায় শেষ।
তাদের মনে তারপরেও আনন্দ। কারন অত্যাচারি মোড়ল যে ধাবড়ানি খেয়েছে তা তার মনে মহা সুখানুভুতি এ েন দেয়। আয়োজকদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তারা মনের সুখে বাড়ী যায়।
খেলা এখনো শেষ হয়নি। বাড়ী ফিরে দর্শকরা দেখতে পায় তাদের ঘটি বাটি কিছুই নেই।
তারা অবাক হয়ে আয়োজকদের কাছে জানতে চায় , ঘটনা কি? তারা উত্তর পায় এ খেলার নাকি এরকমই নিয়ম। বিদেশী অতিথিদের উপটৌকন হিসেবে দেয়ার মতো আর কিছু তো নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।