যে ঘড়ি তৈয়ার করে - সে - লুকায় ঘড়ির ভিতরে
বিশ্ব ইজতিমার পয়েন্টটা কি? টিভিতে আখেরী মোনাজাতের পরে মানুষের বেরিয়ে যাওয়ার সময়ের লাগামহীন, অসহনশীল ধাক্কা ধাক্কির দৃশ্য দেখছিলাম আর ভাবছিলাম পয়েন্টটা কি? সাধারন ভদ্রতাটুকু, অন্য আরেকজন মানুষের প্রতি খুব স্বাভাবিক ভদ্র আচরনটুকু যে ধর্মপালন শেখায় না, সেইখানে এই সব লাখ মানুষের সমাবেতে কি আসে যায়?
পেপারে পড়লাম সারা বিশ্বে দ্্বীনের দাওয়াত ছড়িয়ে দেওয়ার শক্তির দেওয়ার প্রার্থণা করা হইলো। দ্্বীনের দাওয়াত কিয়ের লাইগা?
খবরে দেখি অমুক গুদামের তমুক হাজ্বী সাবের গুদামে লক্ষ বস্তা পচা গম, চাউলের মজুদ। ঐ পঁচা গম, শষ্য গুদাম করে মার্কেটে ক্রাইসিস তৈরী করে এই দাড়ীতে মেহেন্দী লাগানো মোছলমান 3 বার হজ্জ আর 12 বার উমরা পালন কইরা আসেন স্ব পরিবারে। মানষের হক মাইরা জমানো টাকায় গ্রামে মসজিদ মাদ্রাসাও হইছে হয়তো দুই একটা। এই হইলো আমাদের বৃহত্তর অবস্থা।
গুদাম মালিকের চাইতে অন্যদেরও খুবএকটা পার্থক্য নাই মরালিটির দিক দিয়া। চানস পাইলেই অন্যরে ঠকাও, অন্যের হক নষ্ট করো, সরকারী মাল মাইরা দাও আর আখেরী মোনাজাতে দৌড়াও। ইস।
রাজনীতিজীবারাও চ্যালা চামুন্ডা নিয়া বইসা থাকেন মোনাজাতের পোজ দেওয়ার জন্য। এক ম্যাডাম তার সিংহাসন নিয়া, আরেকজন কপালে সিজনাল পট্টি দিয়া।
এই হইলো দেশের মানুষগো প্রতিনিধি নেতাদের রিপ্রেজেন্টেশন।
অন্যদিকে সাধারন মানুষের পয়সা মাইরা গাঙ্গ করে। নিজেরে ভালো মানুষ করা, অন্তত বেসিক মোরালিটিটা মাইনা চলা - হাজারটা আখেরী মোনাজাতের চাইতে বেশি প্রায়োরিটি। এত লাখ টাকার এই আয়োজনের পয়েন্টটা তো আমি দেখি না, কেবল জোরে সোরে দাবী করা ছাড়া যে হজ্জের পরে দ্্বীতিয় বৃহত্তম জমায়েত। এই কোয়ান্টিটিতে কি হইবো যদি কোয়ালিটিতে বেড়াছেড়া থাকে?
হায়রে আখেরী মোনাজাত! আদৌ পৌছায় ঐ মোনাজাত কোথাও,কারো কাছে!?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।