অতীতকে নিয়ে নস্টালজিক হতে ভালোবাসি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতেও।
নতুন বছরের প্রথম মাস প্রায় শেষ, অবশেষে এর নতুনত্বটা অনুভব করা শুরু করেছি (সব কিছুর মত এ ব্যাপারেও দেরি... । মীরাকে নিয়ে যে কি করা যায়!) এর পেছনে কারনও অবশ্য আছে - স্কুলের জন্য তৈরি হওয়ার সময় যাচ্ছে এখন। ক'দিন পরেই দশম শ্রেনীতে পা দেওয়ার মজা টের পাবো। বছর শেষের স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার (এস এস সির বিকল্প) জন্য প্রথম থেকেই চাপ।
তাছাড়া এ বছরে আমরা হাই স্কুলের জুনিয়রদের মাঝে সবচেয়ে বড় । সব মিলিয়ে এক টানে বড় করে ফেলার চেষ্টা চলবে। তাই প্রস্তুত থাকাই ভালো ।
সেদিন একটা নতুন ব্যাগ আর এক জোড়া জুতা কেনা হলো স্কুলের জন্য। মীরা অতি আনন্দের সাথে আবিষ্কার করেছে যে তার জুতার সাইজ এক সাইজ বেড়েছে।
তার মানে সে গত এক বছরে বেশ কয়েক সেন্টিমিটার লম্বা হয়েছে। আর ব্যাগ? নিয়ম অনুযায়ী ব্যাগের সাইজ আস্তে আস্তে ছোট হওয়ার কথা। কিন্তু এ বারের ব্যাগ গতবারের ব্যাগের থেকে বড় , কারন - এ বারের খাতাগুলোও বিরাট!
খাতার ব্যাপারে যে জিনিষটা আমি বড়ই অপছন্দ করি তা হচ্ছে মোলাট করা। আটটা খাতা মোলাট করতে আমার লেগেছে দু'সপ্তাহেরও বেশি। আঠাযুক্ত কাগজটাকে সাবধানে ধরতে হয়, একটু ভুল হলেই খাতার অবস্থা বারোটা বাজে।
মোলাট করেই শেষ না - ভেতরেও কাজ করতে হয়েছে। এখনও ক্লাস শুরু হয় নাই, আর এখনই এতো কিছু!
ক'দিন আগে সাদা শার্টগুলো হাতে ধুয়ে সাদা করেছি। মার কথা - নীল না দেওয়ার কারনে সাদা শার্ট সাদা থাকে না। কিন্তু আমার মনে হয় নীল দিলে কাপড়ে নীলচে ভাব চলে আসে (সাদাটে ভাব আসে না)। আর প্রতিবার এতো সময় নষ্ট করে কে নীল দেয়? তবে আমার চিকিৎসা কাজ করেছে - কাপড় অবশেষে সাদা হইয়াছে ।
আজকাল আমার প্রতিটা পয়সা জমাতে হচ্ছে। এ বছর অনেক খরচ আছে - ষোল হওয়ার সাথে সাথে লার্নার্স লাইসেন্স নিতে হবে, যেটা হলে গাড়ি চালানো শিখতে পারবো। এর আগে আছে ক্যাম্প (বি-রা-ট খরচ)। আমাদের স্কুল সাধারনতঃ বেশি ক্যাম্প দেয় না - এবং তাই এবার (হলেও হতে পারে) আমার শেষ ক্যাম্পে যাওয়া। যার উপার্জন কয়েক টাকায় সীমিত, তার দ্্বারা এতো টাকা এতো তাড়াতাড়ি বের করা সম্ভব?
যাহা হউক, এ বছরে আমার পুরোপুরি আঁতেল হয়ে যাওয়ার প্ল্যান।
বড় ব্যাগ, ধবদবে শার্ট ও নতুন জুতো জোড়া এ কাজে বড় সাহায্য করবে - চোখে চশমা আর দাতে ব্রেস লাগায় দিলেই কমপ্লিট হতো । তবে পড়াশুনার দিক দিয়ে - অবশ্যই হতে হবে! গত বছরের বেঠিক কর্মের জন্য দাম দিতে হবে, কি আর করা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।