আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কবিতা??- আনকোরা বুদ্ধিজীবি চাই, ফটোজেনিক হলে ভালো হয়

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

এটাকে কবিতা বলা চলে কি না এ বিষয়ে আলোচনা চলতে পারে সমান্তরাল ভাবে। গত রাতে অনেকটা আকস্মিক ভাবেই শ্রদ্ধেয় মামুন রশীদ সাহেবের সাক্ষাৎকার দেখার দুর্ভাগ্য হয়েছিলো। তিনি অর্থনীতিবিদ- অনেক বিষয়েই তিনি প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে দক্ষ আমার তুলনায়। নগন্য আমি খানিকটা হচকচিয়ে যাই- এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন সিন্ডকেট তৈরি করে কৃত্রিম ভাবে দাম বাড়ানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন। কাঁচা বাজারে সিন্ডিকেট সক্রিয় না।

চাল, তেল, সোনা এসব নিয়ে যে সব সিন্ডিকেট কাঁচা বাজারের মুল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী তারা আসলে মুল্য বৃদ্ধিতে তেমন প্রভাব রাখেন না। মূলত দাম নির্ভর করে চাহিদা- যোগান রেখার ঢালে। আমি নির্বাক, বিবশ এবং বিবমিষাক্রান্ত হইযুগপত-বড়ই ফাঁকা লাগে চার পাশ- কাঁচা বাজার সংক্রান্ত আমার চেতনা সবজি আর শস্যের আশেপাশে- এমন কি এখন কাঁচা বাজারে যেতে হলে আমি সেই আলো-পটল- বেগুন-ঝিঙ্গে-শসা- টমেটোঅধু্যষিত রঙ্গিন প্রান্তরে চলে যাই। আমার এ জানা তবে ভুল ছিলো- আমার কাঁচা বাজার যাওয়ার যে রাস্তা সোনাহারের দোকান স্পর্শ করে না তা কি রূপে কাঁচা বাজার হবে। আমি হতাশায় ভুগি- তবে এত দিন যা জেনেছি ভুল সবই ভুল।

অবশ্য সময়সল্পতার কারনে এখনও অন্যসব চেতনা ক্রিয়াশীল। নতুনবা হয়তো আরও খানিকক্ষণ দেখলে চেতনার সামগ্রিক বিপর্যয় ঘটে যেতো। তখন হার্ডওয়ারের দোকানে গিয়ে উইন্ডোজ ভিসটা খুঁজতাম কিংবা অটবিতে গিয়ে বলতাম 5 আনার ধনে পাটা হলে ভালো হতো। কিংবা ফিলিপসের শোরুমে গিয়ে বলতাম ভাই 2 টাকার লবন দিবেন? এমন অনেক জাগতিক সংঘর্ষ থেকে মুক্ত হয়ে হয়তো মুদি দোকানদারের কাছে কয়েক ভরি সোনাও চাইতে পারতাম। অনেক কিছুই হলো না কারন সময়সল্পতার।

তবে এর একটা প্রতিক্রিয়া থাকেই। নিউটন সাহেব শ্রদ্ধাহ্য- তিনি বলেছিলেন প্রতিক্রিয়া এবং ক্রিয়া সব সম ভিন্নভিন্ন 2টা অবস্থানে ঘটে- তবে ক্রিয়ার সমপরিমান প্রতিক্রিয়া হয়- বিমুঢ় আমি ঠিক সঠিক পরিমানে প্রতিক্রিয়াশীল কি না এ বিবেচনা আবার পাঠকের কাছে- তিনি সিদ্ধান্ত দিলে ল্যাঠা চুকে যায়। আমাদের পা-হাত-চোখ-ঠোঁট-হাসি কণ্ঠস্বরের রূপান্তর ঘটে- আমাদের আনকোরা বুদ্ধিজীবি চাই, ফটোজেনিক হতে হবে- এ বিজ্ঞাপনে সাড়া দেওয়ার যথাযোগ্য কোনো কারন খুঁজে পাই না বর্তমানে অবশ্য তিনি বলেছেন যদিও সোনা বা চাল বা তেল মজুতদার সিন্ডিকেটের কবলে পড়লে মুল্য সামান্য বেড়ে যায় কাঁচা বাজারে তবে এতে কৃষকেরা লাভবান হয়। আমিও মুগ্ধ হই- তীব্র বেগ চাপে প্রস্রাবের- আমি কোমেডে কল্পনা করি সেই বুদ্ধিজীবি আআলজিহবা হা করে আহবান করছেন-সাড়া দেই জৈবিক নিয়মে-সরোষে ফ্ল্যাশ টানি- আর চিন্তা করি- ভাগ্যিস পানি কিনে খাই না,অন্তত সাপ্লাইয়ের পানির দাম বাড়ানোর কোনো সিন্ডিকেট নেই। নতুবা কত দামি প্রসাব অপচয় হচ্ছে ভেবে হাড়কেপ্পনের বহুমুত্র সেড়ে যেতো আর কাঁচা পয়সায় লেমোনেডের বদলে বোতলে ভরে পেশাব খেতাম স্ট্র দিয়ে।

অবশ্য সেই কৃষকের লাভবান হওয়ার বিষয়টাও আমাকে চিন্তিত করে। "মহাজনের কাছে মাঠ বেঁচে দেওয়া কৃষকের খোরাকি ধান কত দামী , কৃষক তা জানে"। আর জানে মজু মিয়া, ঝঁকা মাথায় 5 মাইল হেঁটে মুল্যহীনতায় অপমানে ঝাঁকা ছুড়ে ফেলে ড্রেনে- সেদিন বেগুন ছিলো 30 টাকা মন। আমরা সেদিনও চলমান সব্জি দোকান থেকে বেগুন কিনেছি 15 টাকা কেজি। অবশ্য কৃষকের বিষয়উন্নতি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার উপাদান আছে, যদি তারা মধ্যবিত্ত হয়ে যায় যদি তারা জি ডি পি এ ডিপি বুঝে যায় যদি তারা শস্যবপন না করে জমিতে সার সার রূয়ে যায় স্বর্ণরেণু তবে সোনার দাম পড়ে যাবে আমরা সোনার মজুতদারি করে সে বছর মুনাফা পাবো না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.