৭১ এর অসমাপ্ত বিল্পব সমাপ্ত করা এবং ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে আবারও আওয়ামী লীগ ও নৌকা মার্কার ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়। আজ রবিবার সকালে টঙ্গি টিএসসি কলোনীতে এক পথ সভায় তিনি জনতার উদ্দেশ্যে ভোট চান।
তিনি বলেন, আমাদের ওয়াদা ছিলো ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যমায়ের দেশে পরিণত করা। আমরা সে কাজ অর্ধেক করতে পেরেছি। এ জন্য আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দিন।
আপনারা আগামীতে নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন কিনা ওয়াদা করেন। এ সময় উপস্থিত হাজার হাজার জনতা দুই হাত তুলে ভোট দেয়ার ওয়াদা করেন।
সজিব ওয়াজেদ জয় বলেন, আগামীতে ক্ষমতায় আসতে পারলে ঘরে ঘরে বিদ্যুত্ পৌছে দেবো। শ্রমিকদের বেতন ভাতা আরো বাড়ানো হবে। টঙ্গি-গাজীপুরে ইলেক্টনিক্স ফ্যাক্টরি নিয়ে আসবো।
সেখোনে আপনারা চাকরি পাবেন। বেতন ভাতা বৃদ্ধি হবে।
বেলা ১০টা ৫৫ মিনিটে তিনি টঙ্গি টিএসসি কলোনী মাঠে পথ সভায় উপস্থিত হন। জাহিদ আহসান রাসেল এমপি নৌকা প্রতীক তুলে দেন জয়ের হাতে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক।
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র বলেন, বিএনপির আমলে সন্ত্রাস ছিলো। প্রত্যেক বছর বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা করা হয়। আহসান উল্লাহ মাস্টার, কিবরিয়াকে হত্যা করা হয়। গ্রেনেড হামলা করে আমার মাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সেখানে ২৪ জন নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়।
৪শ জন নেতাকর্মী আহত হয়। সবই হয়েছিলো হাওয়া ভবনের পরিকল্পনায়।
জয় বলেন,বিএনপি আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছিলো। সন্ত্রাসের চ্যাম্পিয়ান হয়েছিলো। আমরা দেশে সন্ত্রাস কমিয়েছি।
একটি বোমা হামলা হতে দেইনি। ফের যদি বিএনপি জামায়াত আসে সেই সন্ত্রাস, বোমা হামলা হত্যাকাণ্ড আবার ফিরে আসবে। বিদ্যুত্ পাচ্চেছন, বিদ্যুত বন্ধ হয়ে যাবে।
রাস্তায় রাস্তায় ফুলেল ভালবাসায় সিক্ত জয়:
সকাল ৯টা ৫২ মিনিট থেকে গণভবন থেকে তিনি ময়মনসিংহের উদ্দেশে থেকে বের হন। সজিব ওয়াজেদ জয়কে বরণ করতে রাস্তার দুইধারে শত শত ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন লাগানো হয়।
হাজার হাজার সকল শ্রেনী পেশার নারী-পুরুষ নেতাকর্মী রাস্তার দুইধারে দাড়িয়ে হাত নেড়ে ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত জানান। এ সময় জয়ও গাড়ীর মধ্যে থেকে হাত নেড়ে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানান।
টঙ্গীর পর গাজীপুরে পথসভা:
বেলা ১১টা ৪৪ মিনিটে গাজীপুরে চান্দনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত পথ সভায় সজিব ওয়াজেদ জয় বলেন, আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে মানুষের আয় আরো দ্বিগুন বেড়ে যাবে। দেশ সার্বিক দিক দিয়ে এগিয়ে যাবে। চাকরির পথ প্রশস্ত হবে।
গাজীপুরে টেলিভিশন, কম্পিউটার ফ্যাক্টরি নিয়ে আসবো।
অপরদিকে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসলে দেশ সন্ত্রাসের রাজত্ব ফিরে আসবে। ফিরে আসবে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস, দুর্নীতি, কালো দিন। ফিরে আসবে হাওয়া ভবন। দুটি পথ সভাই জনসভায় রুপ নেয়।
বিভিন্ন পোস্টার, ফেন্টুন, প্লাকার্ড শোভা পায় রাস্তার দুইধারে।
সজিব ওয়াজেদ জয় বলেন, বিএনপি বলেছে নারীরা ক্লাশ ফাইভের ছাড়া পড়তে পারবে না। তার মানে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে মেয়েরা চাকরি করতে পারবে না। নারীরা চাকরি করতে পারবে না। আয়-উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে।
আমরা বিনামুল্যে বই দিচ্ছি তা বন্ধ হয়ে যাবে। স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছি তাও বন্ধ হয়ে যাবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ওই সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা একেএম এনামুল হক শামীম, আব্দুস সোবহান গোলাপ, এসএম কামাল হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক লিয়াকত শিকদার, মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন প্রমুখ।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।