বেঁধেছে এমনও ঘর শুন্যের ওপর পোস্তা করে..
আস্তমেয়ে বরাবর তাৎক্ষণিক কিছুবক্তব্য। কমেন্ট হিসেবেই কথাগুলি লিখেছিলাম। পরে ভাবলাম পোস্ট করে দিই। এটি মূলত: একটি পাঠ পতিক্রিয়া। মূল পাঠ- ধর্মনিরপেক্ষতা শোষনের এক নির্লজ্জ হাতিয়ার।
লিখেছিলেন আস্তমেয়ে, যঃঃঢ়://িি.িংড়সবযিবৎবরহনষড়ম.হবঃ/অংঃড়গবুবনষড়ম/ঢ়ড়ংঃ/28693301
প্রথমত: একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসেবে আপনাকে বিবেচনা করেও বলতে হচ্ছে, এই পোস্টটি দিয়ে নিজের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। নিজের এমন একটি ভাবমূর্তি খাড়া করেছেন যা প্রকৃত আস্তমেয়েরনয়। আমি অন্তত তাই বিশ্বাস করি।
দ্্বিতীয়ত: ধর্মনিরপেক্ষতা মূলত রাস্ট্রীয় মতবাদ। এটি যতখানি না ব্যক্তির তারচেয়ে অনেক বেশি রাস্ট্রের।
আপনি কি কোন রাস্ট্রেরই একটি বিশেষ ধর্মের প্রতি পক্ষপাতিত্ব মেনে নেবেন? ভারত রাস্ট্র শুধুমাত্র হিন্দুদের, এটা কি মেনে নেবেন? যদি না মানেন তাহলে অবশ্যই আপনি ধর্মনিরপেক্ষ। আর বাংলাদেশের জন্য এক ব্যবস্থা আর ভারতের জন্য এক ব্যবস্থা এটা যদি আপনি আশা করেন তাহলে আপনি একজন নিরেট ভন্ড ।
অধিকাংশ সময়ে আপনার সাথে আমার মতের মিল না হলেও আপনার চিন্তা করার ক্ষমতা দারুন। ধর্মনিরেপেক্ষতার যে সংজ্ঞায়ন আপনি করেছেন তা পুরোপুরি আরোপিত মনে হয়েছে। ভারতে ধর্মের ধজ্জাধারী বিজেপি এবং ধর্মনিরপেক্ষ বামপন্থী(যারা প্রায়শই মুসলমানদের দালাল বলে গালি খান)- এ দু শক্তির মধ্যে কোনটি আপনার কাছে বেশি গ্রহনযোগ্য?
আপনার জন্য হুমায়ুন আজাদের একটি প্রবচন,
মসজিদ ভাঙ্গে ধার্মিকেরা, মন্দির ভাঙ্গেও ধার্মিকেরা।
আর যারা সবসময়ই এই ভাঙ্গাভাঙ্গির বিরুদ্ধে দাড়ায় দুদল ধার্মিক একজোট হয়ে তাদের বলে, এরা অধার্মিক, এরা অধার্মিক!!!!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।