কত না স্মৃতি মানুষের মনে ভাসে। এই মুহূতে আমার কলেজের এক স্মৃতি মনে পড়ছে। আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
একটু ডানপিটে স্বভ া ববলে বাবা আমাকে নিয়ম শৃংখলার মধ্যে ভালো পড়াশুনার জন্য চট্টগ্রাম নেভী কলেজে ভতি করালেন। অবশ্য ভতি পরীক্ষায় টিকেছি বলেই ভতি হতে পেরেছি।
সাদা শাট নেভীব্লু পেন্ট এবং সাদা পিটি সু ছিলো কলেজের ড্রেস। খুব করা নিয়ম কানুন। এটা করা যাবেনা সেইটা করা যাবেনা আরো কত কি। টাইম মত ক্লাসে হাজির থাকা চাই নয়তো সেদিন এটেন্ডেনস কাটা যাবে। ক্লাসে কথা বলা যাবেনা এবং কোনরকম অমনোযোগীতার জন্য কান ধরে বেনেচর উপর দাড় করিয়ে রাখা হ তো।
পড়া না পারলে মেয়েদের দিয়ে কানমলা খাওয়ানো হতো ছেলেদের আর মেয়েদের বেলায় শুধুমাত্র দাড় করিয়ে রখা হতো।
এতসব নিয়ম কানুন সবই মেনে নিলাম। যেটা মেনে নিতে পারলাম না সেটা হলো ঐ সাদা জুতা। দেখতে কেমন খেত খেত। স্কুলবয়ের মত।
বন্ধুরা কিংবা পাড়ার লোকজন মস্করা করতো এই বলে যে আমি এখনও স্কুলবয় রয়ে গেছি।
ক্লাসের সবারই একই অবস্থা কেউ এই সাদা জুতা পছন্দ করেনা। কিন্তু উপায় েনই। কেউ কেউ পরামর্শ দিলো যে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সাদা জুতা ব্যাগ এ ঢুকিয়ে অন্য জুতা পরে কলেজের প্রথম গেইট এ এসে বদলে ফেললেইতো হয়। চমৎকার বুদ্ধি।
এটাকেই কাজে লাগালাম। ব্যাগের ভেতর বইয়ের সাথে জুতা রাখতে কেমন যেন লাগলো। ব্যাগের নিচের অংশে জুতা নেয়ার ব ্যবস্থা করলাম। এইভাবে কিছুদিন চললো।
এবার প্রতিদিন ব্যাগের ভেতর এতগুলো বইখাতার সাথে জুতা আনা বোঝা মনে হলো।
তাই ক্লাসের টেবিলের বাক্সে জুতা রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। পরেরদিন ক্লাসে এসেই বদলে ফেললেইতো হয়। অধিকাংশ ছেলেই এই কাজ করতে শুরু করলো। এভাবেও কিছুদিন কাটলো।
কিন্তু কপালে খারাপ কিছু থাকর্লেঠেকাবে কে? হঠাৎ একদিন ক্লাসে এসে কা রো ই জুতা খুজে পাওয়া গেলোনা।
পিয়ন এসে সবাইকে প্রিনিসপালের রুমে ডেকে নিয়ে গেলেন। আমাদের অপরাধ আমরা বই রাখার স্থলে জুতা রেখেছি এবং ডেস্ক ময়লা করেছি। স্যার বিশাল এক বক্তৃতা ঝারলেন এবং শাস্তিও নিধারণ করলেন। জুতার মালিকদের বাসায় গিয়ে অভিবাবক নিয়ে আসলেই জুতা ফেরত পাওয়া যাবে। কিন্তু কেউ অভিবাবক ডাকতে গেলোনা।
পরেরদিন নতুন আরেক জোড়া জুতা পায়ে হাজির হলাম। এই অবস্থা দেখে প্রিনিসপাল স্যার খুবই হতাশ হলেন। কোন শাসিত ছাডাই জুতা ফেরত দিলেন।
কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু থেকে জানতে পারলাম যে কলেজ ড্রেসে সাদা জুতার পরিবর্তে এখন কালো যে কোন জুতা ব্যবহারেরঅনুমতি দেয়া হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।