মুক্ত মন....সারাক্ষণ
"ভাই, আলমগীর সাবরে জুতা মারাটা কি ঠিক হইছে কন তো?" চরম উত্তেজনার সহিত আজ বিকেলে প্রশ্নটা করলেন একজন।
...কম্পিউটারের পর্দা থেকে মুখ সরিয়ে হা করে তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি কিছুক্ষণ।
বাংলা চলচ্চিত্রের কীংবন্তী অভিনেতা "আলমগীর" কী এমন কাজ করেছেন যে হঠাৎ তাকে জুতা মারা হলো!
"কারা মেরেছে?" অবাক কণ্ঠে জানতে চাইলাম আমি।
"এরকম একটা ঘটনা ঘইটা গেল, আর আমনে কিছুই জানেন না!" কথাটা বলে অবাক দৃষ্টিতে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন তিনি।
চোখে-মুখে চরম বিস্ময় খেলা করছে তার।
"আসলে কাজের চাপে ক'দিন হলো দেশ-দুনিয়ার খবর-টবর রাখতে পারছি না। " ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাসের সাথে ললাম আমি।
................................................................................
....তারপর জনালাম, নাহ জুতা খাওয়া ব্যক্তিটি কিংবদন্তী অভিনেতা "আলমগীর" নন, তিনি ঝাঁকুনি তত্ত্বের প্রণেতা আরেক কিংবদন্তী "ড. মহি উদ্দিন খান আলমগীর। "
....আলমগীর ভক্ত ভদ্রলোক চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললেন, "তয় এইডা কোনো বিষয় না, প্রেসিডেন্ট বুশরেও তো জুতা মারা হইছিল- তাতে কি হইছে, বুশের একটা পশমও ছিড়ছে? কন, ছিড়ছে একটা পশমও?" বলতে বলতে আবার উত্তেজিত হয়ে পড়লেন ভদ্রলোক।
আমি হাসলাম।
আমার হাসি দেখে ভদ্রলোকের উত্তেজনা বাড়তে লাগল বহুগুনে......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।