আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জুতা নিক্ষেপ, জুতা পেটা ইত্যাদি



জুতা নিক্ষেপ, জুতা পেটা ইত্যাদি আমাদের সমাজে এখন একটি বহুল প্রচলিত একটি সংস্কৃতি! কিন্ত্তু জুতার কারনে খুনাখুনি! তাও বিদেশের মাটিতে? এক জোড়া জুতা নিয়ে যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। তা নিয়ে মারামারি; অতঃপর ২ বাংলাদেশী নাগরিকের মৃত্যু এবং গুরুতর আহত ৩ জন। ঘটনাটি ঘটেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ শিল্প এলাকায়। দেখুন (Click This Link) ।
এই সোনার বাংলায় গোলাম আযমকে জুতা (মারা) পেটা করা হয়েছে সেই কবে।

তারপর সারা বিশ্ব জুতা মারা যেন এক প্রকার ভুলেই গিয়েছিল। তার পর জর্জ বুশ কে জুতা মেরে লাইম লাইটে চলে আসেন ইরাকের সাংবাদিক মুনতাজের আল-জাইদি। তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে ততক্ষনাৎ। কিন্ত্তু সে আবার মুক্তি পেয়ে যায়।
" target="_blank" >http://www.dw.de/a-4684176। উন্নত বিশ্ব একেই বলে।

বাংলাদেশে সম্প্রতি সরকার দলীয় এমপি নদভী কে মসজিদের ভিতরে গন জুতা নিক্ষেপ করা হয়। যেটা অবশ্যই কাম্য নয়। মসজিদ পবিত্র স্থান।

এমন কোন বক্তব্য এখানে দেওয়া উচিত নয় যেটা কিনা মুসল্লিদের মনে উত্তেজনা করে, আর জুতা নিক্ষেপ ! no , never. মুসল্লীরা শান্ত থাকেন, ধৈর্য্য ধরেন। Click This Link । এখান প্রায় ৩০০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং আটক হয় ৭৬ জন। কে জানে এখান থেকে কত জন গুম হয় আর কত জন ছাড়া কবে পাবে।

আওয়ামী সরকারের আরেক মন্ত্রী শাজাহান খানও জুতা নিক্ষেপের শিকার হয়েছিল বায়তুল মোকারম মসজিদে http://www.youtube.com/watch?v=SHjcTgpYhos যা উপস্থিত বিদেশীদের কাছে আমাদের মাথা হেট করে।

কিনতু এটা অতি কথন মন্ত্রীর প্রতি উপস্থিত মুসল্লীদের উত্তেজিত প্রতিক্রিয়া। উনি বলেছিলেন “বংগবন্ধু নাকি মদ হারাম করেছিলেন (!), নাউযুবিল্লাহ, মদ আল্লাহতায়ালা হারাম করেছিলেন সেটা পবিত্র কুরআনে বর্নিত আছে।

এখানেই শেষ নয় চাঁদপুরের কচুয়ার উজানী মাহফিলে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে লক্ষ করেও জুতা নিক্ষেপ করেছিল উপস্থিত মুসুল্লিরা Click This Link , উনার প্রতি নাকি কচুয়ার লোকজন বহুদিন ধরে খেপা ছিল। মুস্ললিদের অসহনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে ঐ মাহফিলে।

শুধু দেশে নয় বিদেশেও জুতা নিক্ষেপ ঘটনা বিশ্বকে আলোড়িত করে, ইরানের প্রেসিডেন্টের যান লক্ষ করে জুতা নিক্ষেপ হয় Click This Link , ভারতের প্রেসিডেন্ট মনমোহন সিংও জুতা ছোঁড়ার লক্ষ্যবস্তু হন।


আসলে জুতা খাওয়া বিশ্ব নেতাদের সংখ্যা নেহাত কম না।

১/ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (২০০৯ সাল)

২/ বিজেপি নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানী (২০০৯ সাল)

৩/ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারী (২০১০ সাল)

৪/ ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার (২০১০ সাল)

৫/ মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনী মুবারক (২০১১ সাল)

৬/ পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পাভেজ মোশাররফ (২০১১ সাল) এবং

৭/ ভারতের ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী রাহুল গান্ধী (২০১২ সাল)
(কষ্ট করে সঠিক লিংক এর জন্য যে কোন সার্চ ইঞ্জিনে খুজলেই পেয়ে যাবেন। )
সেই হিসাবে এদেশের নেতারা বিশ্ব নেতা হয়ে গেছেন এটা বলা যায়।
কিন্ত্তু যার জুতা মারছেন , তাদেরকে আরেকটু ধৈর্য্যশীল হবার আহবান জানাই।




অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.