আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন ইরাকী জুতা মারিয়া প্রমান করিল যে ইরাকীরা কতটা স্বাধীন কিংবা কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল যে সে মরে নাই অথবা জুতা নিয়ে জুতসই কাণ্ড

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।
কন্ডলিসা রাইস, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আজকে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে একজন ইরাকী জুতা মারিয়া প্রমান করিল যে ইরাকীরা কতটা স্বাধীন । তিনি সম্প্রতি ইরাকে প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের ঝটিকা সফরের অনাকাঙ্ক্ষতি ঘটনা নিয়ে এ মন্তব্য করেন । ইরাকে প্রেসিডেন্ট বুশের ঝটিকা সফরে ইরাকী প্রধানমন্ত্রী এবং বুশের যৌথ সংবাদ সম্মলনে মুনতাজের আল জায়েদী , তরুন ইরাকী সাংবাদিকের বুশের প্রতি জুতা ছোড়ার ঘটনা দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন মার্কিন আগ্রাসনের স্বিকার ইরাক এখন কতটা স্বাধীন ।

জোশ !!! এক্কেবারে জুতার বাড়ি । এছাড়া একজন ইরাকীর হয়তো আর কিইবা করার ছিল । ইরাকী জনগন যা হারিয়ে এই এক জুতার বারি দিয়ে কি তা ফিরে পাওয়া সম্ভব ?? বোধকরি সকল ইরাকীও জানে এই জুতার বারি তাদের হারানো কিছুই ফেরত দেবে না । স্রেফ হয়তো একটু ক্ষোভ প্রশমিত ছাড়া । সারা বিশ্বে তোলপাড় করা ঘটনা ।

হয়তো ক'য়দিন পরেই সেই জুতার খোজ শুরু হবে , সেই জুতার আত্মকাহিনী সারা বিশ্বে হট কেক এর মতোন সেল হবে । জুতার প্রস্তুতকারককে নিয়ে মাতামাতি আর সম্ভব হলে সেই জুতা কোন পশুর চামড়ায় তৈরী হয়েছিল তারও খোজ নেয়া হবে । কিন্তু এতো কিছু হলেও ইরাকীরা কি তাদের হৃত স্বাধীনতা ফিরে পাবে ?? প্রশ্নটা উত্তর কিন্তু একটাই এতো সহজে না । মুনতাজের আল জায়েদী-র ভবিষ্যত কি তা ইরাকী নিয়োজিত খোদ মার্কিন চীফ নাকি জানেন না । নপুংশুক বর্তমান ইরাকী সরকারও হয়তো মুনতাজের আল জায়েদীর ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত নয় , যতো চিন্তিত তাদের নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে ।

মুনতাজের আল জায়েদী কাণ্ডে তার লজ্জিত বড় ভাইদের কাছে, লজ্জায় দুঃখে তারা হয়তো বুশের জুতা ধরে বসে থাকবে । আর এমন ধিক্কারের পরের মুহুর্তে নির্লজ্জ বুশের উক্তি, আমি কিছু মনে করি নাই । আর সেই নিলর্জ্জতাকে কূটনৈতিক কূটচালে রুপান্তর করলেন কন্ডলিসা .... একজন ইরাকী জুতা মারিয়া প্রমান করিল যে ইরাকীরা কতটা স্বাধীন । যেন ঠিক যেভাবে আমাদের কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল যে সে মরে নাই । বেশ ক'দিন এবিষয় নিয়ে সারা বিশ্ব মাতামাতি করবে, সকৌশলে পাবলিক এর আগ্রহের বিষয় হয়তো দাড়িয়ে যাবে মুনতাজের আল জায়েদী নয়, মুনতাজের আল জায়েদী-র জুতও জোড়া ।

সেই জুতার কাহিনী নিয়ে বিশ্বে চলবে বেশ তোলপাড়, জুতা নিয়ে বই, সিনেমা চলবে হট কেকের মতন আর একজন মুনতাজের আল জায়েদী কালের গর্ভে হারিয়ে যাবেন । বুকে একজন চে নিয়ে বেড়ে ওঠা মুনতাজের আল জায়েদী-র এই কর্মকাণ্ড শিষ্টাচারের বর্হিভূত হিসেবে গণ্য হকে কিংবা তার সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে । কিন্তু সারা বিশ্বের মানুষ কি মুনতাজের আল জায়েদী -র বুকে জমে থাকা পুরো ইরাকারে জনগনের জমে থাকা ক্ষোভের এই সামান্য প্রকাশ কি অন্য ভাবে ভাবাবে না ??
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.