আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কতোটা নিরাপদ আপনার প্রসাধনী?

নিজের মাটিকে ভালোবাসুন

বিজ্ঞাপনের বদৌলতে আপামর নারী পুরুষের কাছে প্রসাধনী এখন আর চাহিদা নয় প্রয়োজন। ডলারের গন্ধে খ্যাতনামা কত নায়িকা, গায়িকা ও মডেল যে ইনিয়ে বিনিয়ে প্রসাধনীর গুণকীর্তন করেছে তার ইয়ত্তা নেই। আর যে কারণে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার কাছে প্রসাধনী মানেই সতেজ টাটকা ঝরঝরে ইত্যাদি ইত্যাদি আরো কোটি কোটি অনুভূতি। কিন' আপনি জানেন সাধের বডিস্প্রে, লিপস্টিক, লোশন, টুথপেস্ট থেকে হতে পারে ব্রেস্টক্যান্সার, শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা, প্রজনন স্বাস্থ্যহানী, শিশু বিকলঙ্গতা, শিশুর জন্মগত ত্রুটিসহ আরো কয়েক ডজন মারাত্দক রোগ। শুধু কি রোগ, এসব প্রসাধনী একাধারে পরিবেশেরও বারোটা বাজাচ্ছে।

আর লন্ডনে বিমান হামলা পরিকল্পনার লিকুইড বোমার কথাতো সবার জানা। কি থাকে এ সব প্রসাধনীতে স্বাভাবিকভাবে প্রসাধনীতে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ফরমালডিহাইড, পেট্রোলিয়াম, প্যারাবিন, বেনজিন, সিসাসহ আরো কয়েক ডজন মারাত্দক রাসায়নিক দ্রব্য। এ রাসায়নিক দ্রব্যগুলো নারী পুরুষ সবার জন্য ক্ষতিকর। তবে গবেষণায় দেখা গেছে নারী দেহে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকায় মারাত্দক এসব রাসায়নিক দ্রব্য নারী দেহে বেশি প্রভাব বিসত্দার করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের হরমোন উৎপাদন বাধাগ্রসত্দ করে।

বিশেষ ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন ঘাটতি থেকে ব্রেস্টক্যান্সার পর্যনত্দ হতে পারে। আর ইউরোপ আমেরিকায় ব্রেস্টক্যান্সারের ঊধর্্বগতির কারণ হিসেবে কেউ কেউ দূষছেন এ প্রসাধনীকেই। বিশেষ করে প্যারাবিন ও টোলিউনকে এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। দেখা গেছে এ দুটো রাসায়নিক দ্রব্য দ্বারা ব্রেস্ট টিসু্য খুব দ্রুত ক্ষতিগ্রসত্দ হয়। এছাড়া কিছু সিনথেটিক কেমিক্যাল যেমন এলকাইলোফেনল (ডিজারজেন্ট এ পাওয়া যায়) বিসফেনল এ নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্থ করে।

সনত্দান জন্মদানে অক্ষমতা থেকে শিশুর বিকলঙ্গতার পেছনেও কাজ করে এ রাসায়নিক দ্রব্যগুলো। এছাড়া বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মায়েরা যদি বডিস্প্রে বেশি মাত্রায় ব্যবহার করে তাদের শিশু সনত্দানটির বৃদ্ধি ও বিকাশ বাধাগ্রসত্দ হতে পারে। প্রসাধানীর উপাদানগুলো নিয়ে খুব মানুষই সচেতন। কেউ হয়তো কোনোদিন প্রসাধানীর নির্দেশনাগুলো ঘেটে দেখে না। অনেকক্ষেত্রে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এক্ষেত্রে কৌশলে এড়িয়ে যায় ক্ষতিকর উপাদানগুলোর নাম।

কিছু স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে সচেতনা বাড়াতে কাজ করলেও বিলিয়ন ডলারের প্রসাধনী কম্পানিগুলোর কাছে তারা প্রতিনিয়ত হেরে যাচ্ছে। মার্কিন নাগরিকদের জন্য এ বিষয়ে একটি আইন পাস হয়েছে (শুধু ক্যালিফোর্নিয়াতে)। যেখানে প্রসাধনীর নিরাপত্তা ট্যাগ লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সম্ভাব্য পাশর্্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎকদের পরামর্শ রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে ব্যক্তিসচেতনতা এক্ষেত্রে সবচে জরুরি।

বিশ্বজুড়ে গুটি কয়েক প্রসাধনী কম্পানির রাজত্ব থাকায় বিশ্বের প্রতিটি প্রানত্দে তাদের আধিপাত্য রোখাও শক্ত। সেক্ষেত্রে বিকল্প ও পরিবেশ বান্ধব প্রসাধনী ব্যবহার ও অপ্রয়োজনীয় প্রসাধনী এড়িয়ে চলায় বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সূত্র: আমাদের সময় (14.12.2006) website: http://www.amadershomoy.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.