আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর আমাদের এলাকার মসজিদ কমিটির পদ জোর করে দখল করে নিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এরা পাঁচ ওয়াক্ত তো দূরে থাক, শুক্রবারে জুমার নামাজেও মসজিদে যায়না। কিন্তু,মসজিদ ফান্ডের টাকা ঠিকই লুটপাট করে আসছে।
নামাজের সময় দোকানের সামনে বসে সিগারেট-গাঞ্জায় সুখটান দেওয়ারা যখন মসজিদ কমিটির পদ দখল করে নেয়, তখন সে এলাকার মানুষগুলো কতটা অসহায় সেটা নিশ্চয় বলার অপেক্ষা রাখেনা। এমন চিত্র শুধু আমাদের এলাকার না।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার আমজনতার অসহায়ত্বের চিত্র প্রায় একই রকম।
আর এই অসহায় পাবলিকদের জন্য নতুন আতংক নিয়ে এসেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ‘দুই দিনের বৈরাগী, ভাতেরে কয় অন্ন’- এই প্রবচনের মতো হঠাৎ করে রাজনীতিতে এসে আউল-ফাউল কথা বলে সমালোচিত হওয়া সজীব ওয়াজেদ জয়; বিরোধী দলের অপপ্রচারের জবাব দিতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি শুক্রবার মসজিদে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগেও ঢাকায় ইমাম প্রশিক্ষণের আড়ালে ইমামদের আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণার ট্রেনিং দেবার খবর এসেছে বিভিন্ন মিডিয়ায়। কর্মী-সমর্থকদের মসজিদে যাওয়ার নির্দেশে আশংকা করা হচ্ছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে জুমার নামাজের খুতবায় আওয়ামী লীগের তথাকথিত উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে চাপ প্রয়োগ করা হবে ইমামদের প্রতি।
মসজিদে এলাকার দলীয় পদে থাকা কর্মীরা আওয়ামীলীগের পক্ষে প্রচারণা করবে।
পাঠক, লক্ষ্য করুন ইবাদতের জন্য নয় মসজিদে গিয়ে রাজনৈতিক প্রচারণার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজেরা নিজেরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে কামড়া-কামড়ি করে, যারা মসজিদ কমিটির পদ নিয়ে মারামারি করে, তারা মসজিদে রাজনৈতিক প্রচারণা করতে গিয়ে কামড়া-কামড়ি করবে না কিংবা মানুষকে নির্যাতন করবে না সে গ্যারান্টি কী?
(লেখার মতামত একান্তই লেখকের এবং নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির আওতামুক্ত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।