আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুত্তার বাচ্চার দিনলিপি



নিজের কথাই কই। মানুষের বাচ্চার পরিচয় দিতে দিলে দাগা লাগে। তাই নিজেরে কুত্তার বাচ্চা হিসাবে পরিচয় করি। থাকি ক্যান্টেনমেন্টে। আমার ভাই ক্যান্টেনমেন্টের বড় লাট।

সব ফ্রি তার। আর আমি তো ফিরির ওপর ফিরি। থাকা খাওয়া মুতা হাগা এমনকি ভাবী পর্যন্ত ফিরি। খালী চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে বেড়াই। নিজের কাগজপত্রের বুজোরুকি জাহির করবার চাই।

ফিরি গাড়ী কইরা শাহবাগ আইয়া নামি। তারপর পলটনে এককান ইন্টারভিউ দিতে যামু। মামু দেখি কি রাস্তা বন্ধ। হাইকোর্টের কাছে বেরিকেড। অনেক কইরা কইলাম পুলিশ মামাগোরে পলটনে আমার ইন্টারভিউ আমি মিছিল করতে আসি নাই।

আমার কোনো পাসপোর্ট নাই। তাই যেতে পারি নাই। আমি তো কোন ছার শত শত মানুষ কিলবিল করছে মুখে সবার অনিশ্চয়তা। কে কোন দিকে যাচ্ছে কোনো সিরিয়াল নাই। হাটা শুরু করসি বাংলা একাডেমীতে যামু।

ওদিকে ও বেরিকেড। ভেতরে ঢুকা এক মহিলার ভাই ডাকে আমার ধ্যান ভাঙ্গে। অই দিকে যাওয়া যায়? মহিলা আমারে জিগায়। তার দুহাতে দুইটা বাচ্চা। আর মহিলা খুব সুন্দরীও।

তার লগে কথা কইতে আমার ভালা লাগে। আপনি কই যাইবেন? আমি তারে জিগাই। পলটন সে কয়। দিলে মায়া লাগে। অইদিকে বেরিকেড? আমি বলি।

কিভাবে যামু? হে আবার জিগায়। নিজের ভেতর হযরত ফিদেল ক্যষ্ট্রো জেগে উঠে। লন আমি তারে কই। পুলিশের লগে বচসা করলাম। হে বাড়ী যাইব।

বাচ্ছাগোরে ইসকুল থেইকা আনতে গেসিল। আমি কই। পুলিশ আর বিডিয়ার মেয়েটার পাসপোর্ট দেখতে চায়। আমি গৃহবধু সে বলে। পুলিশের লগে আমি আরো কথা কাটাকাটি করি।

আর মাইয়াটারে পার করি। খোদা মাইয়াটা পারলে অইখানে আমারে এককান চুমা দেয়। বলগের অনেকেই আমার নারী অনিহার কথা জানে। বঙ্গ ভবন, হাওয়াভবন, সুধাভবনের দেশে আমরা কারা?? আমার প্রশ্ন জাগে। নিজেকে সম্পুর্ণ বন্দী মনে হয়।

বুঝতে পারি কোনো মানুষের দেশে এটা সম্ভব নয় কেননা আমরা মানুষের বাচ্ছা নই। সব আমার মতই। মানে কুত্তার বাচ্চা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.