আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইলেকশন ম্যানিয়া

মন'রে কৃষি কাজ জানো না, এমন মানব জমিন রইলো পতিত, আবাদ করলে ফলতো সোনা

আমেরিকার মধ্যর্বতী র্নিবাচনে, ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দলের এইবার ভরাডুবি হয়েছে। কংগ্রেস এবং সিনেট দুইটাতেই বুশের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। হারবার মূল কারণ, ইরাক যুদ্ধ। সমস্ত পত্রিকার মূল বক্তব্য এইটাই। তবে জনগণ ভুল বুঝবেন না।

এর মানে এই নয় যে আমেরিকানরা যুদ্ধ পছন্দ করে না। এরা যুদ্ধবাজ জাতি অনাদিকাল থেকেই। ইরাক যদ্ধে আমেরিকানদের আপত্তি নেই। আপত্তি হচ্ছে পরাজয়ে। ইরাক যুদ্ধ এখন আমেরিকার কাছে একটা বিষফোঁড়া, যেটা ফাটানো যায় না, উপশমও হয় না।

সহ্য করাটাই একমাত্র কাজ। ইরাক থেকে নিজেদের লাভ আমেরিকানরা ঠিকই তুলবে, কিন্তু সেটা বড় দর্ীঘ মেয়াদী লাভ। ইনস্ট্যান্ট লাভ যেটা হয়েছে সেটা হলো অস্ত্র ব্যবসায়ীদের। লকারহেড , র্নথহপ, রেইথিয়ন এরা ফুলে ফেঁপে গেছে ইরাক যুদ্ধে ব্যবসা করে। এদের পালের গোদা ছিলেন রামসফেলড ।

তার পদচ্যুতি এটাই প্রমাণ করে যে ইরাক যুদ্ধ এবং সে উপলক্ষ্যে গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর পকেট ভারী হওয়াটা আমেরিকানরা ভালোভাবে নেয় নাই। ডেমোক্র্যাটরা অনেক বেশী লিবারেল। উদারনীতি, মানবিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, গবেষণা এই বিষয়গুলোতে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটে বিস্তর ফারাক। রিপাবলিকানরা অনুদার এবং র্ধমকে যথেষ্ট পুঁজি করে রাজনীতির ঢাল হিসেবে। এবার ইলেকশেনর ঠিক আগে ইভানজেলিক্যাল প্যাস্টর এর গে কর্ীতি ফাঁস হওয়াটাও ইলেকশনে একটা প্রভাব রাখতে পারে।

কারণ বুশ নিজে ইভানজেলিক্যাল ক্রিশ্চান। বাংলাদেশে যেমন একদল লোক আছে যারা হজ্জ্ব করা, মাথায় কাপড় দেওয়া নেত্রী, দাড়িতে মেহেদী দেওয়া নেতা দেখলেই ভোট দেন। তেমনি আমেরিকায় প্রচুর লোক আছে যারা নেতা চর্াচে যায় শুনলেই ভোট দেন। এটা কমন ক্যারেক্টার , এই কারনেই রিপাবলিকানরা ক্ষমতায় আসে। নেক্সট ইলেকশনে ধারণা করা হচ্ছে, ডেমোক্র্যাট পর্্রাথী ক্যান্ডিডেট হবেন হিলারী ক্লিনটন।

বিল ক্লিনটন ওভাল অফিস ত্যাগ করার আগে এই আশা ব্যক্ত করেছিল যে '' মরবার আগে ওভাল অফিসে একজন নারী প্রেসিডেন্ট দেখে যেতে চান''। দেখা যাক কি হয়। তবে আমেরিকানরা এখনো এতোখানি আধুনিক হয়নি যে একজন নারীকে দেশের শীর্ষ ক্ষমতায় দেখতে চাইবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।