সযতনে খেয়ালী!
চারদিকে খালি হাউকাউ। রসালাপ, পত্রালাপ, টেলিআলাপ, প্রেমালাপ, আর হালে যোগ হয়েছে "সংলাপ"। সবকিছুর গ্যাড়াকলে পড়ে আমজনতার অবস্থা আমসত্ত্ব, বেরাছ্যারা কাহিনীতে দেশের রাজনৈতিক প্রাঙণ ভিসুভিয়াসের মতো জ্বলোনন্মুখ।
মহা টেনশনে পড়ে সারা রাত কাইজ হয়ে পড়ে থেকে একেকটা ভোরের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে পাবলিক। কবে যে শেষ হবে নটরাজদের এই নাটকের, তা কে বলে দিবে!
একবার বঙ্গভবন, একবার গনভবন, একবার পলটন, একবার গুলিস্তান, একবার সংসদ তো একবার বায়তুল মোকাররামের উত্তর গেট- এই করে করে যখন সাংবাদিকদের নাভিশ্বাস চরমে ঠিক তখনই দেশের অন্যতম "প্রেমবুইরা" (লাভার বয় আছে, লাভার ওলডম্যান আছে কি?) এন্টারটেইন করতে এগিয়ে এলেন।
মাঝরাতে বিমানবন্দরে হলো নাটকেরও বাপ। ইনফ্যাক্ট বাংলা সিনেমাকেও হার মানায়।
গোত্তা দিয়ে ঘুরে গেলো জনগনের ক্যামেরার ফোকাস। দেশজুড়ে ঢিশুম ঢিশুম দেখে একটু আগেও শংকিত জনতা এবার একটু নড়েচড়ে বসলো। বাব্বাহ, ভালোবাসার আব্বার তাইলে এই কারসাজি? হুমমমম, পকেট থেকে লাল গোলাপের বদলে লাল রঙের এনসিআর পেপারের বিমানের টিকিট বের হলো তাঁর।
বেকুব পাবলিক বুঝে না, তেঁনার বৈদেশ যাওয়াটা কতোটা জরুরী। মঈণ-মিলার জন্য নতুন কাহিনী আমদানী করা দরকার। দেশের যে অবস্থা তাতে তো কেবল দুই বেপর্দা মহিলার প্রায় চুলাচুলি কন্ডিশনকে দূর থেকে শশ্রু দুলিয়ে হাত তালি দিয়ে যাচ্ছে কুতুবের দল।
এইসব তো আর নতুন কিছু না আমাদের দেশে! অহরহ ঘটে আসছে, একেকবার মনেহয় এই গনতান্ত্রিক পঁচা চটপটি খেয়ে আমাদের পেটের তেরটা বাজানোর চাইতে সামরিক জান্তাদের ফ্রেশ হারামী মার্কা পাটিসাপটা খাওয়া অনেক ভালো। কারণ বাঙালীকে সমাজ বদলানোর ধারণায় আনা যাবে না অতি সহসা!
যাক, সব চুলায় যাক, আমরা আমজনতা দ্্বার রুদ্ধ করে বই পড়া শুরু করে দিতে পারি।
আমাদের রাজনৈতিক নেতা, তাদের চেলা চামুন্ডারা আমাদের সাথে বেঈমাণী করলেও, আমাদের চামরা দিয়ে চটি বানিয়ে তারা হনহন করে হেঁটে গেলেও আমাদের কষ্ট লাগবেনা যদি পাশে একটা ভালো বই (বউ না) থাকে আর আমরা তার পরতে পরতে অক্ষরের যাদু অনুভব করতে পারি।
সো হোয়াট ইউ আর ওয়েটিং ফর? তুলে নিন যেকোন বই, শুরু করুণ পড়া...
আমি হাতে নিচ্ছি GB eBUv .... আপনারাও ইচ্ছে করলে একটা ট্রাই দিতে পারেণ। ঠকবেন না, এটা অন্তত বলতে পারি। আর যদি নেহায়েৎ ভালো লেগেই যায় তাহলে একটা নিদেন ধন্যবাদ দিয়েন না এই গরীবকে!
অসহায় দেশটার অসহায় এই নাগরিক ধন্যবাদের পরিবর্তে দেশটার জন্য খানিক করুণা ভিক্ষা চায় সবার!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।