সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
জয় বাবা ফেলুনাথ, সোনার কেল্লার কথা সবাইকেই বলতে শুনি। কিন্তু চিড়িয়াখানার কথা তেমন কেউ বলে না। ইন্টারনেটে একটা সাইটে বলছে, বাইরের দর্শকরা নাকি চিড়িয়াখানা তেমন একটা দেখেন নাই। ভাবতে অবাক লাগে।
সত্যজিৎ রায়ের কোনো ফিল্ম কম দেখা হবে এটার কারণ আমি বুঝতে পারি না। সত্যজিৎ নিয়া অনেকেরই অতিভক্তি আছে। অনেকেরই সমালোচনা আছে। কিন্তু কেউ বলে না সত্যজিৎ দেখবে না বা দেখা লাগবে না। তার সব ছবি অবশ্যই দেখতে হবে।
কিন্তু চিড়িয়াখানা কেন লোকে তেমন একটা দেখলো না বা দেখলেও তেমন একটা কথা বললো না এটা নিয়া রীতিমতো গবেষণা হইতে পারে।
ফেলুদা টাইপ গোয়েন্দাগিরির আগের জেনারেশন ব্যোমকেশ বকশি। বাংলা কথাসাহিত্যে ফার্স্ট জেনারেশন গোয়েন্দা। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্র। এই ঔপন্যাসিকের কাহিনী অবলম্বনেই তৈরি চিড়িয়াখানা।
ব্যোমকেশ বকশি চরিত্রে অভিনয় করেছেন উত্তম কুমার।
ব্যোমকেশের কাছে আসে এক অবসরপ্রাপ্ত জজ। তিনি চান ব্যোমকেশ খুঁজে বের করুন বিষবৃক্ষ সিনেমায় অভিনয় করা ও গান গাওয়া এক নারীকে। সেই গানটি ছাড়া আর কোনো ক্লু নেই। গানটি হলো ভালোবাসার তুমি কী বোঝো।
জজ সাহেবদের ধারণা তার অপরাধী সংশোধন কেন্দ্রেই ছদ্মবেশ ধরে আছেন সেই নায়িকা সুনয়না। সংশোধন কেন্দ্র/ অপরাধী আশ্রয়ন কেন্দ্র/গোলাপ বাগান / চিড়িয়াখানায় চলছে একটা কিছু। জাপানি এক হটিকালচারিস্টের ছদ্মবেশ ধরে সেখানে যান ব্যোমকেশ। সাসপেনস জমাট হতে থাকে। জজ ও আরেক আশ্রিত মারা যান।
ব্যোমকেশ গবেষণা করতে তাকেন কে অপরাধী?
এই সিনেমায় সত্যজিৎ সমাজ, আইন, অপরাধী বিষয়ক ধারণাগুলোকে ক্রিটিক্যালি দেখেছেন। চিড়িয়াখানা নামটাই স্পষ্ট। আপাত সত্যের গভীর থেকে বের করে এনেছেন আরও কিছু কাজের কথা। সম্ভবত এই ক্রিটিকাল অ্যাপ্রোচের কারণে সিনেমাটা নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। নাকি অন্য কোনো কারণ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।