খুব গোলমেলে, নিজেও ভাল জানি না। তবে আছে,এই ঢের।
আজ কয়েকদিন কাজের বুয়া ঠিকমত আসছে না। সকালে আসে তো বিকালে নাই,এই রকম চলছিল কয়দিন। গত পরশু থেকে সে একেবারে হাওয়া।
একে রমজান মাস তায় বুয়া হাওয়া, আমার অবস্থা টাইট। সেদিন খোঁজ নিতে তার বাড়ি অব্দি গিয়ে হাজির আমি, জানা গেল সে ডাক্তারবাড়ি গেছে শাশুড়িকে নিয়ে। দুদিন পরে আজ সকালে সে এসেছে কাজে। না আসার কারণ সে জানাল, তার শাশুড়ি হাসাপাতালে ভর্তি আছেন, সেখানে তাকে থাকতে হচ্ছে সারাদিন। ডাক্তার পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, বুড়ি শাশুড়ির ক্যান্সার হয়েছে তলপেটে।
শুনে আমি বেশ ঘাবড়ে গেলাম, চিকিৎসা করবে কি করে? বুয়া বলল, জানি না কি হবে আর, এ র মধ্যে ঐ হারামীটা ভেগেছে আরেকটা মেয়েছেলে নিয়ে।
এখানে হারামী বলতে বুয়ার স্বামী। সে গত শুককুরবারে পাশের বাড়ির মেয়েটিকে নিয়ে হাওয়া। বুয়ার এই স্বামীটির গুনের অন্ত নেই। তার একটা রিক্সা আছে, তবে সে সেই রিক্সা নিয়ে বেরোয় কদাচিৎ।
বাড়ি বাড়ি কাজ করে যা রোজগার বুয়া করে তাতে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। কিন্তু তাতে তার কোন হেল-দোল হয় না। শুধুমাত্র নেশার যোগানে যখন টান পড়ে কেবল তখনই বুয়ার স্বমী খানিক চেল্লামেল্লি করে আর তারপর কাজে বেরোয়।
আজকে বুয়া জানিয়ে গেল এই কদিন সে বিকেলে কাজে আসতে পারবে না তবে সকালে আসবে রোজ। কাজ সেরে সে যাবে হাসপাতালে শাশুড়ির কাছে।
আমি জানতে চাই, তোমার স্বামী?তার মা যে হাসপাতালে সে কি জানে? নিশ্চিন্ত স্বরে বুয়া জবাব দেয়, ঠিক আসবে কদিন পরে, যাবে কোথায়! আেেগও তো গেছিল, আবার ফিেেরও এসেছে। আর মা মরল কি বাঁচল সে নিয়ে তার অত চিন্তা নেই।
অন্য মেয়ে নিয়ে স্বামী পালিয়েছে। আর তা নিয়ে খুব একটা মাথাব্যাথা বুয়ার নেই, সে ভাবছে শাশুড়ির চিকিৎসা কি করে হবে। অপারেশনের খরচ,ওষুধ, পথ্যি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।