আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাউয়াছড়ায় জাতীয় উদ্যানে সাপ নিয়ে গবেষণায় ৩২ প্রজাতির সাপের সন্ধান

আমি সততা ও স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে সাপ নিয়ে দীর্ঘ গবেষণায় ৩২ প্রজাতির কয়েকশত সাপের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ‘বেন্ডেড টিংকেট’ ও ‘ইরিডিসেন্ট’ নামের নতুন দুই প্রজাতির সাপের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র শাহরিয়ার সিজার রহমান প্রথম এই প্রজাতির সাপগুলোর অস্থিত্ব আবিস্কার করেন। গত তিন মাসের দীর্ঘ গবেষণায় লাউয়াছড়ায় এ পর্যন্ত মোট ৩২ প্রজাতির কয়েকশত সাপের অস্থিত্ব খোঁজে পাওয়া গেছে।

এছাড়া এ গবেসণায় লাউয়াছড়ার গভীর অরণ্যে কয়েক হাজার বিষধর ও বিষহীন সাপের অস্তিত্ব রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৌলভীবজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার ১২৫০ হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত লাউয়াছড়া গভীর অরণ্যে রয়েছে সহস্রাধিক বন্যপ্রানীর অবস্থান। দেশের বন ও বন্যপ্রানী ধ্বংশের সাথে সাথে এ অঞ্চল থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় সাপ। তবে গবেষকদের ধারণা বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় সকল প্রজাতির সাপই লাউয়াছড়ায় বসবাস করছে। দেশে এ পর্যন্ত ৮০ থেকে ৯০ প্রজাতির সাপের অস্থিত্ব আবিস্কৃত হলেও কোন কোন গবেষকদের মতে এর সংখ্যা হবে ১৫০-১৬০ টি।

সিজারের নতুন দুটি সাপের অস্থিত্ব অবিস্কারের ফলে বাংলাদেশে আরো ২টি মূল্যবান আজানা সাপের অস্থিত্ব নিশ্চিত হওয়া গেলো। লাউয়াছড়া বনে ইতিপুর্বে স্বল্পকালীন সময়ে সাপ, ব্যাঙসহ একাধিক প্রজাতির প্রাণী নিয়ে গবেষণা হলেও এবারই প্রথম শুধুমাত্র সাপ নিয়ে একটি দীর্ঘ মেয়াদি গবেসণার কাজ করছেন গবেষক শাহরিয়ার সিজার রহমান। তার সাথে রয়েছেন গবেষক সাজিদ আলী হাওলাদার, যিনি লাউয়াছড়ায় বিভিন্ন প্রজাতির ব্যাঙ নিয়ে গবেষনা চালাচ্ছেন। সাপ নিয়ে এমন গবেষণার ব্যাপারে সিজার জানান, আমেরিকায় একটি প্রকল্পের আওতায় তিনি সাপসহ আরো কয়েক প্রজাতির প্রাণী নিয়ে গবেষণার কাজ করেছেন। সে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর জন্য দেশেও সাপ নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

এ ব্যাপারে তাকে সহযোগীতা করতে এগিয়ে এসেছেন প্রকৃতি ও প্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. এস.এম.এ. রশিদ। ড. এস.এম.এ. রশিদের পরামর্শে এবং সার্বিক সহায়তায় তিনি লাউয়াছড়ার গভীর বনের ভেতর সাপ নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী গবেষনা শুরু করেন। তার এ গবেষণার কাজে আর্থিক সয়ায়তা প্রদান করছে আমেরিকার বণ্যপ্রাণী বিষয়ক একটি এনজিও সংস্থা ‘ওরিয়েন সোসাইটি’। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।