আমার চিন্তা, আমার চেতনা, আমার অভিজ্ঞতা
এক জীবনে আমাদের কত প্রাপ্তি
কত না ভিন্ন অনুভূতি
প্রেম ভালোবাসা আনন্দ সুখ-দুঃখ কষ্ট
এর কোনোটা বেদনার রঙের সুতোয় বোনা
কোনোটা শুভ্রতার আচ্ছাদনে ঢেকে ফেলে সমম্ত আবর্জনা
কোনোটি গায়ে মেখে দেয় সমুদ্রের জলের মতো শীতল পরশ
কোনোটি চিতার উত্তাপ বয়ে আনে হূদয়ে।
কোনোটি শঙ্খচিল হয়ে উড়ে বেড়াবার প্রশান্তি এনে দেয়।
কোনো অনুভূতি কেমন আমি বুঝি না।
বিষন্নতা ? নাূ বিষন্নতা মানে আত্মসমর্পণ।
কোন কবি যেন বলেছেন।
ও হঁ্যাূ মনে পড়েছে। বীরেন্দ্র। আমি তাই বিষন্ন হই না।
আবার প্রফুলতায় নেচে উঠে না আমার মন।
অনুভূতিহীন বসে থাকি শূন্য উঠানে।
জলহীনতার সময় যেমন পড়ে থাকে বৈঠা।
শীতে গাছেদের যেমন দৈন্যদশা হয়; পাতাহীনূ বর্ণহীন।
নিশুতি রাতের শেষবেলা।
সুনশান নীরবতা।
অনেক দূরে মেঠোপথ ধরে যেন হেঁটে যাচ্ছে কোনো পথিক।
অচেনা পথে বর্ষার কাঁদায় তার পা ফেলার থপ থপ আওয়াজ কানে ভেসে আসছে।
চারপাশে রাত ফুরোবার গন্ধ। উঠোন থেকে চোখে পড়ে ধানক্ষেতে কৃষকের ছায়া। আকাশে ষোড়ষিণী চাঁদ।
বর্ষার মেঘ মাঝে মাঝেই আড়াল করছে তাকে।
তবে তার জোছনা এখন আর ভুবন আলোকিত নয়।
হয়তো সারারাত জেগে জেগে সেও ক্লান্ত।
ঘুমে জড়িয়ে আসছে তার চোখ।
তাই বুঝি বা নিভিয়ে দিচ্ছে আলোকবাতি।
আবার আরেকপক্ষে ঠিক জেগে উঠবে আলোর মশাল হাতে।
হঠাৎ পথিকের শব্দ আরো সপষ্ট হয়।
সাথে চুড়ির রিনঝিন ছন্দও শোনা যায়। আমি শব্দের উৎস খুঁজে ফিরি।
এমন সময় দুটো হাত পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে আমার বাহু।
পেছন ফিরে আমি অবাক হই।
দেখি নীলা।
ওর হাতের নীলরঙা চুড়িগুলো এতক্ষণ বর্ষার জলের সাথে তাল মিলিয়ে বাজছিল।
আমি পুলকিত হই।
স্বপ্নে ভাবা একটা রাত এসে ধরা দেয় আমার কাছে।
পৃথিবীর সব দুঃখ লুটোয় আমার পায়ে।
ময়ূরের মতো নেচে ওঠে আমার মন।
ষোড়শিণী চাঁদের মতো দীপ্তমান হয় আমার চোখ।
ধ্রুবতারার মতো সত্য হয়ে ওঠে আমার অম্তিত্ব।
মম্তিদ্দের নিউরণে ঘুরপাক খায় রবীন্দ্রনাথ্ত 'এমন দিনে তারে বলা যায়'। আমার জীবন বাতি লুকানো তোমার মাঝ্তে আমাদের ভালোবাসাবাসির তিনবছর পূর্তিতেও যে কথা হয় নি বলা।
তোমার চোখে তাকিয়ে আমি কেবল ডুকরে উঠেছি নারী এত অবুঝ কেন ? আজ বলব নীলাঞ্জনা।
চিৎকার করে বলব।
সে চিৎকারে আকাশের তারারা খসে পড়ে পড়ুকূ জোছনাবাতি দপ করে নিভে নিভুক। পৃথিবীর কমপন অনুভব করুক সমম্ত প্রেমিক।
তবু দেখক নীলা তারা নীলা চাঁদ।
তুমি এসো নীলা।
হঠাৎ কানে ভেসে আস্তে 'আসসালাতু খাইরুম মিনার নার'।
কৃষকের দল জোয়াল কাঁধে ছুটে ক্ষেতে। কাম্তে হাতে রাখাল চলেছে মাঠে। চারপাশের শূন্যতা ভরে যায়।
শুধু নীলাহীন আমার বুকটা অপূর্ণ রয়ে যায়।
শূন্য উঠোনে নিজেকে একাকী দেখে বিসমিত হই।
যদিও জানি সে ঘোরূ মায়া।
নীলা হারিয়েছে গত মাসে।
ঙ্কজষ্ঠ্যের সমাপনী দিনে সে চিরবিদায় নিয়েছে।
বর্ষায় কদমতলায় ভেজার আগেই আমাকে নিঃস্ব করেছে।
কথা দিয়েছিল বলেই হয়তো এসেছিল।
ভোরের নরম আলোয় আমি অনুভব করিূ নসটালজিয়ায় ডুবতে বসেছিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।