আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বাচনে সৌদি হাওয়া

টুকিটাকি ভাবনাগুলো

নির্বাচন চলে আসলেই আমাদের দেশের কিছু সংখক রাজনীতিবিদদের সৌদি প্রীতি বেড়ে যায়। তখন একাধারে ওমরাহ, হজ্জ জিয়ারত ইত্যাদি পালনের ধুম পড়ে যায়। অন্য সময় যেমনই থাকুক এই সময় দাড়ি, ঘোমটা, মাথার পট্টি ইত্যাদি বিভিন্ন ফ্যাশন চালু হয়ে যায়। উদ্দেশ্য একটাই, পাবলিক রিলেশন বাড়ানো। লাভ? সৌদি শেখদের আস্থাভাজন হয়ে যাকাতের টাকা হস্তগত করা যা ইলেকশনের জন্যে ব্যয় করা হবে।

আর প্রভুরা যদি একটু সুদৃষ্টি দেয়। আপনারা শুনলে অবাক হবেন এই যাকাতের টাকা নেবার দৌড়ে সামিল দেশীয় ধনকুবের সালমান রহমান সহ অনেকেই। বিশ্বাস হচ্ছে না? টেকনিকালি সৌদি শেখদের টাকার কাছে এইসব বাংলাদেশী ধনকুবের গোত্রিয় লোক নস্যি। ওদের প্রচুর যাকাত হয় যা দেবার জন্যে গরিব লোক পায়না। বাংলাদেশের দারিদ্রতা দেখিয়ে ওদের সাথে ভাল খাতির যাদের তারা সহজেই তা কুক্ষিগত করতে পারে।

ইদানিংকালে সৌদি আরবে হাজির হয়েছিলেন আমাদের কবি এক্স-প্রেসিডেন্ট (সামহোয়ারইনের লিংকটা কেউ দয়া করে ওনাকে দিয়েন) হো মো এরশাদ এবং বর্তমান স্বরাস্ট্র মন্ত্রী বাবর। বাবর ফিরতেই তারেক জিয়ার রিয়াদ সফর। সফরসঙী এন এস আইয়ের ডিজি। এরশাদের সাথে যোগ দেয়া নিয়ে কথা । আটঘাট বেধে যেতে হবে না? কিন্তু পাকা ধানে মই দিল জামাতের আলী আহসান মোজাহিদের সৌদি সফর।

তাদের সৌদিতে চেনা শোনা কি কম? এরশাদকে যে তারা জোটে চায় না। কিন্তু এরশাদও কম যান কিসে? পাকিস্তানের পারভেজ মোশাররফ তো তার জুনিয়র। আগেই পাকিস্তান ভ্রমনের দাওয়াত পেয়ে কবুল করে রেখেছেন। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যে তৎবির করতে লোকের অভাব নেই। বিরোধী দলীয় নেত্রী এখনও যাননি তবে আবারও যাবেন মাথায় পট্টি বেধে।

তিনিও খাটি মুসলমান এটি প্রমান করতে। এখন দেখার বিষয় কোন প্রভু কি আজ্ঞা করেন। খেলারামরা খেলে যাবেন তাদের খেলা যতদিন সাধারন মানুষকে ইসলাম রক্ষার মুলো দেখানো যাবে ও ভারত জুজুর ভয় দেখানো যাবে। দেশের মানুষ জাগবে কবে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.