এস.এম. মাহবুব মুর্শেদের বন্ধুর কাহিনী শুনে চুপ থাকতে পারলাম না ।
সব লাজ - লজ্জা , সংকোচ ঝেড়ে নিজের কাহিনীটাই উল্লেখ করছি ঃ
আমার বাবা চাকরী জীবনে একটি নামকরা স্কুলের হেডকার্ক ছিলেন । আমার দেখা পৃথিবীর সবচেয়ে সৎ মানুষগুলোর একজন । আপনার বন্ধুর বাবা টাকা পায়নি বলে বানাতে পারেনি আর আমার বাবার সামনে দিয়ে টাকার বস্তা গেছে । কিন্তু কোনদিন ফিরেও তাকাননি ।
ফলাফল আজকে প্রাপ্তির চিকিৎসা করাতে পারছিনা নিজেদের পয়সায় । কোনরকমে ছেলেমেয়ে গুলোকে বড় করেছেন , মানুষ করতে পেরেছেন কিনা জানিনা ।
যা বলছিলাম !! ভালোবেসেছিলাম ঢাকা মেডিকেলের ছাত্রকে । বহু কষ্টে দুই পরিবারকে রাজি করানো হয়েছিল ।
আমার কাবিনের দিনে ওরা একটা আংটি নিয়ে এসেছিল ।
ভীষণ লজ্জায় কেউ কিছূ বুঝে উঠার আগেই আমার বড়লোক মামা দৌড়ে গিয়ে এক সেট গহনা কিনে নিয়ে এলেন ।
কাবিনের কথা বলছেন ?
এক লক্ষ এক টাকা ছিল দেন মোহর আর উসুল ছিল চার আনার একটি আংটি । খানিকটা আপত্তি করেছিলেন বোধ হয় আমার মামা । ওরা জবাব দিয়েছিল '' বিয়ে করাচ্ছি এটাই নাকি আমাদের সাত পুরুষের ভাগ্য " । লোক লজ্জার ভয়ে আমার বাবা সেদিন নীরবে কেঁদেছিলেন ।
যৌতুকের আধুনিক রুপ শুনতে চান ?? " ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর টাকা দিতে হবে । হাসপাতাল আর ক্লিনিকে যেতে সমস্যা হয় , তাই মটরসাইকেল কিনে দিতে হবে । এত কষ্ট করে ডাক্তার বানানো হয়েছে , এইটুকু দাবীতো করতেই পারি , তাই না ? "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।