ভস্ম হই। মৃত্যুর চুমু আমার কপোল ছুঁয়ে যায়। বেঁচে উঠি আবার। নতুন দিনের আশায়। বেঁচে উঠি বারবার।
একটা ছোট্ট ঘটনা দিয়ে শুরু করি। প্রলয় মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। বাবা কোন এক সরকারী অফিসে অফিসার ছিলেন। প্রলয়ের বাবাকে সৎ বলা যাবে কিনা সে নিয়ে বির্তক চলতে পারে, কিন্তু ঘুষ পাননি বলেই হোক কিংবা তিনি বলেই হোক সরকারী বেতনের চেয়ে খুব বেশী অর্থকড়ি সঞ্চয় করতে পারেননি তিনি। চেহারা সুরৎ ভাল হওয়ায় মোটামুটি মালদারের এক মেয়ের সাথে জুটেছে প্রলয়।
বিয়ের কথা বার্তা ঠিকঠাক। কিন্তু দেনাপাওনার প্রশ্নে বেঁকে বসল মেয়েপক্ষ। তাদের আর কোন দাবী নেই, কেবল মেয়েকে সাজিয়ে দেবেন আর কাবিনের অঙ্কটা যেন ভাল হয়। নইলে প্রেস্টিজের ব্যাপার। সেই সাজিয়ে দেয়ার জন্য অলঙ্কারের পরিমান আর কাবিন নামার অঙ্কটা শুনে তো প্রলয়ের বাবার ভিমরী খাবার দশা।
লাখ পাঁচেক টাকার অলঙ্কার আর লাখ দশেকের কাবিন ছাড়া প্রেস্টিজ নাকি তাদের একেবারেই থাকে না।
আমি কি বানিয়ে বলছি? একটু খোঁজ নিয়েই দেখুন না। ছেলে কি করে, তার এই পরিমান অর্থ যোগাড় করার সার্মথ্য আছে কিনা সেটা মূখ্য নয়। প্রেস্টিজ বাঁচাতে হবে সেটাই বড়।
কাবিনের অংক নিয়ে রীতিমত প্রতিযোগিতা হয় মেয়েদের কাজিনদের কিংবা বান্ধবীদের মধ্যে।
কার কত বেশী কাবিন হয়েছে সেটা তত ভাল বিয়ের প্যারামিটার হিসেবে গন্য করা হয়। কাবিন কতটা উশুল হল কিংবা আদৌ তার স্বামী কখনও সেটা শোধ করবে কিনা সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বড় একটা অংকে কাবিন হতে হবে সেটাই গুরূত্বপূর্ণ।
বিয়ের সময় আত্মীয়রা ওৎ পেতে থাকেন ছেলের বাসা থেকে কি কি আসল দেখার জন্য। একটু খারাপ জিনিস পত্র আসলে হাসি চাপা চাপি শুরু হয়ে যায়।
কত দামী আর ভারী বেনারসী দিল, কসমেটিকসের দাম কত এসব নিয়ে চলে ভীষন আলোচনা। অথচ বিয়ের সেই শাড়ি জীবনে আর দ্্বিতীয় বার পরা হয় কিনা সন্দেহ। আর কসমেটিকসের কাজ তো হয় সব পালর্ারে, তাহলে এই দামী কসমেটিকসের দরকারটা কোথায়?
আরো কিছু ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করা হয়। তার একটি হল কমিউনিটি সেন্টার কত দামী হল তা দেখা। ভাল কমিউনিটি সেন্টার না হলে প্রেস্টিজ থাকে না।
আরো টুকিটাকি ব্যাপার স্যাপার তো আছেই।
ছেলেদের পরিবার থেকে এসব ব্যাপারে খুঁত খুঁত করতে আমি দেখিনি। মেয়েদের পরিবার থেকেই আসলে এসব ব্যাপারে আপত্তি আসতে দেখেছি। আর বারবার ভেবেছি, 'রেখেছ বাঙ্গালী করে মানুষ করনি!'
[লেখাটি আমার বন্ধু [link|http://geekswithblogs.net/joycsharp|R
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।