আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আকাশের চিঠি; তেইশ



২৩ ১৯ নভেম্বর ১০ নীল, মনে আছে তোমার, একটা বাড়ি বিক্রি করে কী খুশি হয়ে যেতাম আমি। অতি উৎসাহে বারবার সে গল্প করতাম তোমার কাছে। ক্রেতার বাড়ির ডেকরেশনের ভার নিয়ে নিতাম আমি। আমি জানতাম কোথায় সস্তায় ভালো পছন্দ মতন জিনিস পাওয়া যায়। বেশীর ভাগ মানুষের হাত শূন্য থাকত ডাউনপেমেন্ট, মর্গেজ আরো সব খরচের পরে, দু চার জন ধনী ছাড়া।

অথচ নতুন বাড়িটা কেনার সাথে সাথে নতুন আসবাব পত্র দিয়ে সাজানোর শখ সবার। আমি সাধ্য মতন সবার সামর্থের মধ্যে তাদের বাড়িটা সাজিয়ে ফেলতে সাহায্য করতাম। নতুন বাড়ি কিনে সেখানে সাজিয়ে গুছিয়ে দিতে মহা উৎসাহ ছিল আমার। প্রয়োজনের অতিরিক্ত অনেক কিছু করতাম ক্লায়েন্টদের জন্য। আগে বাড়ি বিক্রির পর ক্লায়েন্টদের হাউজ ওর্য়ামিং পার্টিতে একটা বিশাল উপহার নিয়ে তুমি আমি দুজনে যেতাম।

এখন আমি উপহার পাঠিয়ে দেই নিজে আর যাইনা কোথাও। নতুন যে বাড়িটা বিক্রি করলাম গত সপ্তাহে আমার স্পেনিস বন্ধু এলিশা সেটা কিনল । ও জানে আমি কোন পার্টি অনুষ্ঠানে যাইনা আর কিন্তু ও আমাকে ছাড়বে না। আমাকে নিয়ে যেতে নিজে আসল। পরিবার, সুখের বাসা, আনন্দ, উচ্ছাস মিলনমেলা।

সেখানে আমি কী করব বলো । আমার বড় একা লাগে, ফাঁকা লাগে সব কিছুতে এলিশার আন্তরিকতার জন্যই যাওয়া। ওর বাচ্চা দুটো এত কিউট ছুটে বেড়াচ্ছিল ঘরময় খুব ভালো লাগছিল দেখতে। নিজেদের ঘর পেয়ে ওই ছোট শিশুরাও ব্যস্ত ছিল নিজেদের প্রিয় জিনিস দিয়ে সাজাতে। ওদের দেখেই আমার সময়টা কাটল ওখানে।

আমার ঘরে অমন ফুটফুটে এ্যঞ্জেলের ছুটাছুটি দেখতে খুব ইচ্ছে করছে। এখানে শুধুই বাতাসের ছুটাছুটি দীর্ঘশ্বাস বয়ে বেড়ায় সারাক্ষন। হাসি, উন্মাদনা,আনন্দ সব নিয়ে গেলে তোমার সাথে নীল। এখানে একাকী তোমার হৃদয়

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।