1948 সাল থেকে এ পর্যন্ত প্যালেষ্টাইন-ভূখন্ড কখনোই শান্ত ছিল না। আরব বিশ্বের সাথে ইসরাইলের অনেক যুদ্ধ ও শান্তি চুক্তি হয়েছে কিন্তু সেসব কোন কাজেই আসেনি এবং ভবিষ্যতেও আসবে না যতণ না পর্যন্ত প্যালেষ্টাইন একটি পূণাঙ্গ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ অশান্তির আগুন শুধুমাত্র প্যলেষ্টাইনেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তা ছড়িয়ে পড়েছিল, উত্তপ্ত করেছিল মধ্যপ্রাচ্যের সাধারন মানুষকে। এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে হামাস, হিসবুল্লার মত অসংখ্য সংগঠন, মূসাব আল জারকাবির মত স্বাধীনচেতা চরিত্র।
হামাস গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হলেও গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও রপ্তানিকারক আমেরিকার কাছে স্বীকৃতি পায়নি কেননা বিচার মানলেও তালগাছের দাবি তারা কখনোই ছাড়বে না। আমেরিকা ও পশ্চিমা মিডিয়ার দৃষ্টিতে এরা সবাই সন্ত্রাসী যদিও তাদের দাবি শুধুই একটি স্বাধীন ভূখন্ড এবং তাদের প্রচেষ্টা বিদেশি দখলদারদের উৎখাত করা। স্বাধীনচেতা জারকাবি নিহত হয়েছে। আমেরিকান মিডিয়াগুলো জারকাবির মৃতু্যকে তাদের তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের বিরাট সাফল্য হিসেবে চিহ্নিত করছে। কিন্তু একজন জারকাবির মৃতু্য সেখানে হাজার জারকাবির জন্ম দেবে এবং সহিংসতা বেরেই চলবে কমবে না।
মানুষের স্বাধীনতার স্পীহা এভাবে কমে না বা শক্তি দিয়ে দাবিয়ে রাখা যায় না অন্তত ইতিহাস আমাদের সেই কথাই বলে।
সমপ্রতি এক সাধারন ইসরাইলি সৈন্যকে অপহরণ করে প্যালেষ্টাইনি গেরিলারা। উদ্দেশ্য ছিল শত শত বন্দী প্যলেষ্টাইনির কয়েকজনকেও যদি মুক্ত করা যায়। অথচ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসরাইলি সৈন্যরা গাজা ও পশ্চিম তীরে ব্যাপক হামলা চালায় এবং প্যালেষ্টাইনের হামাস নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্ধশতাধিক মন্ত্রি, এমপি ও সদস্যদের ধরে নিয়ে যায় অত্যন্ত অপমানজনকভাবে (হাত ও চোখ বেঁধে)। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের উপর দিয়ে ইসরাইলি জঙ্গি বিমান উড়ে গেছে।
সিরিয়া বলেছে, ইসরাইলকে প্রতিরোধ করার সামর্থ তাদের আছে। ইগিপ্ট বলেছে, ইসরাইলের এই হামলা দু-দেশের শান্তি প্রচেষ্টায় সিকি শতাব্দির সব অর্জন হুমকির মুখে পড়েছে।
অন্যদিকে আমেরিকা বরাবরেমত মত ইসরাইলকে সমর্থন করে যাচ্ছে কেননা প্যালেষ্টাইনিদের রক্তের চেয়ে আমেরিকার কাছে মধ্যপ্রাচ্যের তেল অনেক বেশি মূল্যবান। যা-হোক শান্তিপ্রিয় বিশ্বসমাজ এ সংকট নিরসনে জাতিসংঘের কার্যকর হস্তপে কামনা করে। বিশ্ববাসী প্যালেষ্টাইনকে লেবাননের মত যুদ্ধাবস্থায় দেখতে চায় না।
কেননা বিশ্বসমপ্রদায় জানে তাদের নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থেই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি জরুরী। এ বোধ আমেরিকার কবে হবে সেটাই দেখার বিষয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।