ইসরাইল শব্দটি উচ্চারিত হলে আজ আর কোনো জনপদের কথা মনে পড়ে না, আদতেই কোনো দেশ নয় এটি। ওখানে কোনো মানুষ থাকে বলেও কোনোদিন শুনি নি। তবে যারা থাকে, তাদের রক্তপাতের কথা শুনেছি, মানবতার বিরুদ্ধে ওদের চক্রান্ত আর যুদ্ধের কথা শুনেছি, মানুষকে রক্তে ভাসিয়ে আগুনে পুড়িয়ে মারার গল্প শুনেছি, এবং শুনেই যাচ্ছি। ইসরাইল তাই কোনো দেশ নয় -- বরং মূর্ত অন্যায়, উগ্র অমানুষিকতা!
সারা দুনিয়ার বিবেকবান মানুষের প্রতিবাদ এরা গায়ে মাখছে না, গায়ে মাখার দরকার নেই বলে। কারণ প্রতিবাদ করলেও প্রতিরোধ করতে কেউ এগিয়ে আসবে না।
যে সাম্রাজ্যবাদী সরকারগুলি এদের নেপথ্য পালনকর্তা, তাদের দিকে আঙুল উঁচিয়ে কথা বলবার মতো একজন আহমেদিনেজাদ হয়তো আছেন, কিন্তু এদের থামাতে হলে তো আরো আহমেদিনেজাদ দরকার। মুসলিম বিশ্বের সেই স্বপ্ন দেখার দিন ফুরিয়েছে। যে ছদ্মবেশে সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিম একদা আরব নেতাদের জাতীয়তাবাদের মদ খাইয়ে ইসলামী খিলাফত ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিয়েছিলো, তারা সে খোলস খুলে ফেলেছে। কারণ বিভক্ত মধ্যপ্রাচ্যের যে আর মাথা তুলে দাঁড়াবার জোর নেই, এ সবাই জানে। ওই আরব রাষ্ট্রগুলি বাইরে আমেরিকার দোসর, ভেতরে তাদের দাস।
কাজেই বৃষ্টির মতো বোমা ফেলো। নিরীহ লোকদের চিৎকারে কান দেবার দরকার কী, আমেরিকাকে ঠেকাতে কোনো মিত্রশক্তি তো জেগে উঠছে না।
পঞ্চাশ বছর ধরে নির্বিচার হত্যা আর নির্মম ধ্বংসযেজ্ঞর শিকার, নিজভূমে পরবাসী ওই ফিলিস্তিনের অসহায় মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে আমি মানবতার কোনো অর্থ খুঁজে পাই না। জাতিসংঘ ওই ধূর্ত ইহুদিদের শিখণ্ডি আর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সরকারগুলি এদের প্রভু। ফলে বিশ্বের বিবেকবান মানুষের প্রতিবাদ আজ নিছকই ব্যর্থ শোকে পর্যবসিত হয়েছে, পরাজিত হয়েছে মানবাধিকার।
দিনের পর দিন এ নির্মম হত্যাযজ্ঞ দেখতে দেখতে বোধহয় চেতনাও ভোঁতা হয়ে গেছে, তাই আগে যেমন পৃথিবীর দেশে দেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হতো, ইসরাইলের সাম্প্রতিক আক্রমণের বিরুদ্ধে ততোটা উচ্চকণ্ঠ প্রতিবাদ দেখা যায় নি। আসলে ওই যালিম ইহুদিদের টুঁটি চেপে ধরা ছাড়া এ যুলুমের কোনো প্রতিকার নেই। সেটি খুব সহজেই সম্ভব যদি মুসলিম দেশগুলো একবার বলে যে ইসরাইল ভূখণ্ডটি তার ন্যায্য অধিকারী মুসলমানদের হাতে প্রত্যর্পনের আগ পর্যন্ত তেল উত্তোলন বন্ধ থাকবে। মুসলমানদের এই শক্তিটা এখনো আছে যে তারা ইচ্ছে করলেই এক মুহূর্তের নোটিশে সারা বিশ্বকে অচল করে দিতে পারে। মুসলমানদের সেই সাহস আর আত্মবিশ্বাস কি কোনোদিন জেগে উঠবে না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।