আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'ভারত' নতুন ইসরাইল

একদিন তোর কথা শুনবে নদি...

এই উপমহাদেশে ইসরাইলের একমাত্র মিত্র দেশ ভারত। লেবাননে ইসরাইলি বর্বরতার পর বিশ্ব জুড়ে ইসরাইল ও আমেরিকার বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় বইছে। ভারতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে জনমত যাতে গড়ে উঠতে না পারে সে জন্য সব আরব টিভি চ্যানেল প্রচার সে দেশে নিষিদ্ধ করেছে। কারন ইসরাইল চায় না আরব টিভি চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে ইসরাইলি বর্বরতার চিত্র ভারতীয় জনগণ দেখুক। আল জাজিরা বা আল আরাবিয়ার মত চ্যানেলগুলোর ওপর ইসরাইল আর তার পৃষ্ঠপোষক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মহা ক্ষুব্ধ।

ইসরাইল এখন ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলোর অন্যতম। রাশিয়ার পরই ইসরাইলের অবস্থান। এ জন্য ইসরাইলের স্বার্থরক্ষার জন্য ভারত সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। এতে অবশ্য অন্যভাবেও লাভ হচ্ছে, ভারত নিজেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুগত হিসেবে প্রমাণ করতে পারছে। সমপ্রতি ভারত-মার্কিন যে পারমাণবিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তাতে মার্কিন ইহুদি লবি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।

উল্লেখ্য যে, ভারতেও একটি ইহুদি লবি রয়েছে। যারা ইসরাইলের স্বার্থরক্ষার জন্য সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। ধার্মিক এবং নৈতিক স্থুলনের দিক থেকে ইহুদি এবং হিন্দু ধর্মালম্বীদের মাঝে খুব মিল রয়েছে। দুই জাতিই মুসলিমদের প্রতি ক্ষুব্ধ। জন্ম থেকেই এরা ইসলাম বিরোধী।

ভারত সরকারের পক্ষে এখন ইসরাইলকে কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয় এবং ভারতীয় নেতৃত্বও তা চায়না। কংগ্রেস ও বেজিপি সব সরকারের সঙ্গে ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। পাকিস্তানের সঙ্গে কারগিল যুদ্ধের সময় অতি দ্রুত ইসরাইল ভারতকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। ভারতে গোয়েন্দা সংস্থাকে আধুনিকায়ন ও প্রশিক্ষনে ইসরাইলের দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা [গাঢ়] মোসাদ [/গাঢ়] কাজ করে যাচ্ছে। ভারতের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক নতুন নয়।

ভারতের জন্মের পর জওহরলাল নেহেরু নিজে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তবে এ সম্পর্কের বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। কারণ তেল সম্পদে সমৃদ্ধ আরব রাষ্ট্রগুলোর সহযোগীতা তখন ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এছাড়া বিপুল সংখ্যক ভারতীয় নাগরিক মধ্যপ্রাচ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ পায় যার ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত আছে। মধ্যপ্রাচ্যের রেমিটেন্স ভারতীয় অর্থনীতির প্রাণ প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়।

আজকে ভারতীয় অর্থনীতির যে প্রবৃদ্ধি তাতে আরব দেশগুলোর ভূমিকাই মূখ্য। ভারত আরব দেশগুলো থেকে এ সুবিধা নিলেও পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে চাণক্য নীতি গ্রহণ করে। মধ্যপ্রাচ্যের সামপ্রতিক পরিস্থিতিতে ভারতের আসল রূপ স্পষ্ট হয়েছে। লেবাননে ইসরাইলি বর্বরতার সমালোচনা ভারত করেনি বরং নিজেদের সৈন্য দিয়ে সেখানে লেবাননীদের হত্যাযজ্ঞ ঘটানোর জন্য ইসরাইলকে সহায়তা করছে। বর্তমানে [গাঢ়] হামাস ও হিজবুল্লাহর মতো সংগঠনগুলোকে দমন করার জন্য ভারত ও ইসরাইল যৌথভাবে কাজ করবে এমন চুক্তিও হয়েছে! [/গাঢ়] কার স্বার্থ? সব কিছুর মুলে যুক্তরাষ্ট্রের কথা এসেই পড়ে।

মধ্যপ্রাচ্যে টিউমার সেট করে ইউ.এস. প্রশাসন তুষ্ট নয়; তারা ঐ টিউমারকে ক্যান্সার বানানোর জন্য মরিয়া এবং একই সাথে এই উপমহাদেশে তেমনই একটা টিউমার সেট করে মুসলিমদের কোনঠাসা করাই হচ্ছে তাদের লক্ষ্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.