মন'রে কৃষি কাজ জানো না, এমন মানব জমিন রইলো পতিত, আবাদ করলে ফলতো সোনা
ক.
রাষ্ট্র যন্ত্রের মতি বুঝা বড় দায়। নারীর মন আর রাষ্ট্রের দহন দুটোই বড় রহস্যময়। আজকে সমকালে একটা খবর দেখলাম যা আমার চিত্তচাঞ্চল্য একটু বাড়িয়ে দিল। দুবাইয়ে দাউদ ইব্রাহিম এর সাথে আমাদের কয়েকজনা শীর্ষ সন্ত্রাসীর বৈঠক হয়েছে। সুব্রত বাইন কোলকাতায় মিটিং করেছে।
সুব্রত বাইন হচ্ছেন বাংলার র্সবশেষ স্বাধীন নবাব। এখানে পরাধীনতার বেড়ি দেখে মর্ুশিদাবাদ গিয়ে ঘাঁটি গেড়েছেন। ওখানে থেকেই বিয়ে করেছেন। নিন্দুকেরা বলে বরযাত্রা গিয়েছে বাংলাদেশ থেকে, সাথে উপঢৌকন গিয়েছে। র্নিবাচন এর আগে নাশকতার আশংকা করছে ঐ পত্রিকাটি।
আমাদের দেশের আর এক আজব ব্যাপার সাংবাদিকরা সব খবর আগে নিয়ে আসেন। এমনকী গোয়েন্দাদের ও আগে। দুবাইয়ের মিটিংয়ের পর জয় এবং ইমন দেশে এসএমএস করেছে এই খবরটিও উনারা জানেন। এখানে তিনটা পসিবিলিটি আছে।
এক. এই খবর সবাই জানে , যাকে বলে ওপেন সিক্রেট তাই সাংবাদিক ও জানে।
দুই. কেউ জানেনা, সাংবাদিক তার সের্াস ইউজ করে জেনে গেছে। সে ক্ষেত্রে ঐ গাধা ডিবি গুলোর ট্রেনিং হওয়া উচিত পত্রিকা অফিসে।
তিন. এই মিটিং যারা করেছে তারাই চেয়েছে খবরটা চাউর হোক। সেক্ষেত্রে সরকারের আঁতাতের মৌ মৌ গন্ধ পাওয়া যায়।
দুই নম্বরটা কিয়দ ক্ষেত্রে সত্যি হয় , বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে না।
এক আর তিন আসলে একই সাপের দুই প্রান্ত । ঘুরে ফিরে একজনের পেটে আরেকজন আছে টের পাওয়া যায়।
খ.
আচ্ছা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসলে র্যাবের কি হবে? ওদের কি খোঁয়াড়ে ঢুকিয়ে ঝাঁপি তুলে দেওয়া হবে, হাইবারনেশনে পাঠানো হবে নাকি বেচারাদের নতুন দায়িত্বহবে র্নিবাচন রক্ষণাবেক্ষণ ?
পুলিশের মত একটা এত বড় বাহিনী থাকার পরও কেন র্যাবের জন্ম হল এটা আমাকে র্সবদা আশংকিত করে। কারন কি ?
পুলিশ দর্ুনীতি গ্রস্ত তাই : কিন্তু পুলিশ শোধন চালালেই হতো। যেখানে পুলিশের বেতন ভাতা দিতে পারেনা ঠিক মত সরকার, সেখানে এরকম জাকজমকীয় পোশাক পরা আরো একটি বাহিনীর কেন দরকার পড়ল? অনেকে বলবেন পুলিশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাই।
তাহলে র্যাব ও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সম্ভাবনা আছে। তবে কি আরো একটা বাহিনী হবে ? র্যাব সন্ত্রাসীদের আড্ডার সন্ধান পায় কিন্তু পুলিশ কেন পায় না? র্যার এর সাথে কি তবে মুনকার-নাকীরের যোগাযোগ আছে ? আল্লাহ জানেন ।
আমার কাছে একটা তথ্য আছে , সেটা বলি। কালা জাহাংগীর কে র্যাবের যে র্কমর্কতা ধরেছিলেন তাকে কালা ভাই ক্যাশ এবং জবান মিলিয়ে দিতে চেয়েছে 25 লক্ষাধিক টাকা।
সে নেয় নাই । সরকার তাকে পুরষ্কার স্বরুপ নাকি বেশ ভাল অংক দিয়েছে । এটা আমার এক মামতুতো ভাই এর কাছে শোনা। সত্য মিথ্যা জানিনা। তাদের বেতন ভাতার বাইরে পুরষ্কার নাকি তাদের এ ই গগনচুম্বি সাফল্যের কারণ ।
র্যাব গঠন না করে এই টাকা ফুলিশ সরি পুলিশ ভাইদের উন্নয়নে ঢাললে কি উনারা এরকম সপ্তআসমান চুম্বি সাফল্যে পেতেন না?
মানুষের র্অথ চাহিদার শেষ নাই । এখন র্যাব তথা হবু গেস্টাপো বাহিনীর পায়খানা ও যে দর্ূগন্ধ সেটা দেশবাসী টের পাওয়া শুরু করছে। উনাদের ছোট ছোট পদস্খলন দেখে ।
আসুন আমাদের দেশমাতৃকার বুকে যেন একবিংশ শতাব্দীর আইকম্যান না জন্মায় সেই প্রর্াথনা করি। কারণ কেষ্ট ঠাকুর এর জন্মের দামামা অনেক আগেই শুনা গিয়েছিল।
আমাদের এই নতুন ঠাকুর যে বাঁশি বাজাচ্ছেন তাতে মনে হয় না, কাপড় নিয়ে গাছের ডালে বসেই এই ঠাকুর ক্ষান্ত হবেন । আমাদের আরো অনেক কিছু তিনি নিতে চান।
=======================================
28 শে জুন, 2006
রাত 12:10
কলাম্বিয়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।