বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা, প্রত্যাশা ও সম্ভাবনার সংগ্রহমালা
দৈহিকভাবে যারা কানা, খোঁড়া ও লুলা তাদের নাম ধরে ডাকতে হয় না। এরা এতে খুব কস্ট পায়। কিন্তু যারা ভাবনার বিকলাঙ্গতায় ভোগে তাদের কি নামে ডাকি? তাই ইশারা দিয়ে সবার সামনে স্মিত হাসি টেনে মাথার চারপাশে আঙ্গুল ঘুরিয়ে মস্তিস্ক বিভ্রাটের কথা বললে অনেকটা মার্জিত ও কম বিতর্কিত মনে হতে পারে। সব রাজাকার ও ছাওয়ালদের এক রা। সব কথায় তাদের প্রশ্ন একটাই, লুলা ডাকেন কেন? কারও বাবা-চাচা-দাদা লুলা হলেও কি বংশধররাও কি নামটি উওরাধিকার সূএে পাবে? একটি কথাই ধ্রুব সত্য: নামটি বংশগত রক্তের চেয়ে ভাবনার উওরাধিকার সুএে সহজে অর্জন করা যায়।
কারণ, এটা ভাবনার বিকলাঙ্গতা, নৃশংসতা ও গণহত্যার প্রতীক। তাই নাজী জার্মানীতে জন্মগ্রহণ না করেও নাৎসী হওয়া যায়। 71'এর রাজাকার 35 বছর পরে আবার জন্মায় পোশাকী বেশভুসার আড়ালে। ধন্যবাদ বাংলা ব্ল্লগ।
ভাবনায় যার বিকলাঙ্গ, পোশাকী নাম বদলালেও কি তার আসল নাম আড়াল করতে পারে? লাস্যময়ী রূপসী ললনার বেশে আসুক আর 23 বছরের নির্বোধ তারুণ্যের বেশে আসুক, রাজাকারদের সাথে একাত্মতা করে তারা ভাবনার বিকলাঙ্গতা ঢাকবে কি করে? আমাদের এক বন্ধু তার নামের শেষ অংশ "মুন্সী" একদম পছন্দ করতো না।
স্কুলে তাকে মুন্সী নামেই ডাকতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে তাই নতুন নিক্ নেমে নতুন বন্ধু-বান্ধব জুটাল। সবার সাথে তার নতুন নিক নামে পরিচয়। একদিন বন্ধু-বান্ধবীদের এক পাল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জমজমাট আড্ডা দিচ্ছে। হঠাৎ করে অনেক দিনের না দেখা স্কুল বন্ধু তাকে দেখে উওেজিত হয়ে "মুন্সী" নামে চীৎকার করতে করতে আড্ডায় হাজির।
বিশ্ববিদ্যালয়ে মুন্সীর আবার পুনর্জন্ম হলো। অভাগা মুন্সী সেই স্কুল বন্ধুকে কিভাবে ক্ষমা করে? রবীন্দ্রনাথ কি বলেছিলেন মানুষই নামকে জাঁকাইয়া তোলে? এখনকার ক্ষণজন্মারা যদি সেই সূএে বিশ্বাস করে লুলা নামটি আবারও জাঁকিয়ে তোলে তাহলে তাদের দোষ দিয়ে কি হবে?
স্বাধীনতার 35 বছর পরেও কেন লুলা আর খোাঁড়াদেরকে নাম ধরে ডেকে দেশকে বিভক্ত করা? দেশ একটা, পতাকা একটা, জাতীয় সরকার একটা-তাকে নিয়ে বিভক্তি কেন? স্বয়ং মীর জাফরও আজ মহা উল্ল্লাসে কবরে লাফ দিয়ে উঠে বসেছে এক অদ্ভূত মুক্তি ও রিডেম্পশনের আশায়। মুখে তার চাঁদ-তারা হাসি, বুকে তার গর্ব। নিজের ফেলে যাওয়া বৈধ-অবৈধ সন্তানদের গর্বে ও দর্পে সেও আনন্দিত। মীর জাফর ও তাদের বংশধরদের আস্ফালন সিরাজউদ্দৌলাসহ সকল মুক্তিসেনার রক্তকে ম্লান করে না।
হয়তো নতুন প্রজন্মের জন্য নীরবে তারা আরেকটি যুদ্ধের পটভূমি তৈরী করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।